শিকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Diane de Versailles Leochares.jpg|thumb|250px|আনুমানিক ৩২৫ খ্রীষ্ট-পূর্বাব্দে [[প্রাচীন গ্রীস|প্রাচীন গ্রীসের]] [[ভাস্কর্য|ভাস্কর্য্যে]] শিকারের দৃশ্য]]
'''শিকার''' ({{lang-en|Hunting}}) জীবিত কোন কিছুপশু-পাখি ধরা কিংবা হত্যা করার লক্ষ্যে অনুসরণ করার উপযোগী কলাকৌশল। [[মানুষ|মানুষের]] তার নিজের ও পরিবারের জন্যে [[খাদ্য]] সংগ্রহ, আত্মরক্ষা করা, [[বিনোদন]] কিংবা [[ব্যবসা-বাণিজ্য]] করার লক্ষ্যেই সাধারণতঃ [[বন্যপ্রাণী]] শিকার করাকরতে শুরু হয়।করে। এছাড়া, পশু-পাখীওপাখিও নিজেদের জীবন ধারনের জন্যে তার আহার উপযোগী অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে। শিকারের জন্যে নির্দিষ্ট [[অস্ত্রশস্ত্র]] কিংবা সহায়ক উপকরণের প্রয়োজন পড়ে। যিনি বন্য পশু-পাখীপাখি শিকার করেন তিনি [[শিকারী]] নামে পরিচিত হয়ে থাকেন। অনেক সময় শিকার করতে গিয়ে শিকারী নিজেই শিকারে পরিণত হয়ে পড়তে পারেন।
 
== ব্যবহৃত উপকরণাদি ==
যখন মানুষ [[পাথর]] এবং [[কাঠ|কাঠের]] [[যন্ত্রপাতি|যন্ত্রপাতির]] ব্যবহার করতে শিখে তখনই তারা শিকার কার্য্যের সাথে পরিচিত হয়। তখন তারা [[বর্শাফলক]], [[বল্লম]], [[সড়কি]] ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে শিকারে বেরুতো। এ সকল অস্ত্র দিয়ে প্রাণী হত্যা করে কিংবা আহত প্রাণীকে সাথে নিয়ে নিজ নিজ [[গুহা|গুহায়]] ফিরে আসতো। বর্তমানের আধুনিক সভ্য জীবনে শিকারপ্রিয় ব্যক্তিরা [[বন্দুক]] এবং [[তীর]]-[[ধনুক|ধনুকের]] সাহায্যে শিকার করতে বের হয়। কেউ কেউ নিছক চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে শিকারে বেড়িয়ে পড়েন। অনেক [[দেশ|দেশেই]] শিকার কার্য্য পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে।
 
সচরাচর [[খাঁচা]] কোন পশু-পাখিকে তার স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে ধরা বা ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই খাঁচা শিকারের অন্যতম উপকরণ হিসেবে পরিচিত যা প্রায়শঃই নির্দিষ্ট প্রাণীর [[গর্ত|গর্তের]] সম্মুখে রাখা হয় বা সাধারণভাবে পাকড়াও করা হয়।
 
== কারণ ==
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই খাদ্য সংস্থান ও আত্মরক্ষাকল্পেই মানুষ বুনো পশু-পাখিকে ভোঁতা পাথড়, গাছের ফলা ইত্যাদি দিয়ে শিকার করতো। সময়ের বিবর্তনে অনেক শিকারীই শুধুমাত্র পশুর [[চামড়া]] দিয়ে [[পোশাক]] বানানোর উদ্দেশ্যে শিকার করে থাকে। কেউবা আবার ব্যক্তিগত সক্ষমতা, পারিবারিক ঐতিহ্য বা বাহাদুরী প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বাড়ীর [[দেয়াল|দেয়ালে]] সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্যে ঝুলিয়ে রাখে। আবার কেউ হয়তোবা অর্থ উপার্জনের হীন উদ্দেশ্যে শিকার করে থাকে।
 
পশুর ঘণত্ব বৃদ্ধিরোধকল্পে শিকার করা ভাল বলে দাবী করা হয়েছে। [[শস্য|শস্যাদির]] জন্যে ক্ষতিকারক [[স্তন্যপায়ী]] [[জীব]] ও পাখি নিধনে শিকার কার্য পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কীট-পতঙ্গ দমনের স্বার্থে এবং খাদক পশুর অনুপস্থিতিজনিত কারণে<ref>{{cite web|last = Harper|first = Craig A|title = Quality Deer Management Guidelines for Implementation|publisher=Agricultural Extension Service, The University of Tennessee|url = http://www.utextension.utk.edu/publications/pbfiles/PB1643.pdf|format = PDF| accessdate =20 December 2006}}{{dead link|date=May 2011}}</ref> পশু-পাখীরপাখির ঘণত্ব রোধে এ ধরনের শিকার হয়। সেজন্যে আধুনিক বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় শিকারকে আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।<ref>Williams, Ted. "Wanted: More Hunters," ''Audubon'' magazine, March 2002, [http://classic-web.archive.org/web/20071013120158/http://magazine.audubon.org/incite/incite0203.html copy] retrieved 26 October 2007.</ref>
 
কিন্তু অতিমাত্রায় শিকারের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখীরপাখির বিলুপ্তি ঘটতে পারে। সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে [[মরিশাস|মরিশাসের]] [[ডোডো পাখি]] ব্যাপকহারে শিকার হওয়ায় তা [[বিলুপ্ত]] [[প্রজাতি]] হিসেবে গণ্য হয়েছে। এটিই প্রথম প্রজাতির পাখি হিসেবে পরিচিত যা মানুষের হাতে শিকার হয়ে লুপ্তপৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়।<ref>{{cite web
|url=http://www.davidreilly.com/dodo/background.html
|title=Background: the tragedy of the Dodo (1598-1681)