বনমোরগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
নিবন্ধের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে
১ নং লাইন:
{{Taxobox
| name = বনমোরগ''Gallus'' (গণ)
| image = Flickr - Rainbirder - Ceylon Junglefowl (Gallus lafayetii) Male.jpg
| status = LC
| image_width = 250px
| status_system = iucn3.1
| image_caption = [[শ্রীলঙ্কার বনমোরগ]], ''Gallus lafayetii''
| status_ref = <ref name="Gallus">[http://www.iucnredlist.org/apps/redlist/details/100600246/0], আই. ইউ. সি. এন. এর লাল তালিকাতে বনমোরগ বিষয়ক পাতা।</ref>
| image = Gallus gallus -Kaziranga National Park, Assam, India-8.jpg
| image_caption = বনমোরগ ও বনমুরগী, [[কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান]], [[আসাম]], [[ভারত]]
| image_width = 300px
| regnum = [[Animal]]ia
| phylum = [[Chordate|Chordata]]
| classis = [[birdBird|Aves]]
| ordo = [[Galliformes]]
| familia = [[Phasianidae]]
| subfamilia = [[Phasianinae]]
| genus = ''[['''Gallus]]'''''
| genus_authority = [[Mathurin Jacques Brisson|Brisson]], 1760
| species = ''G. gallus''
| subdivision_ranks = প্রজাতি
| binomial = ''Gallus gallus''
| subdivision =
| binomial_authority = ([[Carolus Linnaeus|Linnaeus]], 1758)
| range_map = *''Gallus gallus'' : map.jpg[[বনমোরগ]]
*''Gallus lafayetii'' : [[শ্রীলঙ্কার বনমোরগ]]
| range_map_width = 300px
*''Gallus sonneratii'' : [[ধূসর বনমোরগ]]
| range_map_caption = বনমোরগের বিস্তৃতি
*''Gallus varius'' : [[সবুজ বনমোরগ]]
}}
 
'''বনমোরগ''' ([[লাতিন ভাষা|লাতিন ভাষায়]]: ''Gallus'') [[Galliformes]] (গ্যালিফর্মিস) [[বর্গ (জীববিদ্যা)|বর্গের]] অন্তর্গত [[Phasianinae]] (ফ্যাসিয়ানিনি) [[উপগোত্র|উপগোত্রের]] অন্তর্ভূক্ত ১৬টি [[গণ (জীববিদ্যা)|গণের]] একটি। ''Gallus'' শব্দটি [[ল্যাটিন ভাষা]] থেকে উদ্ভুত যার অর্থ "গোলাবাড়ি সংলগ্ন জমির মুরগী"। পৃথিবীতে জীবিত চারটি [[প্রজাতি|প্রজাতির]] পাখি এই গণের অন্তর্ভুক্ত। সবগুলো প্রজাতির আবাস [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ]] ও [[দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া|দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়]]।
'''বনমোরগ''' (''Gallus gallus'') ({{lang-en|Red Junglefowl}}) ফ্যাসিয়ানিডি ([[:en:Phasianidae|Phasianidae]]) গোত্রের অন্তর্গত সর্বাধিক পরিচিত একটি প্রজাতি।<ref name="আলী রেজা">''বাংলাদেশের পাখি'', রেজা খান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা (২০০৮), পৃ. ১১২।</ref> ধরে নেওয়া হয় পৃথিবীর সমস্ত মোরগ-মুরগী আবির্ভূত হয়েছে এই বন মোরগের প্রজাতির কিছুকিছু নমুনার গৃহপালনের মাধ্যমে, তাতে লেগে গেছে কয়েক হাজার বছর। গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশংকাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছায় নি। সেকারণে [[আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ|আই. ইউ. সি. এন.]] বনমোরগকে Least Concern বা আশংকাহীন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।<ref name="Tufted">[http://www.birdlife.org/datazone/speciesfactsheet.php?id=246], BirdLife International এ বনমোরগ বিষয়ক পাতা।</ref><ref name="Gallus">[http://www.iucnredlist.org/apps/redlist/details/100600246/0], আই. ইউ. সি. এন. এর লাল তালিকাতে বনমোরগ বিষয়ক পাতা।</ref>
 
