পৌষ সংক্রান্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
১৯ নং লাইন:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় এই দিবস বা ক্ষণকে ঘিরে উদযাপিত হয় [[উৎসব]]। নেপালে এই দিবসটি '''মাঘি''' নামে, থাইল্যান্ডে '''সংক্রান''', লাওসে '''পি মা লাও''', মিয়ানমারে '''থিং ইয়ান''' এবং কম্বোডিয়ায় '''মহাসংক্রান''' নামে উদযাপিত হয়। অবশ্যিকভাবে দেশ ভেদে এর নামের মতোই উৎসবের ধরণে থাকে পার্থক্য।
===ভারত===
[[ভারত|ভারতের]] পশ্চিমবঙ্গে মকর সংক্রান্তি '''পৌষসংক্রান্তি''' নামে মূলত নতুন ফসলের উৎসব 'পৌষ পার্বণ' উদযাপিত হয়। নতুন ধান, খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করা হয়, যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়া, নারিকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়। মকরসংক্রান্তি নতুন ফসলের উৎসব ছাড়াও ভারতীয় সংস্কৃতিতে 'শুভ সূচনা' হিসেবে পরিচিত। একে অশুভ সময়ের শেষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, পঞ্জিকা মতে, জানুয়ারির<ref>[http://www.mypanchang.com/uttarynadakshinayana.php Makarsamkranti and Uttarayana misconception and Panchang Siddhanta]</ref> মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়। এই দিনে [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা|দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার]] অন্তর্গত [[গঙ্গাসাগর|সাগরদ্বীপে]] মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কপিল মুনির আশ্রমকে কেন্দ্র করে পুণ্যস্নান ও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক পুণ্যার্থী ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম হয় এই মেলায়।<ref>[http://starananda.newsbullet.in/video/state/15989 জমজমাট গঙ্গাসাগর, স্টার আনন্দ, ১২ জানুয়ারি ২০১২]</ref><ref>[http://zeenews.india.com/bengali/zila/gangasagar-bath_2549.html গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান, ২৪ ঘণ্টা]</ref><ref>[http://starananda.newsbullet.in/video/state/15764-2012-01-09-11-15-02 গঙ্গাসাগরে প্রস্তুতি, স্টার আনন্দ, ৯ জানুয়ারি ২০১২]</ref>

ভারতের উত্তর এবং পশ্চিম প্রদেশগুলোতে উৎসবটি প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে সংক্রান্তি দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতেও এই দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। তাই সামাজিক এবং ভৌগোলিক গুরুত্ব ছাড়াও এই দিনটি ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে।<ref name="KK"/>
 
পশ্চিম ভারতীয় প্রদেশ গুজরাটে উৎসবটি আরো অনেক বড় আকারে উদযাপিত হয়। মানুষ, [[সূর্য দেবতা|সূর্য দেবতার]] কাছে নিজেদের ইচ্ছা বা আকুতিকে সুন্দর সুন্দর ঘুড়ির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পালন করে [[ঘুড়ি উৎসব]], যা মূলত প্রিয় দেবতার কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি রূপক বা [[প্রতীক]] হিসেবে কাজ করে। গ্রামগঞ্জে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে মোরগ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। মকরসংক্রান্তি সম্মান, অভিলাষ এবং জ্ঞানের দেবী [[সরস্বতী]]কে সম্মান প্রদানের মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। যেহেতু উৎসবটি শীতের মাঝামাঝি সময়ে উদযাপিত হয়, সেহেতু এই উৎসবে এমন ধরণের খাবার তৈরি করা হয়, যা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং বেশ শক্তি জোগায়। গুড় দিয়ে তৈরি তিলের লাড্ডু এই উৎসবের অন্যতম উপাদেয় খাবার। মহারাষ্ট্রে একে বলা হয় 'তিলগুল'। কর্ণাটকে একে বলা হয় 'ইল্লু বিল্লা'। অন্য কিছু প্রদেশে গবাদিপশুকে নানা রঙে সজ্জিত করা হয় এবং আগুনের ওপর দিয়ে ঝাঁপ দেওয়ানো হয়।<ref name="KK"/>