পর্বতারোহণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৫ নং লাইন:
===বরফখণ্ড===
পর্বতের যেসব স্থানে বরফখণ্ড পতিত হয়, সেসব জায়গা আগে থেকে সনাক্ত করা সম্ভব। বরফখণ্ড সাধারণত হিমবাহের খণ্ডিত অংশে পড়ে। পাহাড়ের উঁচু স্থানের বরফ ধীরে ধীরে নিচে পড়তে থাকলে তা এর সংস্পর্শে থাকা বরফসহ পড়তে পড়তে আকারে অনেক বড় পিন্ডে পরিণত হয় এবং তা ক্রমেই নিচের দিকে প্রবল বেগে গড়িয়ে পড়তে থাকে। এভাবে গড়িয়ে পড়া বরফখণ্ডের আঘাতে পর্বতারোহী প্রচন্ডভাবে আহত হতে পারে। এমনকি পাহার থেকে পড়েও যেতে পারে। বরফখণ্ড সাধারণত দিনের বেলা যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন পড়ে। তাই অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা পর্বতের সবচেয়ে নিরাপদ পথ অবলম্বল করে আরোহণ করেন।
 
===তুষারধ্বস বা হিমপ্রবাহ===
প্রতি বছর শুধু [[আল্পস]] পর্বতমালাতেই ১২০ থেকে ১৫০ জন মানুষ তুষারধ্বসের কারণে মারা যায়। এর অধিকাংশই ২০-২৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ পুরুষ পর্বতারোহী। হিমপ্রবাহ নিরাপদে অতিক্রম করা খুব কঠিন। অনেক ধরণের তুষারধ্বস রয়েছে। এরমধ্যে দুই প্রকারের তুষারধ্বস সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এগুলো হল তুষার হিমপ্রবাহ এবং বরফ হিমপ্রবাহ।
বিশাত আয়তনের তুষারখন্ড যখন ভেঙ্গে যায় এবং তা নিচের দিকে পড়তে শুরু করে, তখন তুষার হিমপ্রবাহ ঘটে। তুষার হিমপ্রবাহ আকারে হিমপ্রবাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং ভয়ঙ্কর। পর্বতের যে ঢালগুলোর কম গাছপালা এবং বড় পাথরের পৃষ্ঠ থাকে সেখানে এই হিমপ্রবাহ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
 
বরফ হিমপ্রবাহ সাধারণত যেসব পর্বতের পৃষ্ঠ হিমবাহ দ্বারা গঠিত সেসব পর্বতে ঘটে। অস্থিতিশীল বরফখণ্ড সংঘর্ষের ফলে নিচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকলে বরফ হিমপ্রবাহ ঘটে। এই বরফ হিমপ্রবাহের মধ্যে ছোট-বড় পাথরখণ্ডও থাকতে পারে। বরফ হিমপ্রবাহও বেশ ভয়ঙ্কর হতে পারে, বিশেষ করে যখন তা দীর্ঘ দুরত্ব অতিক্রম করে পড়তে থাকে। [[আলাস্কা পর্বতমালা]], [[সেন্ট ইলিয়স পর্বতমালা|সেন্ট ইলিয়স পর্বতমালায়]] এই বরফ হিমপ্রবাহ প্রায়ই দেখা যায়।
 
==পর্বতারোহণের রীতি==