==বৈশিষ্ট্য==
==বিস্তৃতি==
প্রজাতিগুলো মাঝারি আকারের [[ভূচর পাখি]]। এদের মাথায় ঝুঁটি ও গলার দুই পাশে দু'টি ঝুলন্ত লতিকা থাকে। ডানা গোলাকার; ডানার পঞ্চম প্রান্ত-পালকটি দীর্ঘতম। প্রথমটি দশমটির চেয়ে ছোট। লেজ দু'পাশ থেকে চাপা' লেজে মোট ১৪টি পালক থাকে। প্রজাতির পুরুষটির মাঝের দু'টি পালক লম্বা ও কাস্তের মত বাঁকানো। ঘাড় ও কোমর সরু এবং লম্বা কাঠির মত পালকে ঘেরা। পা শক্তিশালী ও লম্বা। নখরসহ মধ্যমার চেয়ে বড়। পুরুষটির পায়ের পেছনে গজালের মত লম্বা তীক্ষ্ণ নখর আছে। পুরুষ আর স্ত্রী নমুনার মধ্যে অত্যধিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।<ref name="এশিয়াটিক">জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), ''বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি'', খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৭।</ref>
 
[[নেপাল]], [[ভুটান]], [[মিয়ানমার]], [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]], [[চীন]], [[মালয়েশিয়া]], [[মালদ্বীপ]], [[লাওস]], [[কম্বোডিয়া]], [[পাকিস্তান]], [[সিঙ্গাপুর]], [[ফিলিপাইন]], [[ভিয়েতনাম]], [[পূর্ব তিমুর]] ও [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়ায়]] এ পাখি দেখা যায়। এছাড়া [[অস্ট্রেলিয়া]], [[ফিজি]], [[জ্যামাইকা]], [[ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র]], [[মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ]], [[নাউরু]], [[পালাউ]], [[পুয়ের্তো রিকো]] ও [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] এদের অবমুক্ত করা হয়েছে।<ref name="Gallus"/>
 
===বাংলাদেশে অবস্থা===
 
বাংলাদেশে [[সিলেট বিভাগ|সিলেট]] ও [[চট্টগ্রাম বিভাগ|চট্টগ্রাম বিভাগের]] চিরসবুজ বন, চা-বাগান, [[শেরপুর জেলা|শেরপুর]] ও [[মধুপুর জাতীয় উদ্যান|মধুপুর]] শালবন ও [[সুন্দরবন|সুন্দরবনে]] বনমোরগ বাস করে। একসময় প্রায় সব ধরনের বন-জঙ্গলেই এদের দেখা যেত। কিন্তু ব্যাপক শিকারের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে এরা কমে গেছে। আদিবাসীদের কারণে পাহাড়ি বনেও এরা প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখনো [[পার্বত্য চট্টগ্রাম|পার্বত্য চট্টগ্রামের]] কোনো কোনো হাটবাজারে বনমোরগ বিক্রি হয়। তবে সিলেটের চা-বাগান ও সুন্দরবনে এরা মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে।<ref name="মনভোলানো">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/127781], ''মনভোলানো বনমোরগ'', সৌরভ মাহমুদ, ৩১-০১-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref><ref name="test">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/166548], ''বনমোরগের ছানা'', আ ন ম আমিনুর রহমান, ৩০-০৬-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref>
 
==উপপ্রজাতি==
 
অঞ্চলভেদে বনমোরগের একাধিক [[উপপ্রজাতি]] দেখা যায়। এরা হল:
* ''[[Gallus gallus gallus|G. g. gallus]]'', [[ইন্দোচীন]]
* ''[[Gallus gallus bankiva|G. g. bankiva]]'', [[জাভা]]
* ''[[Gallus gallus jabouillei|G. g. jabouillei]]'', [[ভিয়েতনাম]]
* ''[[Gallus gallus murghi|G. g. murghi]]'', [[ভারত]] ও [[বাংলাদেশ]]
* ''[[Gallus gallus spadiceus|G. g. spadiceus]]'', [[মিয়ানমার]]
* ''[[Gallus gallus domesticus|G. g. domesticus]]'', গৃহপালিত মোরগ-মুরগী।
 
