ইরানি বর্ষপঞ্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯৯ নং লাইন:
এই বর্ষপঞ্জীতে মাস গণনা করা হত একেকটি [[ক্রান্তীয় রাশি|ক্রান্তীয় রাশিতে]] সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে। এই মাসগণনা পদ্ধতির ধারণাটি [[হিন্দু বর্ষপঞ্জী|হিন্দু সৌর বর্ষপঞ্জী]] থেকে গ্রহণ করা হয়। এটি খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। ৩৫৪ দিন বিশিষ্ট [[ইসলামি বর্ষপঞ্জী]] সম্পূর্ণ চান্দ্র হওয়ার কারণে তা কোন ঋতুকে চিহ্নিত করতে অক্ষম। সেই কারণে এই [[ইসলামি বর্ষপঞ্জী|বর্ষপঞ্জী]] আরবের অনুর্বর মরু অঞ্চলে ব্যবহারযোগ্য হলেও [[ইরান|পারস্যের]] মত উর্বর ও কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে তা একেবারেই অব্যবহার্য হয়ে পড়ে। তাই [[ইরান|পারস্যের]] [[মুসলমান]] শাসকেরাও [[ইসলামি বর্ষপঞ্জী|ইসলামি বর্ষপঞ্জীর]] পরিবর্তে ইরানি সৌর পঞ্জিকা গ্রহণ করতে বাধ্য হন। [[১০৭৩]] [[গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী|খ্রিস্টাব্দে]] সুলতান [[প্রথম জালাল আল-দিন মালিক শাহ্]] একটি ব্যবহারোপযোগী সৌর পঞ্জিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন। [[১০৯২]] [[গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী|খ্রিস্টাব্দে]] সুলতানের মৃত্যুর বহু আগেই সেই বর্ষপঞ্জী নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়।<ref name = mactutor/>
এই বর্ষপঞ্জী অনুসারে [[মহাবিষুব|মহাবিষুবের]] দিন থেকে বর্ষগণনা শুরু হত এবং একেকটি [[ক্রান্তীয় রাশি|ক্রান্তীয় রাশিতে]] সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে একেকটি মাস নির্ণয় করা হত। এই পদ্ধতিটি জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ভারতীয় গ্রন্থ [[সূর্য সিদ্ধান্ত|সূর্য সিদ্ধান্তে]] উল্লিখিত বর্ষগণনা সূত্রকে সামান্য সংশোধন করে গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এইভাবে
* ১৩০২ ইরানি অব্দ: ৩০, ৩১, ৩২, ৩১, ৩১, ৩১, ৩১, ২৯, ৩০, ২৯, ৩০ এবং ৩০ দিন,
* ১৩০৩ ইরানি অব্দ: ৩০, ৩১, ৩২, ৩১, ৩২, ৩০, ৩১, ৩০, ২৯, ৩০, ২৯ এবং ৩০ দিন।
|