খেজুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray (আলোচনা | অবদান)
১৮ নং লাইন:
'''খেজুর''' ({{lang-sa|खर्जूरम्|खर्जूरम्}}); ({{lang-en|Date palm}}) এক ধরনের [[তাল|তালজাতীয়]] শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর [[বৈজ্ঞানিক নাম]] <u>ফিনিক্স</u> <u>ড্যাকটিলিফেরা</u> (''Phoenix dactylifera'')। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট [[ফল]] হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানতঃ মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারী আকারের গাছ হিসেবে [[খেজুর গাছ|খেজুর গাছের]] উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা রয়েছে যা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদণ্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কাণ্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে।
 
== ইতিহাসনামকরণ ==
 
খেজুর গাছের [[দ্বিপদী নামকরণ|দ্বিপদ নামের]] [[প্রজাতি (জীববিদ্যা)|প্রজাতিক]] অংশ ''dactylifera'' এর অর্থ "খেজুর বহনকারী"। নামটি প্রথম অংশ [[গ্রীক ভাষা|প্রাচীন গ্রীক ভাষা]] ''dáktulos'' থেকে এসেছে যার অর্থ "খেজুর" (এর আরেক অর্থ "আঙুল")। আর পরবর্তী অংশ ''ferō'' এসেছে [[ল্যাটিন ভাষা|ল্যাটিন ভাষা]] থেকে যার অর্থ "আমি বহন করি"।<ref name="perseus">[http://www.perseus.tufts.edu/hopper/text?doc=Perseus:text:1999.04.0057:entry=da/ktulos Henry George Liddell, Robert Scott, ''A Greek-English Lexicon'']</ref> খেজুর গাছের ফল ''খেজুর'' নামে পরিচিত।<ref>"Date Palm." 15 October 2008. HowStuffWorks.com.</ref> ফলটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য ৩-৭ সে.মি. এবং ব্যাসার্ধে ২-৩ সে.মি. হয়ে থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে কাঁচা ফল উজ্জ্বল লাল কিংবা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। [[একবীজপত্রী উদ্ভিদ]] হিসেবে এর [[বীজ]] ২-২.৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের হয়। প্রধান তিনটি চাষাবাদ উপযোগী খেজুরের মধ্যে রয়েছে - (ক) ''নরম'' (বর্হি, হলয়ি, খাদরয়ি, মেদজুল); (খ) ''অর্ধ-শুষ্ক'' (দেরি, দেগলেত নূর, জাহদি) এবং (গ) ''শুকনো'' (থুরি)। ফলের রকমফেরের ভিন্নতাজনিত কারণে [[গ্লুকোজ]], [[ফুটকোজ]] এবং [[সুক্রোজ|সুক্রোজের]] ন্যায় বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা নির্ভরশীল।
 
== বৈশিষ্ট্যাবলী ==
সুদীর্ঘকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানতঃ [[মধ্যপ্রাচ্য]] ও [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] কিয়দংশে জনসাধারণের কাছে খেজুর উপাদেয় [[খাদ্য]] হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে, খেজুরের চাষাবাদ কিংবা খেজুর গাছের উৎপত্তি সম্বন্ধে সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হয় যে, [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরের]] তীরবর্তী দেশগুলোয় সর্বপ্রথম এর চাষাবাদ হয়েছিল।<ref>Morton, J. 1987. [http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/date.html Date]. p. 5–11. In: Fruits of warm climates. Julia F. Morton. Miami, FL. — Purdue University. Center for New Crops and Plants Products.</ref> সম্ভবতঃ প্রাচীনকাল থেকেই [[মেসোপটেমিয়া]] থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিস্ট-পূর্ব ৪০০০ বছর থেকে এ গাছের গুণাগুন সম্পর্কে অবগত ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা এর ফল থেকে [[মদ|মদজাতীয়]] পানীয় প্রস্তুত করে [[ফসল|ফসলের]] সময় তা পান করতো। খ্রিস্ট-পূর্ব ৬০০০ বছর আগেকার সময়ে [[প্রত্নতত্ত্ব|প্রত্নতাত্ত্বিক]] নিদর্শনে দেখা যায় যে, পূর্বাঞ্চলীয় আরবেও এর চাষাবাদ হতো।
ফলটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য ৩-৭ সে.মি. এবং ব্যাসার্ধে ২-৩ সে.মি. হয়ে থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে কাঁচা ফল উজ্জ্বল লাল কিংবা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। [[একবীজপত্রী উদ্ভিদ]] হিসেবে এর [[বীজ]] ২-২.৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের হয়। প্রধান তিনটি চাষাবাদ উপযোগী খেজুরের মধ্যে রয়েছে - (ক) ''নরম'' (বর্হি, হলয়ি, খাদরয়ি, মেদজুল); (খ) ''অর্ধ-শুষ্ক'' (দেরি, দেগলেত নূর, জাহদি) এবং (গ) ''শুকনো'' (থুরি)। ফলের রকমফেরের ভিন্নতাজনিত কারণে [[গ্লুকোজ]], [[ফুটকোজ]] এবং [[সুক্রোজ|সুক্রোজের]] ন্যায় বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা নির্ভরশীল।
 
