মোহাম্মদ রফি খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
Hasive (আলোচনা | অবদান)
পুরস্কার, তথ্যসূত্র
১ নং লাইন:
{{Infobox Writer | name = এম আর খান | image = | imagesize = 250px | caption = | pseudonym = | birthname = | birthdate = {{Birth date and age|1928|8|1|df=y}} | birthplace = | deathdate = | deathplace = | occupation = জাতীয় অধ্যাপক, ডাক্তার | nationality = বাংলাদেশী | ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] | citizenship = [[বাংলাদেশ]] [[Image:Flag of Bangladesh.svg|20px|]] | period = | genre = শিশুবিশেষজ্ঞ | subject = | movement = | notableworks = | spouse = | partner = | children = | relatives = | influences = | influenced = | awards = [[একুশে পদক]] | signature = | website = | portaldisp = }}
 
 
{{Infobox Writer | name = এম আর খান | image = | imagesize = 250px | caption = | pseudonym = | birthname = | birthdate = {{Birth date and age|1928|8|1|df=y}} | birthplace = | deathdate = | deathplace = | occupation = জাতীয় অধ্যাপক, ডাক্তার | nationality = বাংলাদেশী | ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] | citizenship = [[বাংলাদেশ]] [[Image:Flag of Bangladesh.svg|20px|]] | period = | genre = শিশুবিশেষজ্ঞ | subject = | movement = | notableworks = | spouse = | partner = | children = | relatives = | influences = | influenced = | awards = | signature = | website = | portaldisp = }}
 
'''এম আর খান''' (জন্ম: [[১৯২৮]] সালের [[আগস্ট ১|১ আগস্ট]]) বাংলাদেশের প্রকজন প্রথিতযশা অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিশুবিশেষজ্ঞ। এম আর খান নামে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম মো. রফি খান। বাবা মা, প্রতিবেশী সকলের কাছে খোকা নামে বেশী পরিচিত ছিলেন তিনি। তিনি সরকার কর্তৃক দেশের [[জাতীয় অধ্যাপক]] নির্বাচিত হয়েছেন।
 
==জন্ম ও শিক্ষাজীবন==
এম আর খানের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্টে।আগস্টে সাতক্ষীরায়। বাবা আলহাজ্ব আব্দুল বারী খান, মা জায়েরা খানম। তাঁদের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। মায়ের হাতে পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। এরপর রসুলপুর প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। [[সাতক্ষীরা জেলা | সাতক্ষীরা]] সদরের প্রাণনাথ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় (পিএন স্কুল)-এ ভর্তি হন তিনি। পড়াশুনায় মেধাবী ছিলেন খুব। ছেলেবেলায় খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। রসুলপুর স্কুল টিম লিডার হিসেবে তিনি ১৩টি ট্রফি লাভ করেন। [[১৯৪৩]] সালে এ স্কুল থেকেই কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাস করার পর তিনি [[কলকাতা|কলকাতায়]] যান। ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। [[১৯৪৫]] সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর [[১৯৪৬]] সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। [[১৯৫২]] সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর [[১৯৫৬]] সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি [[লন্ডন|লন্ডনে]] পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন। সেখান থেকে একই সালে ডিপ্লোমা ইন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (ডিটিএমএন্ডএইচ) ডিগ্রী লাভ করেন। স্কুল অব মেডিসিন লন্ডন থেকে তিনি ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ (ডিসিএইচ) ডিগ্রিও লাভ করেন। [[১৯৬২]] সালে 'এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান' থেকে তিনি এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। [[১৯৭৪]] সালে বাংলাদেশ থেকে ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (এফসিপিএস) এবং ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন।
 
