বহির্গ্রহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ভূমিকা
২ নং লাইন:
[[File:2MJO$$x-wide-community.jpg|thumb|250px|right|[[টুমাস জে০৪৪১৪৪]] একটি [[আদামী বামন]] যার বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ ভারী একটি সঙ্গী রয়েছে। সঙ্গীটি উপ-বাদামী বামন নাকি গ্রহ তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।]]
[[File:The Star AB Pictoris and its Companion - Phot-14d-05-normal.jpg|thumb|250px|right|[[এবি পিক্টোরিস]]-এর একটি করোনাগ্রাফিক ছবি যার নিচে বাম কোণায় একটি সঙ্গী দেখা যাচ্ছে, এটি হয় বাদামী বামন নয়তো কোন ভারী গ্রহ। ২০০৩ সালের ১৬ই মে [[ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ]] এর NACO যন্ত্র দিয়ে এই উপাত্ত পাওয়া যায়। এবি পিক্টোরিসের উপর ১.৪ আর্কসেকেন্ড ব্যাসের একটি আবরণী মুখোশ দেয়া হয়।]]
'''বহির্গ্রহ''' (ইংরেজি ভাষায়: Exoplanet বা Extrasolar planet) বলতে [[সৌর জগৎ|সৌরজগতের]] বাইরের যেকোন [[গ্রহ|গ্রহকে]] বোঝায়। বাংলায় এদেরকে '''বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ''' বা '''বহির্জাগতিক গ্রহ''' নামেও ডাকা হয়। {{Extrasolar planet counts|asof}} পর্যন্ত মোট {{Extrasolar planet counts|planet_count}}টি বহির্গ্রহ পাওয়া গেছে যাদের অবস্থান {{Extrasolar planet counts|system_count}}টি গ্রহ জগতে যার মধ্যে {{Extrasolar planet counts|multiplanetsystem_count}}টি গ্রহ জগতে একাধিক গ্রহ রয়েছে।<ref name="Encyclopaedia">{{cite web |last1=Schneider |first1=Jean |date=10 September 2011 |title=Interactive Extra-solar Planets Catalog |url=http://exoplanet.eu/catalog.php |work=The Extrasolar Planets Encyclopedia |accessdate=2011-09-10}}</ref> জানা গেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তারার চারদিকে গ্রহ রয়েছে, যেমন প্রায় অর্ধেক সূর্য-সদৃশ তারার গ্রহ আছে।<ref name=harps2011>[http://arxiv.org/abs/1109.2497 The HARPS search for southern extra-solar planets XXXIV. Occurrence, mass distribution and orbital properties of super-Earths and Neptune-mass planets], M. Mayor, M. Marmier, C. Lovis, S. Udry, D. Ségransan, F. Pepe, W. Benz, J.-L. Bertaux, F. Bouchy, X. Dumusque, G. Lo Curto, C. Mordasini, D. Queloz, N. C. Santos. September 2011</ref> ২০১২ সালের একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, আমাদের [[আকাশগঙ্গা]] ছায়াপথের প্রায় ১০০ [[বিলিয়ন]] তারার প্রতিটিতে গড়ে অন্ততপক্ষে ১.৬টি করে গ্রহ আছে।<ref name="Space-20120111">{{cite web |last=Wall |first=Mike |title=160 Billion Alien Planets May Exist in Our Milky WayGalaxy |url=http://www.space.com/14200-160-billion-alien-planets-milky-galaxy.html |date=11 January 2012 |publisher=[[Space.com]] |accessdate=2012-01-11 }}</ref><ref name="Nature-20120111">{{cite journal |author=Cassan, A et al |title=One or more bound planets per Milky Way star from microlensing observations |url=http://www.nature.com/nature/journal/v481/n7380/full/nature10684.html |doi=10.1038/nature10684 |date=11 January 2012 |journal=[[Nature (journal)|Nature]] |volume=481 |pages=167–169 |accessdate=2012-01-11 |bibcode = 2012Natur.481..167C }}</ref> সে হিসেবে কেবল আকাশগঙ্গাতেই প্রায় ১৬০ বিলিয়ন তারকাবদ্ধ (তারার মহাকর্ষীয় শক্তিতে আবদ্ধ) গ্রহ থাকার কথা।<ref name="Space-20120111" /><ref name="Nature-20120111" /> অন্যদিকে কোন তারার সাথে মহাকর্ষীয়ভাবে আবদ্ধ নয় তথা মহাশূন্যে মুক্তভাবে ভাসমান [[মুক্তগ্রহ|গ্রহের]] সংখ্যা আমাদের ছায়াপথেই হতে পারে প্রায় কয়েক [[ট্রিলিয়ন]]। পরিসাংখ্যিকভাবে বলা যায় প্রতিটি প্রধান ধারার তারার জন্য গড়ে ১ লক্ষ গ্রহমুক্তগ্রহ থাকবে যাদের আকার [[প্লুটো|প্লুটোর]] চেয়ে বড়।<ref>[http://arxiv.org/abs/1201.2687 Nomads of the Galaxy], Louis E. Strigari, Matteo Barnabe, Philip J. Marshall, Roger D. Blandford</ref>
 
