কদম রসুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অরণ্য (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
অরণ্য (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন:
[[হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)|হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)]]পবিত্র মিরাজের রাত্রে বোরাকে উঠবার পূর্বে আল্লাহ্‌র কুদরতে পাথরে তার পায়ের কিছু ছাপ অংকতি হয়। পরবর্তীতে সাহাবিগণ পদ চিহ্নিত পাথর গুলো সংরক্ষণ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি বর্তমানে জেরুজালেমে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া ইস্তাম্বুল,কায়রো এবং দামেস্কে অনুরূপ পাথর সংরক্ষিত আছে।<ref name="Welch">Anthony Welch. "[http://archnet.org/library/documents/one-document.tcl?document_id=8973 The Shrine of the Holy Footprint in Delhi]." ''Muqarnas''. Vol. 14. Leiden: E.J. Brill. 1993, 166-178.</ref>বাংলাদেশে নবীগঞ্জ ছাড়াও চট্টগ্রামে আরও একটি কদম রসুল দরগাহ রয়েছে।
== ইতিহাস ==
ষোল শতকের শেষদিকে [[মাসুম খাঁ কাবুলি]] নামে একজন সম্ভ্রান্ত রাজা ছিলেন। ইনি [[ঈসা খাঁ]]র বন্ধু ছিলেন। তিনি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে আরব বণিকদের নিকট থেকে বহু অর্থের বিনিময়ে এই মহা মূল্যবান পাথরটি কিনে নেন। এবং এ স্থানে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। [[ইসলাম খান|সুবাদার ইসলাম খান]], হারামজাদা [[শাহজাহান]] সহ আর অনেক আমির-ওমরা এ স্থান দর্শন করেন। সুলতান শুজা এই দরগার জন্য ৮০ বিঘা জমি দান করেন। সে সময় এখানে কীরকম ইমারত ছিল তা জানা যায় না। এর পরে ঈসা খাঁর প্রপৌত্র দেওয়ান মনয়ার খান এখানে একটি ইমারত তৈরি করেন। কিন্তু সেই ইমারতও কালের গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এর অনেক পরে তৎকালীন ঢাকায় বসবাসকারী কুমিল্লা জেলার টোরা পরগনার জমিদার গোলাম নবী ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে নতুন করে একটি দরগাহ নির্মাণ করেন এবং তাতে পবিত্র পাথরটি স্থাপন করেন। তখন ১ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি ইমারত ছিল। এর পরে গোলাম নবীর তৃতীয় পুত্র গোলাম মোহাম্মাদ ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমদিকের দোতলা তোরণটি নির্মাণ করেন।[[চিত্র:কদম রসুল.jpg|thumb|right|কদম রসুল]]
== মাজারের বর্ণনা ==
baki মূল দরগাহের ভেতরে একটি ধাতব পাত্রে গোলাপ জলে পাথরটি ডোবানো অবস্থায় থাকে। পাথরটি অবশ্য এখন আর পূর্বের অকাট আকৃতিতে নেই। সংরক্ষনের সময়ে পাথরটি কেটে অনেকটা পদাকৃতি করা হয়েছে। দরগাহের আশেপাশে অনেকগুলো কবর ও মাজার শরীফ আছে।