ভোলাহাট উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rsnzaman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Rsnzaman (আলোচনা | অবদান)
৬২ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, মুসলমানেরা এদেশে আগমনের পূর্বে এর ইতিহাস ছিল তমাশাচ্ছন্ন। কোন লিখিত ইতিহাস ছিল না বললেই চলে। মুসলমানদের আগমনের পর তবাকাত-ই-নাসিরি, আকবর নামা, রিয়াজ-উস্তসলাতীন, আখবার-উল-আখইয়ার-ফি-আসরার-ইল আবরার, আইন্তই-আকবরী, রিয়াজ-উল-আউলিয়া, বাহারিস্থান্তই-গায়েবী প্রভৃতি ফার্সী ও আরবী ভাষার লেখকদের ইতিহাস ভিত্তিক লেখা হতে বঙ্গ বিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজীর সময় হতে সমগ্র মধ্য যুগীয় তথ্য সমৃদ্ধ ইতিহাস পাওয়া যায়। তার পূর্বের মৌয্য, গুপ্ত, পাল ও সেন আমলের ইতিহাস অন্ধকারাছন্ন। তবে সেকালের ইতিহাস বেশী নির্ভরশীল ছিল প্রাচীন ও মধ্য যুগের সাহিত্যের ওপর, রাজ রাজন্যদের প্রশস্তি গাঁথার মধ্যে। আদি যুগের ইতিহাস রচনায় তাম্রশাসন, শিলালিপি ও প্রাচীন মূদ্রা (গবেষণার মাধ্যমে) বেশ সহায়তা করেছে। অতীতে পৌরাণিক কাহিনী, কাব্যের বিবরণ, লোককথা ও কিংবদন্তীর বিভিন্ন খন্ড অংশ জোড়াতালি দিয়ে ইতিহাস নির্মাণ করতে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে প্রত্নতাত্বিক উৎখননের ফলেও বঙ্গ ভূমির ইতিহাস সম্পর্কে অনেক নতূন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আবার ইতিহাস অসমাপ্ত অসংলগ্ন ফাঁক ফোকর ভরাট করার জন্য অনেক সময় অনেক কল্পনার আশ্রয়ও নেয়া হয়েছে। ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে বিতর্কের ঝড়ও তুলেছে।<ref>http://www.bholahatupazila.com/index.php/history-culture/demographic-history</ref>
 
ভোলাহাট অঞ্চলের ইতিহাস রচনা আরো কষ্টসাধ্য ও কঠিন বিষয়। ক্ষুদ্র জনপদ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় এর অস্তিত্ব খুজে পাওয়া বড়ই দুস্কর। তবে এর ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ একথা নির্দিধায় বলা যায়। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের বা গৌড় নগরীর লাগোয়া এলাকা হিসেবে এর ইতি প্রসঙ্গ টানলে সংগত কারণেই সর্বাগ্রে আসে গৌড় ও বরেন্দ্র ভূমির ইতিহাস। ভোলাহাট ছিল ঐতিহাসিক গৌড়ের উপশহর। তাই ভোলাহাট-এর ইতিহাস গৌড় নগরী কেন্দ্রীক।
 
ভোলাহাট-এ কোন সময় জনবসতী গড়ে উঠেছিল, তা নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। এ জন্য যেতে হবে প্রাচীন ভূপ্রকৃতি, ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত খন্ডনে। এছাড়া এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান ও গ্রামের নাম অতীতে কি ছিল, তা জানার নিমিত্তে যেতে হবে ইতিহাসের গভীরে।
 
বাংলাদেশের ভূখন্ড সৃষ্টি করেছে এ দেশের অসংখ্য ছোট বড় নদী। ভূতত্ত্ববিদদের ধারণা যে, আনুমানিক বিশ হতে বাইশ কোটি বছর আগে এ অঞ্চলটি (সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চল) সমুদ্র গর্ভে নিমজ্জিত ছিল। হিমালয়ের পলি জমে স্তরে স্তরে গড়ে উঠেছে এ ভূখন্ড।
 
মহানন্দা ও পদ্মার মধ্যবর্তী ভূ-ভাগের প্রায় ৮৪০০ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকা বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। চারি দিকে নতুন পলি গঠিত সমতল এলাকা হতে বেশ উঁচু এবং ঢেউ খেলানো এই বরেন্দ্র অঞ্চল প্রাচীন পলি দ্বারা গঠিত ও ভূ-তাত্ত্বিকভাবে খন্ডিত। বরেন্দ্রের পশ্চিমাংশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ বেশ ঢেউ খেলানো এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৫ হতে ৪০ মিটার উঁচু।
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==