কাজী কামাল উদ্দিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Royesoye (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: কাজী কামাল উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ...
(কোনও পার্থক্য নেই)

২০:৫২, ১৬ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কাজী কামাল উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ঢাকা অঞ্চলে বিভিন্ন অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন।

জন্ম ও শৈশব

কাজী কামাল ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই ঢাকার মালিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষা ও কর্ম

কাজী কামাল ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে পূর্ব পাকিস্তান বাস্কেটবল দলের অধিনায়কত্ব অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি পাকিস্তানের জাতীয় দলের ট্রায়ালে ডাক পান, কিন্তু সেদিকে না গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

কাজী কামালকে তাঁর সহযোদ্ধারা ঢাকা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিগণিত করেন। ১৯৭১ সালের মে মাসে আগরতলার মতিনগর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশে ঢুকে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। ঢাকায় গেরিলা অপারেশন চালনাকারী ক্রাক প্ল্যাটুনের সদস্য ছিলেন কাজী কামাল। হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল অপারেশন, ফার্মগেট অপারেশন, কাচপুর অপারেশনসহ বিভিন্ন অপারেশনে কাজী কামাল তাঁর সাহস ও বীরত্বের নিদর্শন রেখেছিলেন।

একাধিক বার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েও কাজী কামাল লড়াই করে তাদের হাত থেকে পলায়ন করেন। সেপ্টেম্বরে তিনি ঢাকার ইস্কাটনের একটি বাড়িতে কয়েকজন পাকিস্তানী সেনা ও অফিসারের হাতে ধরা পড়ার পর তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে সকলকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী জীবন

১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পরদিন ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে কয়েকজন সেনা সদস্য কাজী কামালকে হত্যা করতে রামপুরা টিভি স্টেশনের ঝিলের পাড়ে নিয়ে আসে। সেদিন ওই ঝিলপাড়ে আরো তিনজনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তিনি ঘাতকদের ফাঁকি দিয়ে ঝিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। এরপর তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন।[১]

সম্মাননা ও স্বীকৃতি

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের কারণে তাঁকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

কাজী কামালের বীরত্বের কথা জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি ও আনিসুল হক মা গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে।

মৃত্যু

২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৬ জানুয়ারি তাঁকে নিজ গ্রাম গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বরে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্র