ফকল্যান্ডস যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (বট যোগ করছে: hy:Ֆոլկլենդյան պատերազմ
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
Using {{lang}}
১৮ নং লাইন:
|casualties2=২৫৮ <!-- 255 military + 3 civilians killed on the Falklands Islands --> নিহত<ref>[http://www.raf.mod.uk/falklands/rollofhonour.html Casualties of the Falklands War] ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট, ১১ই জানুয়ারি, ২০০৬ তারিখে সংগৃহীত</ref><br />৭৭৭ জন আহত<br />১১৫ জন বন্দী <!-- April 2nd: 57 Royal Marines, 11 Royal Navy & 23 Falkland Islands Defence Force (FIDF), April 3rd: 22 RM, May 21st: 1 RAF, June 10th: 1 SAS. --><br />৬টি সি হ্যারিয়ার<br />৪টি হ্যারিয়ার GR.3<br />২৪টি হেলিকপ্টার<br />২টি ডেস্ট্রয়ার<br />২টি ফ্রিগেট<br />১টি ল্যান্ডিং শিপ<br />১টি উভচর যান<br />১টি কন্টেইনার জাহাজ<br />৪টি প্রত্যাহারকৃত জাহাজ
|notes=
}}'''ফক্‌ল্যান্ড্‌স যুদ্ধ''' ([[ইংরেজি ভাষা{{lang-en|ইংরেজি ভাষায়]]: Falklands War; [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষায়]]: Guerra de las Malvinas/Guerra del Atlántico Sur}}) ছিল দক্ষিণ [[আটলান্টিক মহাসাগর|আটলান্টিক মহাসাগরে]] [[ফক্‌ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ|ফক্‌ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের]] (আর্জেন্টিনীয়দের দেয়া নাম Islas Malvinas ''ইসলাস মালবিনাস'') নিয়ন্ত্রণের উপর [[আর্জেন্টিনা]] ও [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] মধ্যে সংঘটিত অঘোষিত যুদ্ধ। [[১৯৮২]] সালের [[২রা এপ্রিল]] থেকে [[১৪ই জুন]] পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলে।
 
ফক্‌ল্যান্ড দ্বীপগুলি আর্জেন্টিনার পূর্ব উপকূল থেকে ৪৮০ কিমি দূরে অবস্থিত। [[১৫৯২]] সালে ব্রিটিশ নাবিকেরা সম্ভবত এগুলি প্রথম আবিষ্কার করে। কিন্তু আর্জেন্টিনার উপকূলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় আর্জেন্টিনা ১৯শ শতকের শুরু থেকেই এই দ্বীপগুলিকে নিজেদের বলে দাবী করে। আর্জেন্টিনীয়রা এগুলিকে "মালবিনাস দ্বীপপুঞ্জ" (Islas Malvinas) নামে ডাকে। আর্জেন্টিনার যুক্তি ছিল ১৭৬০-এর দশক থেকে, অর্থাৎ ব্রিটিশদের আসার অনেক আগে স্পেনীয়রা এখানে বসতি স্থাপন করেছে। ১৮৩৩ সালে এখানে ব্রিটিশদের বসতি ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হয় এবং তখন থেকেই যুক্তরাজ্য দ্বীপগুলির উপর আর্জেন্টিনার দাবী অগ্রাহ্য করতে থাকে। ১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে আর্জেন্টিনা আবার তাদের দাবী উত্থাপন করে এবং ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে ব্রিটেনের সাথে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করে। ১৯৭০-এর দশকে ব্রিটেন আর্জেন্টিনাকে দ্বীপগুলি দিয়ে দেবার ব্যাপারে ইচ্ছুক হবার আভাস দেয়। একটি সমাধান ছিল একবারে দ্বীপগুলিকে ফেরত না দিয়ে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে দেয়া। এই সমাধান অনুসারে দ্বীপগুলি আর্জেন্টিনার আয়ত্তে থাকবে, কিন্তু ব্রিটেন এগুলির প্রশাসন চালাবে। কিন্তু ফকল্যান্ড দ্বীপবাসী ব্রিটেনের অধীনেই থাকার ব্যাপারে সম্মতি দেয়, এবং ১৯৮২ সালে এ-সংক্রান্ত আলোচনা ভেস্তে যায়। ১৯৮২ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি [[লেওপোলদো গালতিয়েরি]] দ্বীপগুলি জোর করে দখল নেয়ার পরিকল্পনা করেন। গালতিয়েরির এই আক্রমণের পেছনে রাজনৈতিক কৌশলও কাজ করছিল। সেসময় অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত আর্জেন্টিনার জনগণের মধ্যে ব্যাপক অন্তর্কলহকে সামাল দিয়ে তাদেরকে সামরিক সরকারের পেছনে এক কাতারে আনতে এবং বিদেশে ক্রমশ বিতর্কিত ও নিন্দিত সামরিক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলিকে চাপা দিতে গালতিয়েরি এই চাল চালেন বলে অনেকে ধারণা করেন। এই লক্ষ্যে আর্জেন্টিনাতে গোপনে একটি আক্রমণ দল প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ সময় ফক্‌ল্যান্ড্‌স দ্বীপপুঞ্জের ১৬০০ কিলোমিটার পূর্বে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত [[সাউথ জর্জিয়া দ্বীপ|সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে]] অবস্থানরত আর্জেন্টিনীয় সাহায্যকর্মী এবং ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। ফলে আক্রমণের নির্ধারিত সময়সীমার আগেই আর্জেন্টিনা সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। সেখানে যাবার পথে [[২রা এপ্রিল]] এই নৌবহরই ফক্‌ল্যান্ড্‌স দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করে। আর্জেন্টিনার সেনারা দ্বীপগুলির রাজধানী [[পোর্ট স্ট্যানলি|পোর্ট স্ট্যানলিতে]] অবস্থিত ক্ষুদ্র ব্রিটিশ সৈন্যদলকে সহজেই পরাজিত করে। তবে আদেশ অনুযায়ী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হলেও তারা কোন ব্রিটিশ প্রাণহরণ করেনি। এর পরের দিন [[৩রা এপ্রিল]] আর্জেন্টিনীয়রা সাউথ জর্জিয়া দ্বীপ ও [[সাউথ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ]] দখলে নেয়। এপ্রিলের শেষের দিকেই ফক্‌ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে আর্জেন্টিনা প্রায় ১০,০০০ সৈন্যের সমাবেশ ঘটায়। তবে এদের অধিকাংশই ছিল সাধারণ সৈনিক ও তারা সুপ্রশিক্ষিত ছিল না। প্রত্যাশামাফিক আর্জেন্টিনার জনগণ তাদের রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপে খুশি হয় এবং রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের সামনে প্লাসা দে মাইয়ো চত্বরে জনতা এই সামরিক পদক্ষেপের সমর্থনে জড়ো হয়।