==বিবরণ==
 
বনমোরগ খুব সুন্দর ঝালরাবৃত লালচে, সোনালি ও কালো পালক জড়িত পিঠ ও ডানাসম্বৃদ্ধ একটি পাখি। কপোল থেকে পালকহীন মাংসল মণি বা কোম্ব বের হয়েছে। ঠোঁটের নিচে ও কানের সামনে থেকে বের হয়েছে দুটি লাল লতিকা বা পর্দা। পালকহীন চোখের চারিদিকের চামড়া লালচে, নিচের দিকে কালচে। প্রলম্বিত লেজের পালক নিচের দিকে বাঁকানো। বনমুরগী তুলনায় ছোট ও লেজে বাহারি পালক নেই। দেহের পালক সোনালী আভাযুক্ত বাদামী, তার সাথে সামান্য গাঢ় দাগ। মণি, লতিকা ও চোখের কোল বনমোরগের তুলনায় তেমন দর্শনীয় নয়।<ref name="আলী রেজা"/>
[[File:Gallus gallus female - Kaeng Krachan.jpg|thumb|left| বনমুরগী]]
 
==আচরণ==
 
বনমোরগ-মুরগী একাকী, জোড়ায় বা ছোট দলে ঘুরে বেড়ায়। মাটি থেকে কুড়িয়ে বিভিন্ন শস্যদানা, ঘাসের গোড়া, কচিপাতা, কেঁচো, কীটপতঙ্গ, ফল এসব খায়। খুব ভোরে ও সন্ধ্যার আগে আগে বনের পাশের খোলা জায়গায় খাবার খেতে আসে। শীতের সময় কুয়াশা থাকা অবস্থায় খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। বনের কোনো গাছতলায় পাকা ফল ঝরে পড়া শুরু করলে বনমোরগ-বনমুরগী প্রতিদিন সকাল-বিকাল সেই গাছতলায় আসে। আবার বনের বড় গাছে উঠেও এদের ফল খেতে দেখা গেছে। রাত কাটায় উঁচু গাছের ডালে বা বাঁশঝাড়ে। সামান্য শব্দে ভীত হয়ে উড়ে গিয়ে বসবে গাছের মগডালে। পালানোর সময় পোষা মুরগির মতোই কক্ কক্ করে ডাকে।<ref name="মনভোলানো">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/127781], ''মনভোলানো বনমোরগ'', সৌরভ মাহমুদ, ৩১-০১-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref><ref name="test">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/166548], ''বনমোরগের ছানা'', আ ন ম আমিনুর রহমান, ৩০-০৬-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref>
 
বনমোরগ বিশেষভাবে একটি আঞ্চলিক পাখি, অর্থাৎ এরা নিজেদের নির্ধারিত সীমায় বসবাস করে, অন্যের অনুপ্রবেশ মোটেও বরদাশত করতে পারে না। প্রজননকালের শুরুতে এ আচরণ অধিকহারে দেখা যায়। এসময় দলপতি বা শক্তিমান মোরগ তিন থেকে পাঁচটি মুরগী নিয়ে দল গঠন করে ঘুরে বেড়ায়। কমবয়েসী মোরগেরা পৃথকভাবে দুই বা তিন সদস্যের দল গঠন করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বনমুরগীর বীর্য ফেলে দেবার ক্ষমতা রয়েছে। এরা কেবল দলপতি মোরগের বীর্যই গ্রহণ করে, অন্যসব মোরগের বীর্য ফেলে দেয়।<ref name="overview">[http://eol.org/pages/1049263/overview], Encyclopedia of Life এ বনমোরগ বিষয়ক পাতা।</ref>
[[File:Red junglefowl hm.jpg|thumb|left|বনমোরগ-মুরগী, অঙ্কিত চিত্র]]
 
