সাম্ব (কৃষ্ণের পুত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
সংযোজিত বিষয়শ্রেণী:হিন্দু পুরাণ; হটক্যাটের মাধ্যমে
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
১০ নং লাইন:
 
===কৃষ্ণের অভিশাপ===
একবার মহর্ষি [[নারদ]] তাঁর কয়েকজন শিষ্য সহ দ্বারকায় আগমন করেন। তাঁর আগমন সংবাদ পাওয়া মাত্র [[কৃষ্ণ]] এবং তাঁর বংশধরেরা সহ দ্বারকার প্রত্যেক যদুবংশীয় ব্যক্তি এসে তাঁকে অভ্যর্থনা করেন। কিন্তু শাম্ব তখন পার্শ্ববর্তী একটি কাননে কয়েকজন রমণীর সাথে প্রেমালাপে লিপ্ত থাকায় নারদের প্রতি অবহেলা করলেন। শাম্বর এই আচরণে অপমানিত বোধ করে নারদ তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সংকল্প করেন। দ্বারকাত্যাগের আগে তিনি একান্তে [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে অভিযোগ করলেন যে নরকাসুরের কারাগার থেকে উদ্ধার হওয়া [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] ষোল হাজার রমণী শাম্বের চিন্তায় রত। কিন্তু [[কৃষ্ণ]] নারদের অভিযোগ অবিশ্বাস করে বললেন যে তাঁর ষোল হাজার স্ত্রী সহচরী রমণীদের বিষয়ে তাঁর মনে কোন দ্বিধা বা দ্বন্দ্ব নেই এবং শাম্বের বিশ্বস্ততা ও পিতৃভক্তিও প্রশ্নাতীত। এই কথা শুনে শাম্বকে দণ্ড দিতে না পেরে দেবর্ষি [[নারদ]] আরও ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি সেইসময় দ্বারকা ত্যাগ করে কিছুকাল পরে আবার দ্বারকায় ফিরে এলেন। তখন এসে প্রথমেই তিনি রৈবতক পর্বতের গভীরে কৃষ্ণের প্রমোদকাননে গেলেন। সেখানে গিয়ে দূর থেকে নারদ দেখলেন যে [[কৃষ্ণ]], তাঁর মহিষীগণ ও ষোল হাজার রমণীদের সঙ্গে সুখে জলকেলিতে মগ্ন। [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণকে]] ঘিরে বিভিন্ন রমণী নানা ক্রীড়াকৌতুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ সুরাপান করে প্রমত্তা হয়ে প্রণয়বাক্য উচ্চারণ করছে ও অন্যান্য রমণীদেরও সুরাপাত্র এগিয়ে দিচ্ছে। [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণও]] অতি উদার ও প্রমত্ত বাঞ্ছায় তাঁর প্রিয় রমণীদের ইচ্ছাপুরণ করে তাদের আহ্লাদিত করছেন। নারদ লক্ষ্য করলেন যে সুরাপানে আসক্ত রমণীদের বসনভূষণের শৈথিল্য ও নগ্নতার বিষয়ে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কারণ রৈবতকে অবস্থিত সেই প্রমোদ উদ্যান ও সরোবরে একমাত্র পুরুষ [[কৃষ্ণ]] ছাড়া অন্য কারও উপস্থিতির কোন উপায় নেই। দ্বারকায় এইকথা সর্বজনবিদিত যে [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রমোদকানন ও জলকেলি স্থান একমাত্র [[কৃষ্ণ]] ছাড়া আর সকলের অগম্য। কিন্তু কোন বিশেষ প্রয়োজন বোধ করলে [[কৃষ্ণ]] সেখানে কাউকে ডেকে আনতে পারেন। তখন [[নারদ]] ছলনাপূর্বক শাম্বকে গিয়ে সংবাদ দিলেন [[কৃষ্ণ]] তাঁর প্রমোদ উদ্যানে শাম্বকে ডেকে পাঠিয়েছেন। অন্য সকলের মত শাম্বও জানতেন যে সেই প্রমোদকাননে [[কৃষ্ণ]] ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না।নেই। কিন্তু নারদের ছলনায় প্রভাবিত হয়ে তিনি ভাবলেন যে সত্যিই [[কৃষ্ণ]] তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তাই তিনি দ্রুত সেখানে উপস্থিত হলেন। বিহাররত [[কৃষ্ণ]] শাম্বকে সেই কেলিস্থলে দেখে অত্যন্ত বিস্মিত হলেন। কিন্তু তাঁর ষোল হাজার রমণীগণ শাম্বকে দেখে উল্লসিত হয়ে উঠল। তারা শাম্বের প্রতি আসক্তি বোধ করল। তখন [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] সাথে [[নারদ|নারদের]] একবার দৃষ্টিবিনিময় হল। পরমুহূর্তেই [[কৃষ্ণ]] ক্রোধে ও গ্লানিতে তাঁর রমণীদের প্রতি জ্বলন্ত দৃষ্টিপাত করলেন ও তাদের শাপ দিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পর তারা তস্কর দ্বারা লাঞ্ছিত হবে। এরপর তিনি ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে শাম্বকে অভিসম্পাত করলেন যে শাম্ব কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত হবে। তখন বিস্মিত ও আতঙ্কিত শাম্ব [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণকে]] অনুনয় করে বোঝালেন যে তিনি স্বেচ্ছায় তাঁর প্রমোদকাননে আসেননি। তখন [[কৃষ্ণ]] প্রকৃত সত্য অনুধাবন করতে পেরে শাম্বকে বললেন যে শাম্ব যদি দেবর্ষি [[নারদ|নারদের]] পরামর্শে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে অবস্থিত সূর্যক্ষেত্রে গিয়ে সূর্যের আরাধনা করেন তাহলেই তিনি রোগমুক্ত হবেন। তখন শাম্ব তদনুসারেই কাজ করলেন এবং আরোগ্যলাভ করলেন।<ref>[https://docs.google.com/viewer?a=v&pid=sites&srcid=ZGVmYXVsdGRvbWFpbnxzaGFtYmFrYWxrdXR8Z3g6NjY1ZjUyMWRlYmIzZDlkNA শাম্ব, কালকূট, আনন্দ পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা- ৩১-৪০]</ref>
 
===তথ্যসূত্র===
<references/>