খাজা আবদুল গনি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
ইনফো বক্স+
Hasive (আলোচনা | অবদান)
ছোট সম্পাদনা
৩৩ নং লাইন:
'''নবাব আবদুল গনি''' ([[১৮৩০]] - [[১৮৯৬]]) [[ঢাকা|ঢাকার]] বড় জমিদারদের মধ্যে অন্যতম একজন। যিনি উনিশ শতকের শেষার্ধে পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ঢাকার জমিদার [[খাজা আহসানউল্লাহ|নবাব খাজা আহসানউল্লাহ্‌]] ছিলেন তাঁর পুত্র এবং [[সলিমুল্লাহ|নবাব সলিমুল্লাহ]] ছিলেন তাঁর নাতি। ঢাকার এই নবাব পরিবারের সদস্যরা আজীবন ঢাকাতেই বাস করেছেন এবং ঢাকাতেই তারা পরলোকগমন করেছিলেন। নবাব আবদুল গনি পূর্বপুরুষেরা ছিলেন কাশ্মিরী। এ পরিবারটি ঢাকাবাসীর কাছে 'নবাব পরিবার' ও 'খাজা পরিবার' হিসেবে পরিচিত ছিল।
 
==জন্ম ও শিক্ষাজীবন==
নবাব আবদুল গনিকেগনির জন্ম ১৮৩০ সালে। তাঁকে নবাব উপাধিতে ভূষিত এবং তা বংশানুক্রমে ব্যবহার করার অধিকার দিয়েছিলেন তৎকালীন বৃটিশ সরকার। তার জমিদারি এবং বৃটিশ সরকারের সাথে সু-সসম্পর্ক তাকে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছিল। তাঁর বাসভবন [[আহসান মঞ্জিল|আহসান মঞ্জিলে]] দরবার ছিল যেখান থেকে তিনি পঞ্চায়েত এর মধ্যমে তার জমিদারির প্রজাদের সহ ঢাকার মুসলমানদের নিয়ন্ত্রন করতেন। তিনি বর্তমান [[ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল|ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের]] আদি ছাত্রদের একজন। তার সহপাঠীদের মধ্যে, ঢাকা ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা [[ব্রজসুন্দর মিত্র]], জনিদার নিকি পোগজ, জমিদার [[আব্দুল আলী|মৌলভী আব্দুল আলী]] ছিলেন অন্যতম। আবদুল গনিকে মাত্র আঠারো বয়সে পরিবারের কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল।
 
আবদুল গনি বর্তমান [[ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল|ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের]] আদি ছাত্রদের একজন। তার সহপাঠীদের মধ্যে, ঢাকা ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা [[ব্রজসুন্দর মিত্র]], জনিদার নিকি পোগজ, জমিদার [[আব্দুল আলী|মৌলভী আব্দুল আলী]] ছিলেন অন্যতম। আবদুল গনিকে মাত্র আঠারো বয়সে পরিবারের কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল।
 
==কর্মজীবন==
নবাব আবদুল গনির ইংরেজ শাসকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন মাত্র সাতশ বছর বয়সে। [[১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লব|১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের]] সময় তিনি ইংরেজদের অর্থ, হাতি, ঘোড়া, নৌকা সবকিছু দিয়ে খুবই সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছিলেন। সে জন্য বাংলার শাসক হ্যালিডের রিপোর্টে গনি মিয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। [[১৮৬০]] সালে ঢাকায় মুসলমান শিয়া-সুন্নীদের দাঙ্গা যখন ইংরেজ সরকার থামাতে ব্যর্থ হয়েছিল তখন নবাব আবদুল গনি নিজের চেষ্টায় তিন দিনের মধ্যে ঢাকা শহরকে শান্ত করেছিলেন। এ জন্য সরকার তাঁকে সি.এস.আই (কম্পানিয়ন অব দি অর্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। [[১৮৬৭]] সালে ভাইসরয় তাঁকে আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। [[১৮৭৫]] সালে তাঁকে বংশানুক্রমিক 'নবাব' উপাধি দেওয়া হয়। [[১৮৬৮]] সালে কে.সি.এস.আই (কিং কম্পানিয়ন অব দি অর্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধি লাভ করেন।