কাকাতুয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
২৬ নং লাইন:
|range_map_caption=Current range of cockatoos&nbsp;– red<br />Finds of recent fossils&nbsp;– blue
}}
'''কাকাতুয়া''' ({{lang-en|Cockatoo}}) [[শুক|শুকজাতীয়]] পাখিবিশেষ। এটি টিয়া পরিবারের সমগোত্রীয়। ২১ প্রজাতির কাকাতুয়া [[কেকাটুইডে]] [[পরিবার (জীববিদ্যা)|পরিবারভূক্ত]]। এ [[পাখি|পাখিটি]] মূলতঃ [[অস্ট্রেলিয়া]] ও [[পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ]] বা [[ইস্ট ইন্ডিজ]] থেকেবিশেষতঃ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইন্দোচীন, মালয়সহ ইন্দোনেশিয়ায় দেখা উদ্ভূত।যায়। [[ঠোঁট|ঠোঁটের]] উপরের অংশের চোয়াল, নীচের চোয়ালকে ঢেকে রেখেছে।
 
== বৈশিষ্ট্যাবলী ==
সকল কাকাতুয়ারই আকর্ষণীয় পালক এবং শক্তিশালী বাঁকানো ঠোঁট রয়েছে। অধিকাংশ প্রজাতিই সাদা রংয়ের। কিন্তু কিছু প্রজাতির গায়ের রঙ ধূসর, খয়েরী, উজ্জল কালো বর্ণের। কাকাতুয়া মাঝারী থেকে বড় [[তোতা পাখি|তোতা পাখির]] চেয়েও বড় হতে পারে। দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার (১২ থেকে ২৪ ইঞ্চি) এবং ওজন ৩০০ থেকে ১,২০০ গ্রাম (০.৬৬ থেকে ২.৬ পাউন্ড) হয়ে থাকে। তন্মধ্যে বৃহদাকৃতির [[কালো কাকাতুয়া|কালো কাকাতুয়ার]] দৈর্ঘ্য ৬৭ সেন্টিমিটার বা ২৬.৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে। সবচেয়ে ছোট প্রজাতির কাকাতুয়া হচ্ছে [[ককাটিয়েল]]। অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় এরা খুবই পাতলা। দীর্ঘ লেজসহ এর দৈর্ঘ্য ১৩ ইঞ্চি এবং ওজন ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম।<ref>[http://en.wikipedia.org/wiki/Handbook_of_the_Birds_of_the_World Rowley, Ian (1997). "Family Cacatuidae (Cockatoos)". In Josep, del Hoyo; Andrew, Elliott; Jordi, Sargatal. Handbook of the Birds of the World. Volume 4, Sandgrouse to Cuckoos. Barcelona: Lynx Edicions. pp. 246–69. ISBN 84-87334-22-9]</ref> [[মাথার ঝুঁটি]] স্থির নয় তবে, সকল প্রজাতির কাকাতুয়ার মাঝেই বিরাজমান এবং অনেক প্রজাতিতেই তা দৃশ্যমান।<ref>Cameron 2007, p. 57.</ref>
 
== আবাসস্থল ==
উদ্ভিদজাত খাবার খেয়ে এরা জীবনধারন করে। কখনোবা জমির ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একত্রে খাবার গ্রহণ করতে এরা অভ্যস্ত। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের উঁচু বৃক্ষের [[গর্ত|গর্তে]] থাকতে এরা [[পছন্দ]] করে এবং সেখানেই তারা [[পাখির বাসা|বাসা]] বাঁধে। স্ত্রীমূলতঃ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পাখির গর্ত কিংবা পাহাড়ের গুহায় এরা বাসা তৈরী করে। স্ত্রীজাতীয় কাকাতুয়া দুইটি থেকে চারটি [[সাদা]] [[পাখির ডিম|ডিম]] পাড়ে। শাবকগুলো চোখ বোজা অবস্থায় থাকে এবং প্রায় তিন মাস শাবকদের বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ত্রী-পুরুষ উভয় কাকাতুয়ারকাকাতুয়াই পালাক্রমে দেখাশোনা ও লালন-পালন করে। উভয়ের তত্ত্বাবধানেই কাকাতুয়া তত্ত্বাবধানেছানাগুলো বড় হয়। কাকাতুয়ারা দল বেঁধে কখনো কখনো হাজারেরও অধিক একত্রে [[খাদ্য|খাদ্যের]] সন্ধানে বের হয়।
 
[[প্রজাতি|প্রজাতিভেদে]] বিভিন্ন রঙের কাকাতুয়া দেখা গেলেও সবচেয়ে বেশী দেখা যায় সাদা রঙের। অন্যতম [[পোষা পাখি]] হিসেবে কাকাতুয়ার [[সুনাম]] রয়েছে। বুদ্ধিমত্তা, আকর্ষণীয়তা এবং মানুষের অনুকরণশীলতার কারণে এটি জনপ্রিয় খাঁচার পাখিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও, পৃথিবীর প্রায় সকল [[চিড়িয়াখানা|চিড়িয়াখানায়]] এদেরকে দেখা যায়।
 
== তথ্যসূত্র ==