৪,৪১২টি
সম্পাদনা
Yahia.barie (আলোচনা | অবদান) (সংশোধন) |
|||
'''বিপণন''' হলো [[পণ্য]] বা [[মূল্য|মূল্যের]] বিনিময়ে কোনো ব্যক্তি বা দলের [[প্রয়োজন]] ও [[অভাব]] পূরণ করার সামাজিক এবং ব্যবস্থাপকীয় কার্যক্রম।<ref name="KotlerIntro">''Principles of Marketing'' (10th Edition), Philip Kotler & Gary Armstrong, Pearson Prentice Hall (International Edition), ISBN 0-13-121276-1; প্রকাশকাল: ২০০৩-২০০৪। পরিদর্শনের তারিখ: এপ্রিল ১৭, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref> Converse-এর মতে, "সময়গত, স্থানগত এবং স্বত্ত্বগত উপযোগ সৃষ্টি করাই
{{cquote|সংগঠন ও স্টেক হোল্ডারদের সুবিধার্থে ক্রেতা সম্পর্কভিত্তিক ব্যবস্থাপনা এবং ক্রেতা সৃষ্টি, যোগাযোগ স্থাপন ও ভ্যালু প্রদানের লক্ষ্যে সম্পাদিত সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং প্রক্রিয়ার সমষ্টিকেই
==বিপণনের মৌলিক ধারণাসমূহ==
==বিপণন অর্পণ==
{| class="wikitable"
|-
| '''পণ্য''' ||
|-
| '''সেবা''' ||অগ্রগামী বিশ্বে পণ্যের পাশাপাশি সেবাও
|-
| '''ঘটনা''' || বিভিন্ন সময়ানুগ ঘটনাও
|-
| '''অভিজ্ঞতা''' || অনেক ফার্মই, কিংবা ব্যক্তি কোনো কাজে দক্ষতার পরিচয় দিতে দিতে একসময় অভিজ্ঞ হয়ে উঠলে তা
|-
| '''ব্যক্তি''' || তারকা ব্যক্তিত্বের
|-
| '''স্থান''' || বিভিন্ন স্থান, এলাকাও বাজারজাত হতে পারে, যেমন: পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান বাজারজাতকরণ। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে [[কক্সবাজার|কক্সবাজারের]] প্রচারণা।
|-
| '''সম্পত্তি''' || অস্পৃশ্য সম্পত্তির মালিকানা, চাই স্থাবর সম্পত্তি, কিংবা আর্থিক সম্পত্তি
|-
| '''সংগঠন''' || বিভিন্ন সংগঠন তাদের লক্ষ্য-ক্রেতাদের কাছে তাদের ভাবমূর্তি প্রস্ফুটিত করতে
|-
| '''তথ্য''' || তথ্যও পণ্যের মতো
|-
| '''ধারণা''' || প্রত্যেক বাজার অর্পণই মূলত একটি ধারণা। অনেক প্রতিষ্ঠান পণ্য সংক্রান্ত এমন ধারণার
|}
==বিপণনের তত্ত্ব বা মতবাদসমূহ==
===উৎপাদন মতবাদ===
উৎপাদন মতবাদ (Production Concept)
# যখন যোগানের চেয়ে চাহিদা বেড়ে যায়
# যখন পণ্যের দাম বেড়ে যায় এবং দাম কমাতে উৎপাদন বাড়াতে হয়
তবে এতদসত্ত্বেয় উৎপাদন মতবাদের একনিষ্ঠ প্রয়োগ অনেক সময় কোম্পানীকে 'ক্রেতার চাহিদা পূরণের' মূল লক্ষ্য থেকে সরিয়ে রাখে।<ref name="KotlerIntro"/>
===পণ্য মতবাদ===
