সাইদুল আলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
ছবি যোগ
BellayetBot (আলোচনা | অবদান)
Adding {{Refimprove}}
১ নং লাইন:
{{Refimprove|নিবন্ধে|{{subst:DATE}}|talk=y}}
{{Infobox person
|name= সাইদুল আলম
৩৮ ⟶ ৩৯ নং লাইন:
 
==মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা==
[[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] চূড়ান্ত পর্যায়ে অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে বৃহত্তর [[সিলেট জেলা|সিলেট জেলার]] বিভিন্ন স্থানে একের পর এক যুদ্ধ করেছেন সাইদুল ইসলাম ও একদল মুক্তিযোদ্ধা। [[অক্টোবর ২৮|২৮ অক্টোবর]] ধলই বিওপিতে; এরপর পাত্রখোলা, চারগ্রাম ও গৌরীপুরে। এর মধ্যে ধলই বিওপি ও গৌরীপুরের যুদ্ধ করেন তারা। মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি দল (এক ব্যাটালিয়ন শক্তি) গৌরীপুরে পৌঁছানোর পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিজ প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে পূর্ণ শক্তিতে অগ্রসর হয়ে তাঁদের আক্রমণ করে। সেখানে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট। তাদের আকস্মিক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ বেশ নাজুক অবস্থায় পড়ে যায়। এ সময় ওয়াকার হাসানের ([[বীর প্রতীক]]) নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা ঝোড়োগতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পাল্টা আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিনগান গ্রুপ ও এলএমজি গ্রুপের ফায়ারিং সাপোর্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সুকৌশলে অগ্রসর হয়ে শত্রু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নাকের ডগার মধ্যে পৌঁছে যায়। সাইদুল আলম ছিলেন মেশিনগান গ্রুপে। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মেশিনগান দিয়ে গুলি করে মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে অগ্রসর হতে সাহায্য করেন। এরপর দুই পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সাইদুল আলমদের মেশিনগানের গুলিতে হতাহত হয় অনেক পাকিস্তানি সেনা। এই যুদ্ধে পাকিস্তানিরা পরাজিত হয় এবং জীবিতরা সিলেটে পালিয়ে যায়। গৌরীপুর যুদ্ধের পর সাইদুল আলম ও তাঁর সহযোদ্ধারা হাফিজউদ্দীন আহমদের ([[বীর বিক্রম]]) নেতৃত্বে রওনা হন সিলেট শহর অভিমুখে। শহরের উপকণ্ঠে [[মুরারিচাঁদ কলেজ| এমসি কলেজে]] ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা। [[ডিসেম্বর ১৪|১৪ ডিসেম্বর]] ভোরে সেখানে তাঁরা পৌঁছালেন। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনাদের। তারা ঘোরাঘুরি করছে। একের পর এক যুদ্ধে সাইদুল আলমরা কিছুটা পরিশ্রান্ত। এ ছাড়া প্রচণ্ড শীত। তাঁদের শীতবস্ত্রও মোটেই নেই। প্রায় তিন দিন তাঁরা প্রায় অনাহারে। কিন্তু তাঁদের যুদ্ধ করার আগ্রহে কোনোভাবে ভাটা পড়ল না, বরং মনোবল আরও বেড়ে গেল। কারণ, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে।
শত্রুর নাকের ডগায় ৫০০ গজ দূরে টিলার ওপর ট্রেঞ্চ খুঁড়ে সাইদুল আলমরা পজিশন নিতে থাকলেন। তখনই হঠাৎ শুরু হয়ে গেল তুমুল যুদ্ধ। তাঁদের দলের কাছে তিন ইঞ্চি মর্টারের গোলা আছে মাত্র ১৪টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই গোলা শেষ হয়ে গেল। সাইদুল এতে বিচলিত হলেন না। মেশিনগান দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে থাকলেন। মেশিনগান গ্রুপের নিপুণ গুলিবর্ষণে হতাহত হলো বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। শেষে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল।
 
৪৬ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
 
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা]]