আব্দুস সালাম (বীর প্রতীক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
Hasive (আলোচনা | অবদান)
৩৭ নং লাইন:
 
==মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা==
[[১৯৭১]] সালের আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শায়েস্তাগঞ্জের পূর্ব পাশে কেরাঙ্গী নদীর ওপর দারাগাঁও রেলসেতু ধ্বংস করার জন্য একটি দল গঠিত হয়। মোহাম্মদ আব্দুস সালামসহ এক দল মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী এক দল মিলিশিয়া ও রাজাকারদের কৌশলে আটক করে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিলেন সেতু। সেতু ভাঙতে ৪০০ পাউন্ড হাই এক্সপ্লোসিভ দরকার ছিলো এবং এ দলে থাকা মোট ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যেকে ১০ পাউন্ড করে বহন করে নিয়ে যান। ক্যাম্প থেকে অপারেশনস্থল ছিলো প্রায় ২৫ মাইল দূরে। সময় হিসাব করে বেলা ১২টার দিকে আশ্রমবাড়ির ক্যাম্প থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও একটি ট্রাক্টরে আমরা সিন্দুরখান সীমান্তে চলে যান মুক্তিযোদ্ধারা। বিকেল তিনটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হেঁটে আমরা লক্ষ্যস্থলে পৌঁছান মুক্তিযোদ্ধারা। সেতুর দুই পাশেই ছিলো পাহারা। সেতুটি ছিলো ৬০-৭০ গজ দীর্ঘ। সেখানে ঘূর্ণমান সার্চলাইট জ্বালানো। কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি দল গেল পশ্চিম পাশে এবং অন্য দল গেল পূর্ব পাশে। একটি দল থাকল বিস্ফোরক লাগানোর জন্য। সেতুর কাছে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পাহারারত দুই মিলিশিয়াকে কৌশলে আটক করার পর এক্সপ্লোসিভ দল সেতুতে এক্সপ্লোসিভ লাগাতে শুরু করল। এক্সপ্লোসিভ লাগানো শেষ। সেফটি কর্ডে আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটল। ভেঙে পড়তে থাকল লোহার গার্ডার। সেতুটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেল।
 
 
==পুরস্কার ও সম্মাননা==