অনেক শতাব্দী ধরেই বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা বহির্গ্রহের সম্ভাব্যতার কথা বিবেচনা করে আসছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা কতো বা সৌরজগতের গ্রহগুলোর সাথে তাদের মিল কতটুকু তা জানার কোন উপায় ছিল না। উনবিংশ শতকের শুরু থেকে বেশ কিছু বহির্গ্রহ সনাক্ত করার দাবী উঠে যার সবগুলোই পরবর্তীতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বাতিল করে দিয়েছিলেন। নিশ্চিতভাবে প্রথম বহির্গ্রহ সনাক্ত করা হয় ১৯৯২ সালে, সে বছর [[পিএসআর বি১২৫৭+১২]] নামক [[পালসার|পালসারটির]] চারপাশে বেশ কিছু ভূসদৃশ (টেরেস্ট্রিয়াল) গ্রহ আবিষ্কৃত হয়।<ref name="Wolszczan">{{cite doi|10.1038/355145a0}}</ref> কোন [[প্রধান ধারা|প্রধান ধারার]] তারাকে আবর্তনকারী প্রথম বহির্গ্রহ সনাক্ত করা হয় ১৯৯৫ সালে, সেটি ছিল পৃথিবীর বেশ কাছে অবস্থিত তারা [[৫১ পেগাসি]] কে চারদিনে একবার আবর্তন করে এমন একটি দানব গ্রহ।<ref name="Encyclopaedia"/> সনাক্তকরণ পদ্ধতির উন্নতির কারণে বহির্গ্র আবিষ্কারের হার তারপর থেকে অনেক বেড়েছে। কিছু বহির্গ্রহের ছবি সরাসরি দুরবিন দিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে যদিও অধিকাংশ বহির্গ্রহই আবিষ্কৃত হয়েছে [[অরীয় বেগ]] বা অন্যান্য পরোক্ষ পদ্ধতিতে।<ref name="Encyclopaedia"/>
 
এযাবৎ আবিষ্কৃত অধিকাংশ বহির্গ্রহই [[বৃহস্পতি গ্রহ|বৃহস্পতি]] বা [[শনি গ্রহ|শনির]] মত [[গ্যাস দানব|গ্যাসীয় দানব গ্রহ]]। এর কারণ হতে পারে স্যম্পলিং বায়াস, যেহেতু গ্রহটি যত বড় তাকে পর্যবেক্ষণ করাও তত সহজ। এদের তুলনায় হালকা কিছু বহির্গ্রহও আবিষ্কৃত হয়েছে যাদের ভর পৃথিবীর মাত্র কয়েক গুণ বেশি, এদের সাধারণ নাম [[দানো-পৃথিবী]]। আধুনিক পরিসাংখ্যিক হিসাব অবশ্য বলছে দানো-পৃথিবীর সংখ্যা গ্যাস দানবদের চেয়েও বেশি।<ref name="keplerteam">{{cite arxiv |title=Characteristics of Kepler Planetary Candidates Based on the First Data Set: The Majority are Found to be Neptune-Size and Smaller |year=23 July 2010 |author=William J. Borucki, for the Kepler Team |eprint=1012.0707v2 }}</ref> সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে পৃথিবীর সমান বা তার চেয়েও ছোট এবং পৃথিবীর মত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বেশ কিছু গ্রহ পাওয়া গেছে।<ref name="NASA-20111220">{{cite web |last=Johnson |first=Michele |title=NASA Discovers First Earth-size Planets Beyond Our Solar System|url=http://www.nasa.gov/mission_pages/kepler/news/kepler-20-system.html|publisher=[[NASA]] |date=20 December 2011 |accessdate=2011-12-20}}</ref><ref name="Nature-20111220">{{cite journal |last=Hand |first=Eric |title=Kepler discovers first Earth-sized exoplanets |doi=10.1038/nature.2011.9688 |date=20 December 2011|journal=[[Nature (journal)|Nature]] }}</ref><ref name="NYT-20111220">{{cite news |last=Overbye |first=Dennis |title=Two Earth-Size Planets Are Discovered|url=http://www.nytimes.com/2011/12/21/science/space/nasas-kepler-spacecraft-discovers-2-earth-size-planets.html|date=20 December 2011 |publisher=New York Times |accessdate=2011-12-21 }}</ref> এছাড়া রয়েছে [[গ্রহীয় ভরের বস্তু]] যারা তারার পরিবর্তে কোন [[বাদামী বামন|বাদামী বামনদের]] আবর্তন করে, এবং মহাশূন্যে মুক্তভাবে ভাসমান গ্রহ যারা কোন বস্তুকেই আবর্তন করে না, তবে এদের বোঝাতে গ্রহ শব্দটি অনেক সময়ই ব্যবহার করা হয় না।
 
বহির্গ্রহ আবিষ্কার [[বহির্জাগতিক প্রাণ|বহির্জাগতিক প্রাণের]] সম্ভাবনা বিষয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।<ref>
{{cite web
|author=
|date=
|title=Terrestrial Planet Finder science goals: Detecting signs of life
|work=Terrestrial Planet Finder
|publisher=JPL/[[NASA]]
|url=http://planetquest.jpl.nasa.gov/TPF/tpf_signsOfLife.cfm
|accessdate=2006-07-21
}}</ref> একটি তারার চারপাশে যে অঞ্চলে কোন গ্রহ থাকলে তাতে প্রাণের [[বিবর্তন]] ঘটা সম্ভব সে অঞ্চলকেই উক্ত তারাটির [[প্রাণমণ্ডল]] (হ্যাবিটেবল জোন) বলে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি তারার প্রাণমণ্ডলে বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাণের বিকাশ যেখানে সম্ভব সেখানে বুদ্ধিমান প্রাণীর বিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
 
== তথ্যসূত্র ==