সঙ্গীত ধারা ‘ন’। শান্তিপুরে এই গানের উৎপত্তি ১৮ শতকের গোড়ায় (আনুমানিক ১৭০৫এ)। নিধুবাবুরমাতুল কলুই চন্দ্র সেনকে বাংলায় আখড়াই গানের প্রবর্তক বলা হয় । আদতে ‘আখড়াইগান’ উত্তর ভারতের ‘আখাড়া গানে’র এক বিবর্তিত রূপ । সেই হিসাবে ‘আখড়াই’ অনেক প্রাচীন সঙ্গীত ধারা । বাংলাতে এসেও এই গান নানা ভাবে বিবর্তিত হয়েছে ।মালদহ। নদীয়া কিংবা হুগলীতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আখড়াই গান পরিবেশিত হত ।সশেষে বাবু কলকাতায় এসে আখড়াই গান মার্জিত হয় কলুই চন্দ্র সেনের হাতে ।গানএই গানের দুটি পর্যায় থাকতো – ‘খেউড়’ ও ‘প্রভাতি’ । ১৮ শতকের শেষ দিকেকলকাতায় আখড়াই গানের পেশাদার দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর,গানের কথা ও ধরণেপরিমার্জন আসে এবং বৈঠকী গানের আভিজাত্য লাভ করে । এই গানেরই আর একটি রূপ ‘হাফ আখড়াই’ সৃষ্টি হয় । নিধু বাবুরই এক শিষ্য মোহন চাঁদ বসু উদ্ভাবন করেন‘হাফ আখড়াই’। এই রীতির গানও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, নিধুবাবুর জীবদ্দশাতেইএগানের বিলোপও ঘতে যায় ।