সেন্টিনেলী জনগোষ্ঠী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংযোজিত বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠী; হটক্যাটের মাধ্যমে
১৪ নং লাইন:
== জনসংখ্যা ==
এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে সেন্টিনালদের জনসংখ্যার কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। ধারণা অনুযায়ী এদের জনসংখ্যা সর্বনিম্ন ৩৯ থেকে ২৫০-এর মধ্যে, এবং সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত। ২০০১ সালে পরিচালি [[ভারতের জনপরিসংখ্যান|ভারতের জনপরিসংখ্যানে]] ৩৯ জন পৃথক ব্যক্তির উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়<ref>[http://www.censusindia.gov.in/ Indian Census]</ref> যাদের মাঝে ২১ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। নিরপত্তাজনিত কারণে এই জরিপটি প্রয়োজনের চেয়েও বেশি দূর থেকে পরিচালনা করা হয়েছিলো<ref>as noted in description text on [http://www.esa.int/esaEO/SEMQ8L2IU7E_index_0.html 29 April 2005 image, North Sentinel Island], [[European Space Agency]]</ref> এবং এটি সুনিশ্চিতভাবেই {{convert|72|km2|acre}} আয়তনে দ্বীপটির সঠিক জনসংখ্যা নির্দেশ করে না। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সংঘটিত ভূকম্পন ও সংশ্লিষ্ট সুনামির ফলে সেন্টিনালদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ওপর সৃষ্ট কোনো মধ্যম বা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের কথা জানা যায় না। শুধু এটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তারা এই দুর্যোগের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হয়েছে।<ref name="NationalGeographic2005">http://news.nationalgeographic.com/news/2005/01/0125_050125_tsunami_island.html</ref>
 
== বর্তমান অবস্থা ==
সেন্টিনেলদের বাসস্থল এই দ্বীপটি ভারতের [[কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল]] [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের]] একটি অংশ হিসেবে শাসিত হয়, কিন্তু বাস্তবে সেন্টিনেলটা তাঁদের অঞ্চলে, তাঁদের সকল বিষয়ে সর্বপ্রকার স্বাধীনতা ভোগ করে। ভারত সরকারের সম্পৃক্ততার মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত পর্যবেক্ষণ, ব্যতিক্রম কিছু ক্ষেত্রে দ্বীপটিতে পরিদর্শন অভিযান পরিচালনা করা, এবং সাধারণ জনগণকে দ্বীপটিতে যেতে নিরুৎসাহিত করা। তাই এটি কাগজে-কলমে ভারত সরকারের অধীনস্থ অঞ্চল হলেও, বাস্তবে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন।
 
১৯৬৭ সাল থেকে [[পোর্ট ব্লেয়ার|পোর্ট ব্লেয়ারে]] অবস্থিত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেন্টিনেলদের সাথে যোগাযোগ করার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। নৃতাত্ত্বিক ও ভারতের ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক টি এন পণ্ডিতের নেতৃত্বে সেন্টিনেলদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে তাঁদেরকে উপহার হিসেবে সমুদ্র সৈকতে খাবার ছড়িয়ে (যেমন: নারকেল) বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেন্টিনেলদের মধ্যে তৈরি বহিরাগতদের সম্পর্কে সৃষ্ট হিংস্র মনোভাব দূর করার চেষ্টা করা হয়। বেশ কিছু সময়ের জন্য ধারণা করা হয়েছিলো, অভিযানগুলো ফলপ্রসু হচ্ছে, কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে বহিরাগতদের সাথে দক্ষিণ ও মধ্য আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বসবাসরত [[জারাওয়া (আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ)|জারাওয়া]] জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত একইরকম অভিযানে সৃষ্ট বেশ কিছু ধারাবাহিক আক্রমণে কিছু মানুষ প্রাণ হারায়। এছাড়াও নতুন রোগের বিস্তারের আশংকা দেখা দেওয়ায় অভিযানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
 
২০০৬ সালে সেন্টিনেল তীরন্দাজরা তাঁদের দ্বীপে অনুপ্রবেশকারী দুই জন জেলেকে তীর মেরে হত্যা করে। পরবর্তীতে সেন্টিনেল তীরন্দাজরা মরদেহ উদ্ধারে আসা হেলিকপ্টারটিকেও তীর মেরে হটিয়ে দেয়। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ঐ জেলেদের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। যদিও উদ্ধার অভিযানে আসা হেলিকপ্টার থেকে তাঁদের মরদেহ দেখা গিয়েছিলো। কারণ উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের পাখার ঘূর্ণনে সৃষ্ট প্রবল বাতাদের তোড়ে সেন্টিনেলদের অল্পগভীর কবরের মাটি সরে গিয়ে ঐ দুজন জেলের লাশ দেখা যায়।
 
== টীকা ==