==পরিবার==
এম আর খানের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্টে। বাবা আলহাজ্ব আব্দুল বারী খান, মা জায়েরা খানম। তাঁদের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। মায়ের হাতে পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। এরপর রসুলপুর প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। [[সাতক্ষীরা জেলা | সাতক্ষীরা]] সদরের প্রাণনাথ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় (পিএন স্কুল)-এ ভর্তি হন তিনি। পড়াশুনায় মেধাবী ছিলেন খুব। ছেলেবেলায় খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। রসুলপুর স্কুল টিম লিডার হিসেবে তিনি ১৩টি ট্রফি লাভ করেন। [[১৯৪৩]] সালে এ স্কুল থেকেই কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাস করার পর তিনি [[কলকাতা|কলকাতায়]] যান। ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। [[১৯৪৫]] সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর [[১৯৪৬]] সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। [[১৯৫২]] সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর [[১৯৫৬]] সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি [[লন্ডন|লন্ডনে]] পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন। সেখান থেকে একই সালে ডিপ্লোমা ইন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (ডিটিএমএন্ডএইচ) ডিগ্রী লাভ করেন। স্কুল অব মেডিসিন লন্ডন থেকে তিনি ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ (ডিসিএইচ) ডিগ্রিও লাভ করেন। [[১৯৬২]] সালে 'এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান' থেকে তিনি এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। [[১৯৭৪]] সালে বাংলাদেশ থেকে ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (এফসিপিএস) এবং ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন।
রসুলপুর গ্রামের মেয়ে এম আর খানের দূর সম্পর্কের আত্মীয় আনোয়ারা বেগম আনুর সাথে ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আনোয়ারা বেগম ও ডা. এম আর খান দম্পতির একমাত্র মেয়ের নাম দৌলতুন্নেসা (ম্যান্ডি)।
 
==কর্মজীবন==
[[১৯৫২]] সালে কলিকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন এম আর খান। উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য [[১৯৫৬]] সালে তিনি সস্ত্রীক বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশে পড়াশুনা শেষ করে তিনি [[১৯৫৭]] থেকে [[১৯৬২]] সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার কেন্ট এবং এডিনবার্গ গ্রুপ হাসপাতালে যথাক্রমে সহকারী রেজিস্টার ও রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [[১৯৬২]] সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। [[১৯৬৩]] সালে তিনি [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ]] হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর অব মেডিসিন পদে যোগ দেন। [[১৯৬৪]] সালে [[রাজশাহী মেডিকেল কলেজ|রাজশাহী মেডিকেল কলেজে]] মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশুস্বাস্থ্য) পদে যোগদান করেন। [[১৯৬৯]] সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে যোগ দেন এবং এক বছরের মধ্যেই অর্থাৎ [[১৯৭০]] সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান। [[১৯৭১]] সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এর অধ্যাপক ও [[১৯৭৩]] সালে এই ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। [[১৯৭৮]] সালের নভেম্বরে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে অধ্যাপক ও পরিচালকের পদে যোগদান করেন। একই বছরে পুনরায় তিনি আইপিজিএমআর-এর শিশু বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। [[১৯৮৮]] সালে অধ্যাপক ডা. এম আর খান তাঁর সুদীর্ঘ চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
 
==পুরস্কার প্রদান==
পেনশনের টাকা দিয়ে মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট থেকে শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অনুদান, হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে ভালো অবদানের জন্য দেয়া হয় ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক। <ref>[http://www.prothom-alo.com/detail/news/107251 প্রথম আলো]</ref> ২০১১ সালে এ স্বর্ণপদক পেয়েছেন কমিউনিটি মাদার এ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এখলাসুর রহমান।<ref>[http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2011-10-22&ni=74790 জনকন্ঠ]</ref>
 
==পুরস্কার==
শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]] (বিএসএমএমইউ) ডা. এম আর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী স্বর্ণপদক দেয়। <ref>[http://samakal.net/details.php?news=37&view=archiev&y=2011&m=09&d=24&action=main&menu_type=&option=single&news_id=194224&pub_no=822&type= সমকাল]</ref>
* [[একুশে পদক]] <ref>[http://banglarkantha.com/?p=65 ৪]</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
২৪ ⟶ ২৯ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাএকুশে একাডেমীপদক পুরস্কারবিজয়ী]]
[[Category:বাংলাদেশী শিক্ষক]]