কলেরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rubinbot (আলোচনা | অবদান)
r2.5.4) (বট যোগ করছে: ps:کولرا
মামুলি সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
}}
 
'''কলেরা''' একটি [[সংক্রামক রোগ]] যা পাশ্চাত্যে '''[[এশিয়া|এশীয়]] কলেরা''' নামেই বেশী পরিচিত। [[ভিব্রিও কলেরী]] নামক [[ব্যাকটেরিয়া]]র আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে যার প্রধান উপসর্গ মারাত্মক উদরাময় ndash; মুহূর্মহু প্রচুর জলের মত পাতলা পায়খানা, সঙ্গে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দৌর্বল্য এবং চিকিৎসা না হলে শেষপর্যন্ত দেহে জলাভাবের ফলে মৃত্যু। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক পানীয় জল অথবা খাদ্য। রোগটির প্রাকৃতিক রিজার্ভার আছে কিনা জানা নেই। রিজার্ভার বা ধারক হল কোন প্রাণীর দঙ্গল বা প্রাকৃতিক কোন স্থায়ী উৎস যা বীজানুটিকে ধারণ করে রাখে (কিন্তু জীবিত ধারকের ক্ষেত্রে- নিজেরা রোগে মারা পড়ে না)। এরা রোগটিকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে সাহায্য করতে পারে এবং রোগটি পৃথিবী থেকে দূর করার প্রধান অন্তরায় হয়ে পড়ে। অনেক দিন শরে মনে করা হয়ে এসেছে এর ধারক মানুষ নিজেই, কিন্তু কিছ তথ্যপ্রমাণতথ্য-প্রমাণ অনুযায়ী এর ধারক হতে পারে জলীয় পরিবেশ।
 
[[ভিব্রিও কলেরী]] [[কলেরা টক্সিন]] নামের [[এন্টেরোটক্সিন]] তৈরি করে যার ক্রিয়ায় খাদ্যনালীর দেওয়ালের [[আবরণী কলা]] থেকে বেশী পরিমাণ ক্লোরাইড ও জল চোঁয়াতে থাকে যা পাতলা জলের মত পায়খানা গঠন করে। জোরালো সংক্রমণ ও টক্সিনের বিষক্রিয়া হলে কলেরার প্রাণঘাতী ক্রিয়ায় ১ ঘণ্টায় একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে ও ২-৩ ঘণ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মাঝারি মাপের সংক্রমণে ৪-১২ ঘণ্টায় [[শক]] (অর্থাৎ নিম্ন রক্ত চাপ ইত্যাদি কারণে দেহের সমস্ত অংশে রক্ত সরোবরাহের অভাব) এবংপরবর্তী দেড় দিন বা কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হতেপারে। <ref name=McLeod_2000>{{cite journal |author=McLeod K |title=Our sense of Snow: the myth of John Snow in medical geography |journal=Soc Sci Med |vo lume=50 |issue=7-8 |pages=923-35 |year=2000 |id=PMID 10714917}}</ref>
 
==রোগের কারণসমূহ==
সাধারনতসাধারণত আক্রান্ত রোগীর [[মল|মলের]] মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। সাধারত পয়ঃপ্রণালীর সুষ্ঠু ব্যবস্থার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও পানির সংস্পর্শে এসে খাবার ও পানিকে দুষিতদূষিত করে। পরবর্তীতে উক্ত খাবার ও পানি গ্রহনেরগ্রহণের মাধ্যমে কলেরার জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে। সাধারণত যে কোন পরিবেশেই কলেরার জীবাণু দীর্ঘদিন বেচেবেঁচে থাকতে পারে।
 
== আক্রমণ সম্ভাবনা ==