কারাতে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৭ নং লাইন:
}}
 
'''কারাতে''' (空手?) ({{IPAc-en|icon|k|ə|ˈ|r|ɑː|t|iː}}; {{IPA-ja|kaɽate|-|Karate.ogg}}) রিউকু দ্বীপে বিকশিত একটি মার্শাল আর্ট যেটি বর্তমানে জাপানের ওকিনাওয়া। এটা আংশিকভাবে দেশীয় যুদ্ধ পদ্ধতি নাম তে (? 手 আক্ষরিক অর্থ, "হাত";ওকিনাওয়ান তি ) থেকে এবং চীনা কেনপো থেকে বিকশিত হয়েছে।<ref name="Higaonna1">{{cite book |last = Higaonna |first = Morio |title = Traditional Karatedo Vol. 1 Fundamental Techniques |year = 1985 |isbn =0-87040-595-0 |page = 17 }}</ref><ref name="okinawa history">[http://web.archive.org/web/20090302085743/http://www.wonder-okinawa.jp/023/eng/001/001/index.html History of Okinawan Karate]</ref> কারাতে একটি আঘাতের কৌশল যেটি ঘুষি, লাথি, হাঁটু এবং কনুইয়ের আঘাত ও মুক্তহস্ত কৌশল যেমন ছুরিহস্ত ব্যবহার করে।কিছু স্টাইলে আঁকড়ে ধরা, আবদ্ধ করা, বাঁধা, আছাড় এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আঘাত শেখানো হয়।<ref>{{cite book |last = Bishop |first = Mark |title = Okinawan Karate |year = 1989 |isbn =0-7136-5666-2 |pages = 153–166 }} Chapter 9 covers Motobu-ryu and Bugeikan, two 'ti' styles with grappling and vital point striking techniques. Page 165, Seitoku Higa: "Use pressure on vital points, wrist locks, grappling, strikes and kicks in a gentle manner to neutralize an attack."</ref> কারাতে অনুশীলনকারিকে কারাতেকা (空手 家?) বলা হয়।
'''কারাতে''' ([[জাপানি ভাষা]]: 空手 ''কারাতে'' অর্থাৎ "খালি হাত") [[জাপান|জাপানি]] মল্লযুদ্ধবিশেষ। এই মল্লযুদ্ধের উদ্ভবের পিছনে একজন ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে ...বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কারাতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর বিচিত্র কলাকৌশলের কারণেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
 
জাপানের ১৯শ-শতাব্দীর দখলের পূর্বে কারাতে রিউকু রাজ্যে বিকশিত হয়েছিল। ২০শ শতাব্দীর প্রথম দিকে জাপানি এবং রিউকু অধিবাসীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সময় এটি মূল ভূখণ্ড থেকে জাপানি ভূখণ্ডে আসে। ১৯২২ সালে জাপানি শিক্ষা মন্ত্রণালয় Gichin Funakoshi কে কারাতে উপপাদন টোকিওতে আমন্ত্রণ জানায়। ১৯২৪ সালে Keio বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কারাতে ক্লাব জাপানে প্রতিষ্ঠিত করে এবং ১৯৩২ সালের মধ্যে প্রধান জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কারাতে ক্লাব প্রথিস্থিত করেছিল। <ref>{{cite web | title=唐手研究会、次いで空手部の創立 | url=http://www.keiokarate.net/column/page01.html | publisher=Keio Univ. Karate Team | accessdate=2010-03-14}} {{Dead link|date=September 2010|bot=H3llBot}}{{ja icon}}</ref> জাপানি সামরিকতন্ত্রের ব্যাপকতার যুগে, <ref name="Miyagi">{{cite book | last = Miyagi | first = Chojun | editor-first = Patrick | editor-last = McCarthy | title = Karate-doh Gaisetsu | trans_title = An Outline of Karate-Do | year = 1993 | origyear = 1934 |isbn = 4-900613-05-3 | page = 9 }}</ref> 唐 手 নামটি পরিবর্তিত হয়ে (আক্ষরিকভাবে "চীনা হাত" অথবা "তাং হাত", চীনে তাং বংশের নামটি ওকিনাওয়ায় ছিল একটি প্রতিশব্দ) 空手 ("খালি হাত") –উভয়ই কারাতে উচ্চারিত হয় – যেটা ইঙ্গিত দেয় যে জাপানিরা আকাঙ্খা করেছিল জাপানি স্টাইলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিকশিত করতে। <ref>{{cite book |last = Draeger & Smith |title = Comprehensive Asian Fighting Arts |year = 1969 |isbn =978-0-87011-436-6 |page = 60 }}</ref> দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, ওকিনাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হয়ে ওঠে এবং কারাতে সংস্থিত সেখানে servicemen এর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।<ref>{{cite book |last = Bishop |first = Mark |title = Okinawan Karate Second Edition|year = 1999 |isbn =978-0-8048-3205-2 |page = 11 }}</ref>
== নামকরণের ইতিহাস ==
 