==প্রজনন==
 
জানুয়ারি থেকে অক্টোবর প্রজননকাল। বনের নির্জন স্থানে পায়ের নখ আঁচড়িয়ে মাটিতে সামান্য গর্ত করে তাতে বনমুরগি শুকনো ঘাস ও কাঠিকুটি বিছিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে পাঁচ-ছয়টি; রং হালকা থেকে গাঢ় বাদামি। বনমুরগি শুধু ডিমে তা দেয় ও ছানাদের লালন-পালনে ব্যস্ত থাকে। ডিম ফোটে ২০-২১ দিনে। ফোটার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ছানাগুলো বাসা ছাড়ে ও মায়ের সঙ্গে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।<ref name="মনভোলানো">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/127781], ''মনভোলানো বনমোরগ'', সৌরভ মাহমুদ, ৩১-০১-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref><ref name="test">[http://www.prothom-alo.com/detail/news/166548], ''বনমোরগের ছানা'', আ ন ম আমিনুর রহমান, ৩০-০৬-২০১১, দৈনিক প্রথম আলো।</ref> ১২ সপ্তাহ বয়সে ছানারা দল থেকে বেরিয়ে পড়ে নতুন দলে প্রবেশ করে বা নিজেরাই দল গঠন করে।<ref name="overview"/>
 
==আরও দেখুন==
 
* [[মুরগি]]
 
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার পাখিPhasianinae]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের পাখিবনমোরগ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:নেপালের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভুটানের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:চীনের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মালয়েশিয়ার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মালদ্বীপের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:লাওসের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:কম্বোডিয়ার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:সিঙ্গাপুরের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফিলিপাইনের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মায়ানমারের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভিয়েতনামের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্ব তিমুরের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়ার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:নাউরুর পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:গ্যালাস]]
 
[[br:Gallus (genad)]]
[[be:Банкіўскі певень]]
[[ca:Gallus]]
[[be-x-old:Банкіўскі певень]]
[[cada:Gall de BankivaJunglehøns]]
[[csde:Kur bankivskýKammhühner]]
[[daen:Røde junglehønsJunglefowl]]
[[deeo:BankivahuhnTipaj kokoj]]
[[enes:Red JunglefowlGallus]]
[[eofi:Bankiva kokoKanat]]
[[esfr:Gallus gallus bankiva(genre)]]
[[he:תרנגול (סוג)]]
[[et:Puna-džunglikana]]
[[hu:Gallus (állatnem)]]
[[fi:Punaviidakkokana]]
[[frid:CoqAyam bankivaHutan]]
[[frpis:Jal dorâKambhænsn]]
[[it:Gallus]]
[[he:תרנגול בנקיבה]]
[[hrja:Divlja kokošヤケイ属]]
[[hujv:BankivatyúkPitik alas]]
[[idko:Ayam-hutan Merah닭속]]
[[itlt:Gallus gallusVištos]]
[[lv:Vistas]]
[[ja:セキショクヤケイ]]
[[ml:കാട്ടുകോഴി]]
[[jv:Pitik alas abang]]
[[ms:Ayam hutan]]
[[ka:ბანკივური ქათამი]]
[[nl:Gallus (geslacht)]]
[[kk:Банкивтік қораз]]
[[kopl:적색야계Gallus (rodzaj)]]
[[ltpt:Bankivinė vištaGallus]]
[[ru:Джунглевые куры]]
[[lv:Sarkanā savvaļas vista]]
[[simple:Junglefowl]]
[[ml:ചുവന്ന കാട്ടുകോഴി]]
[[mstl:AyamGallus hutan Merah(biyolohiya)]]
[[nlvi:BankivahoenGà rừng]]
[[plzh:Kur bankiwa原鸡属]]
[[pnb:رتا جنگلی ککڑ]]
[[pt:Galo-banquiva]]
[[ru:Банкивская джунглевая курица]]
[[simple:Red Junglefowl]]
[[sv:Röd djungelhöna]]
[[th:ไก่ป่า]]
[[to:Moa kaivao]]
[[uk:Банківський півень]]
[[vi:Gà rừng lông đỏ]]
[[zh:原雞]]