প্রাকৃতিক নির্বাচন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (বট যোগ করছে: lv:Dabiskā izlase
৯ নং লাইন:
==সাধারণ নীতিমালা==
[[File:Lichte en zwarte versie berkenspanner.jpg|thumb|একই গাছে টিপিকা এবং কার্বোন্যারিয়া বৈশিষ্ট্য। হালকা রঙের টিপিকা এই দূষণমুক্ত গাছে সহজে দেখা যায় না, যার ফলে গ্রিট টিট এর মত শিকারীর হাত থেকে সে রক্ষা পায়]]
যেকোন জনগোষ্ঠীতেই প্রাকৃতিকভাবে প্রকরণ উৎপন্ন হয়। অনেক প্রকরণই প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে না (যেমন, মানুষের চোখের রঙ), কিন্তু কিছু কিছু করে। একটি [[খরগোশ]] অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগামী হলে সহজেই শিকারীরqঅশিকারীর হাত থেকে পালাতে পারবে, কোন [[শৈবাল]] [[সালোকসংশ্লেষণ|সালোকসংশ্লেষণে]] বেশি পারদর্শী হলে অন্যদের চেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠবে। কোন প্রকরণ প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করলে তার প্রজননের হারকেও প্রভাবিত করবে; তবে মাঝে মাঝে দু’টো একই সাথে প্রভাবিত নাও হতে পারে। শেষ পর্যন্ত আসলে একটি প্রাণীর সারা জীবনের প্রজননগত সাফল্যই গুরুত্ব বহন করে।
 
যেমন, [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]] হালকা ও গাঢ় রঙের peppered moth পাওয়া যেত। শিল্প বিপ্লবের সময় গাছের গুড়িতে বসবাস করা পতঙ্গগুলোর উপর ধূলো পড়ায় সেগুলোর রঙ গাঢ় হয়ে গিয়েছিল, এতে করে তারা সহজেই শিকারীর হাত থেকে নিস্তার পেত। এভাবে গাঢ় রঙের peppered moth বেশি করে সন্তান রেখে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। প্রথম গাঢ় রঙের পতঙ্গটি ধরার পঞ্চাশ বছর পর কারখানা-সমৃদ্ধ [[ম্যানচেস্টার]] এলাকায় প্রায় সব পতঙ্গ গাঢ় রঙের ছিল। কিন্তু [[১৯৫৬]] সালে Clean Air Act পাস হওয়ার পর পরিবেশ অপেক্ষাকৃত পরিস্কার হয়ে যাওয়ায় গাঢ় রঙের পতঙ্গগুলো দৃষ্টিকটু হয়ে পড়ায় শিকারীদের সহজ শিকারে পরিণত হয়েছিল। এতে করে গাঢ় রঙের পতঙ্গগুলো আবার দুর্লভ হয়ে পড়ে। এটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের একটি বাস্তব উদাহরণ।