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের মার্শাল আর্ট সিনেমাগুলো কারাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে এবং কারাতে শব্দটি জেনেরিক পন্থায় সব ওরিয়েন্টাল মার্শাল আর্টে ব্যবহিত হয়েছে।<ref>[http://csc.sagepub.com/cgi/content/abstract/1/4/395 Dr. Gary J. Krug: the Feet of the Master: Three Stages in the Appropriation of Okinawan Karate Into Anglo-American Culture]</ref> কারাতে স্কুল বিশ্ব জুড়ে প্রকাশমান হয়েছে, যারা আকর্ষণ পরিবেশন যাদের পাশাপাশি যারা গভীর গবেষণা চাইছেন।
[[File:Itosu Anko.jpg|right|thumb|'''আঙ্ক ইতসু''' <br>আধুনিক কারাতের গুরু]]
 
শিগেরু এগামি, শোতোকান দোজোর প্রধান প্রশিক্ষক, বলেছিলেন "যে বিদেশী দেশে কারাতে অনুসরণকারীদের অধিকাংশ শুধুমাত্র এর যুদ্ধ কৌশল অনুশীলন করে ... চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ... কারাতেকে মারামারির রহস্যময় উপায় হিসেবে দেখায় যেখানে একটি একক ঘায়ে মৃত্যু বা আহত করতে সক্ষম ...গণমাধ্যম আসল জিনিস থেকে একটি ছদ্ম শিল্প উপস্থিত করে।"<ref>{{cite book |last = Shigeru |first = Egami |title = The Heart of Karate-Do |year = 1976 |isbn =0-87011-816-1 |page = 13 }}</ref> শশিন নাগামিনে বলেছিলেন," কারাতেকে দীর্ঘস্থায়ী সহ্যশক্তির দ্বন্দ্বের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা যায় যেখানে জিততে হলে নিজেকে আত্মশাসন, কঠোর প্রশিক্ষণ এবং নিজের সৃজনশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগোতে হবে।"<ref>{{cite book |last = Nagamine |first = Shoshin |title = Okinawan Karate-do|year = 1976 |isbn =978-0-8048-2110-0 |page = 47 }}</ref>
{{cleanup|অনুচ্ছেদ|date=মার্চ ২০১২}}
কারাতের উদ্ভব সম্পর্কে চীন ও জাপানে একটি উপকথা রয়েছে। বৌদ্ধধর্মে প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ। তো খ্রিস্টীয় ৫০০ শতকে বোধিধর্ম যখন বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশে হিমালয় অতিক্রম করে ভারত থেকে চীন গেলেন, সে সময় শ্বাপদসঙ্কুল যাত্রাপথে বন্যপ্রাণী ও দস্যুতস্করের হাত থেকে রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার যে কৌশল অবলম্বন করেন পরবর্তীকালে সে পদ্ধতিই চীন ও জাপানে খালিহাতে আত্মরক্ষা বা কারাতে হয়ে ওঠে।{{cn}}
 
অনেক অনুশীলনকারীদের জন্য, কারাতে হল একটি গভীরতম দার্শনিক অনুশীলন। কারাতে নৈতিক মূলনীতি শেখায় এবং adherents এর আধ্যাত্মিক অর্থ আছে। গিছিন ফুনাকশি ("আধুনিক কারাতের জনক") তার কারাতে-দো আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে: কারাতে চর্চা স্থানান্তকরণের প্রকৃতির পরিচিতির মধ্যে আমার জীবনের পথ। বর্তমানে কারাতে অনুশীলন করা হয় শুধুমাত্র স্ব – পরিপূর্ণতা, সাংস্কৃতিক,আত্মরক্ষা এবং খেলা হিসেবে।
বোধিধর্ম। অহিংস বলেই বোধিধর্ম চিন যাওয়ার সময় অস্ত্রশস্ত্র বহন করেন নি। এই নিরস্ত্র ভাবই কারাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। চিনে পৌঁছলেন বোধিধর্ম । স্থানীয় চৈনিক মল্লযুদ্ধের কলাকৌশল লক্ষ করলেন। সেই কৌশলের সঙ্গে নিজস্ব কৌশল মিশিয়ে এক ধরনের ধ্যানের পদ্ধতি আবিস্কার করেন। যে ধ্যানের অর্ন্তগত গভীর নিঃশ্বাস আর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রসারণ বা ষ্ট্রেসিং। যে ধ্যানের নাম পরবর্তীকালে হয়ে উঠবে কুংফু।
ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কালক্রমে বোধিধর্ম প্রবর্তিত এই খালিহাতে আত্মরক্ষার কৌশলটি আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে রিউ-কু রাজ্যে। জাপান থেকে তাইওয়ান অবধি রিউ-কু দ্বীপ রাজ্যটি ছড়িয়ে ছিল। দীর্ঘকাল এটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। ১৯ শতকে রিউ-কু জাপানের অঙ্গীভূত হয়ে যায়।
ওকিনাওয়া দ্বীপটি ছিল রিউ-কু রাজ্যেই। চিনের মূলভূমির ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ওকিনাওয়া দ্বীপটি ৬ মাইল চওড়া ও ৭০ মাইল দীর্ঘ। ওকিনাওয়া প্রবাল দ্বীপ। গুরুত্বপূর্ন নৌ-বানিজ্য পথের মাঝখানে দ্বীপরটির অবস্থান। জাপানিরাই প্রথম দ্বীপটি আবিস্কার করে।
 