চারটি পর্যায়ে খেজুরকে পাকানো হয়। [[আরবী ভাষা|আরবী ভাষায়]] সেগুলো বিশ্বব্যাপী ''কিমরি'' (কাঁচা), ''খলাল'' (পূর্ণাঙ্গ, ক্রাঞ্চি), ''রুতাব'' (পাকা, নরম), ''তমর'' (পাকা, সূর্যে শুকানো) নামে পরিচিত।
 
== ইতিহাস ==
সুদীর্ঘকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানতঃ [[মধ্যপ্রাচ্য]] ও [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] কিয়দংশেকিয়দাংশে জনসাধারণের কাছে খেজুর প্রধান উপাদেয় [[খাদ্য]] হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে, খেজুরের চাষাবাদ কিংবা খেজুর গাছের উৎপত্তি সম্বন্ধে সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হয় যে, [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরের]] তীরবর্তী দেশগুলোয় সর্বপ্রথম এর চাষাবাদ হয়েছিল।<ref>Morton, J. 1987. [http://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/date.html Date]. p. 5–11. In: Fruits of warm climates. Julia F. Morton. Miami, FL. — Purdue University. Center for New Crops and Plants Products.</ref> সম্ভবতঃ প্রাচীনকাল থেকেই [[মেসোপটেমিয়া]] থেকে প্রাগৈতিহাসিক মিশরের অধিবাসীরা খ্রিস্ট-পূর্ব ৪০০০ বছর থেকে এ গাছের গুণাগুন সম্পর্কে অবগত ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা এর ফল থেকে [[মদ|মদজাতীয়]] পানীয় প্রস্তুত করে [[ফসল|ফসলের]] সময় তা পান করতো। খ্রিস্ট-পূর্ব ৬০০০ বছর আগেকার সময়ে [[প্রত্নতত্ত্ব|প্রত্নতাত্ত্বিক]] নিদর্শনে দেখা যায় যে, পূর্বাঞ্চলীয় আরবেও এর চাষাবাদ হতো।
 
[[প্রস্তর যুগ|প্রস্তর যুগে]] পশ্চিম পাকিস্তানের মেরগড় এলাকায়ও খেজুরের চাষাবাদ সম্পর্কে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে লিপিবদ্ধ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার সভ্যতা হিসেবে বিবেচিত [[হরপ্পা]] এলাকার কথা উল্লেখ আছে খ্রিস্ট-পূর্ব ২৬০০ থেকে খ্রিস্ট-পূর্ব ১৯০০ বছর পর্যন্ত।
 
== উপযোগিতা ==
প্রতি ১০০ গ্রাম পরিস্কার ও তাজা খেজুর ফলে [[ভিটামিন-সি]] রয়েছে যা থেকে ২৩০ [[ক্যালরী]] (৯৬০ [[জুল]]) শক্তি উৎপাদন করে। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে [[পানি]] থাকে যা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার ফলে সঞ্চিত ভিটামিন সি খাদ্য উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
 
[[তুরস্ক]], [[ইরাক]] এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চল [[মরক্কো|মরক্কোয়]] খেজুরের উপযোগিতা প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে।
 
== বৈশ্বিক উৎপাদন ==