''ক্রেতা শুধুমাত্র সেই পণ্যে আকৃষ্ট হবে, যা গুণ, মান, বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল এবং পণ্যটির উৎকর্ষ সাধন করা হয়''- এই মতবাদে দিক্ষীত পণ্য মতবাদ (Product Concept)। এতে উৎপাদক যেন বিশ্বাস করেন যে, একটা ভালো মানের 'ইঁদুর-ধরা ফাঁদ'ই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করবে, কিন্তু একজন ক্রেতা যে ইঁদুর ধরা ফাঁদের বদলে ইঁদুর মারার পথ খুঁজতে পারেন, তা ভাবা হয় না। তাই পণ্য মতবাদও বাজারজাতকরণ ক্ষীণদৃষ্টির (Marketing myopia) পরিচয় দেয়। তাছাড়া এই মতবাদে অনেক সময়ই সম্ভাব্য প্রতিযোগীকে বিবেচনা করা হয় না।<ref name="KotlerIntro"/>
===বিক্রয় মতবাদ===
''ক্রেতা ততক্ষণ কোনো পণ্য ক্রয় করবে না, যতক্ষণ কোম্পানীর পক্ষ থেকে পণ্যের পক্ষে জোরালো প্রচার ও প্রসার কার্যক্রম হাতে না নেয়া হয়''- এমনটাই ধারণা বিক্রয় মতবাদের (Selling Concept)। সাধারণত সচরাচর প্রয়োজন হয়না বা কেনা হয়না এমন পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয় মতবাদ কাজে লাগানো হয়; যেমন: বীমা পলিসি, বিশ্বকোষ ইত্যাদি। আবার অনেক কোম্পানীর, চাহিদার চেয়েও যোগান বেশি দেবার ক্ষমতা থাকলে তারাও বিক্রয় মতবাদ ব্যবহার করে। কিন্তু বিক্রয় মতবাদ অনেকাংশেই ব্যবসায়িক ধ্যান-ধারণার মতবাদ; এতে অনেক সময়ই যা উৎপাদন করা হয়, তা বিক্রয় করার চিন্তা করা হয়, কিন্তু বাজার যা চায়, তা বিক্রয় করার চিন্তা করা হয় না।
===বিপণন মতবাদ===
বিক্রয় মতবাদের ক্ষীণদৃষ্টিকে সামলে নিয়ে জন্ম হয় বাজারজাতকরণ মতবাদের (Marketing Concept)। [[১৯৫০]] খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝিতে উদ্ভব হয় এ মতবাদের। এ মতবাদ মতে, ''ক্রেতাদের চাহিদা ও সন্তুষ্টির নিমিত্তেই লক্ষ্যার্জন করতে হয়''। বিক্রয় মতবাদের 'পণ্যের জন্য ক্রেতা' ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে 'ক্রেতার জন্য পণ্য' ধারণার মতো যুগান্তকারী অথচ সম্পূর্ণ বিপরীত ধরণার জন্ম দেয় এই মতবাদ। কিন্তু এ মতবাদও শুধুমাত্র ক্রেতা-ভোক্তা, আর কোম্পানীর বাইরে আর কিছু নিয়ে ভাবে না, তাই এই মতবাদও সর্বাধুনিক মতবাদ নয় বলে অনেকে মনে করেন।<ref name="KotlerIntro"/>
===সামাজিক বিপণন মতবাদ===
[[১৯৭০]] খ্রিস্টাব্দের পর সমাজের উপযোগিতা, স্বার্থ বিবেচনা করে যে
===সামগ্রিক বিপণন মতবাদ===
কিন্তু অপরাপর সকল মতবাদই কোনো না কোনো দৃষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলে এই ফাঁক পূরণ করতে একবিংশ শতাব্দিতে উদ্ভব হয় সামগ্রিক
* সম্পর্ক
** ক্রেতা
** চ্যানেল
** সহযোগী
* সমন্বিত
** যোগাযোগ
** পণ্য ও সেবা
** চ্যানেলসমূহ
* অভ্যন্তরীণ
**
** উচ্চতর ব্যবস্থাপনা
** অন্যান্য বিভাগ
* সামাজিক দায়বদ্ধ
** নৈতিকতা
** পরিবেশ
|