২০০৫ সালে, ১১৭তম IOC (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) ভোটদানে, কারাতে অলিম্পিক ক্রীড়া হত্তয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায়নি।<ref>[http://www.olympic.org/Documents/Reference_documents_Factsheets/Olympic_Summer_Programme.pdf IOC Fact Sheet 2012]</ref> জাপানি ওয়েব (জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পন্সরে) দাবি করেছে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি কারাতে অনুশীলনকারী আছে <ref>[http://web-japan.org/factsheet/en/pdf/e16_martial_art.pdf Web Japan]</ref> এবং WKF দাবী করেছে ১০ কোটি অনুশীলনকারী আছে।<ref>[http://www.thekisontheway.com/leading-sport WKF claims 100 million practitioners]</ref>
ইতিহাসের নানা সময়ে অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ওপর ওকিনাওয়ায় অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষার তাগিদেই ওকিনাওয়ায় এক ধরনের বক্সিং বা মুষ্টিযুদ্ধের উদ্ভব ঘটেছিল, যার নাম ছিল ‘তে’। ‘তে’ মানে হাত। আর, ‘কারা’ মানে শূন্য। এ থেকেই উদ্ভব হল কারাতে। খালি হাতে আত্মরক্ষাই হল কারাতে।
 
[[File:Itosu Anko.jpg|right|thumb|'''আঙ্ক ইতসু''' <br>আধুনিক কারাতের গুরু]]
একটা সময়ে অভিজাত এবং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চিন থেকে এল বোধিধর্ম প্রদর্শিত অভিনব খালিহাতে আত্মরক্ষার কৌশল। এতে করে ওকিনাওয়ায় কারাতের আমূল পরিবর্ত ঘটে।
মনে থাকার কথা ওকিনাওয়া দ্বীপটি ছিল রিউ-কু রাজ্যে। দীর্ঘকাল রিউ-কু রাজ্যটি স্বাধীন ছিল। ১৯ শতকে রিউ-কু রাজ্যটি জাপানের অঙ্গীভূত হয়ে যায়। কুড়ি শতকে রিউ-কু রাজ্যের সঙ্গে জাপানের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি হয় । এই প্রথম কারাতে এল জাপানে । ওকিনাওয়ার কারাতেগুরুদের জাপান সরকার জাপানে আমন্ত্রন জানিয়ে কারাতে শেখার ব্যবস্থা করে। ১৯২৪ সালের পর থেকে জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারাতে ক্লাব গড়ে ওঠে। তখন থেকেই কারাতে তে জাপানি ষ্টাইল এর ছোঁওয়া লাগে। হংকং ভিত্তিক প্রচুর অ্যাকশন মুভি কারাতেকে যত বিকৃত উপস্থাপনা করেছে তত হিংস্র এ নয়!
 
এদিকে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ওকিনাওয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপিত হয়। ওখানকার অফিসারদের মধ্যে কারাতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কাজেই কারাতে পৌঁছে যায় ইউরোপ-আমেরিকায়।
ষাট ও সত্তর দশকে ‘ওরিয়েন্টার মার্শাল আর্ট ’ হিসেবে কারাতে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কারাতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর অভিনব বৈশিষ্ট্যের কারণেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মার্জাররাও এই খেলায় অংশ নেয়।
ভাবলে অবাক লাগে কারাতের মূলে একজন ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু বোধিধর্ম। তাঁর প্রদশির্ত পথেই তো রিউ-কু রাজ্যের ওকিনাওয়া দ্বীপের স্থানীয় মুষ্টিযুদ্ধের আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল ।
কুংফু হলো চৈনিক মার্শাল আর্ট বা মল্লযুদ্ধ যার উদ্ভব খ্রিষ্টীয় ৫ম শতকে চিনের জেন উপাসনালয় শাওলিন টেম্পলে। মনে থাকার কথা। চিনের শাওলিন টেম্পলের আদি প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু বোধিধর্ম। তাঁর প্রশিক্ষিত মার্শাল আর্টই কালের পরিক্রমায় কুংফু-র রূপ নিয়েছে।
 
== কারাতের পরিভাষা ==
৫৭ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
*[[কিউকুশিনকাই]],
*[[বুদোকান ]].
 
অনেক স্কুলেই সঙ্গে, অধিভুক্ত হবে বা হবে, এক এই শৈলী অথবা আরও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত।
[[File: KarateStammbaum.svg]]
 
সাধারণ<br/>
কারাতে-খালি হাত<br/>