নিষ্ক্রিয় গ্যাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎আবিষ্কারের ইতিহাস: ইং উইকি থেকে চিত্র আমদানী
→‎ধর্ম: সম্প্রসারণ (পুনর্লিখন অত্যাবশ্যক)
৮২ নং লাইন:
 
নিচের ছকে এদের কযেকটি ভৌত ধর্ম সারণীবদ্ধ করা হলোঃ
 
==রাসায়নিক ধর্ম==
[[File:Electron shell 010 Neon.svg|thumb|Neon, like all noble gases, has a full valence shell]]
 
প্রত্যেক নিষ্ক্রিয় গ্যাস পরমাণুর সর্ববহিস্থ শক্তি-স্তর ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ (ns2np6) অর্থাৎ এদের পরমাণুর সর্ববহিরিস্থ স্তরে ৪টি করে (He-এর ক্ষেত্রে ২ টি) ইলেকট্রন আছে। এদের ব্যবহারে ইলেকট্রন দান (donate) বা গ্রহণ (accept ) করার কোনরূপ প্রবণতা দেখায় না বলে এরা আয়নীয় বা সমযোজী (covalent) যৌগ গঠন করতে পারে না। অতত্রব এরা সম্পূর্ণরূপে রাসায়নিক ক্রিয়াহীন। এতদ্সত্ত্বেও বিশেষ কোন কোন ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় গ্যাস কর্তৃক বিভিন্ন যৌগ গঠনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
 
==গুরুত্ব==
নিষ্ক্রিয় গ্যাসের গুরুত্ব অনেক। তত্ত্বীয় রসায়নে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের আবিষ্কার নিরতিশয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে। তত্ত্বীয় রসায়নের এমন একটি দিক বের করা দুষ্কর যা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের আবিষ্কারের ফলে প্রভাবান্বিত হয়নি। এদের অনেক অবদানের মধ্যে নিম্নের কয়কটি প্রণিধানযোগ্য। <br />
(১) পর্যায় সারণীতেঃপর্যায় সারণীতে VII শ্রেণীর তীব্র ঋণাত্মক হ্যালোজেন মৌলসমূহের পরেই I শ্রেণীর তীব্র ধনাত্মক অ্যালকালি ধাতু মৌলসমূহের রয়েছে। অকস্মাৎ এই ধর্ম পরিবর্তনের মধ্যে একটা বিরাট অসামঞ্জস্যতা দৃষ্ট হয়। নিষ্ক্রিয় গ্যাস মৌলসমূহের আবিষ্কারের ফলে তাদেরকে শূণ্য (০) শ্রেণীতে স্থাপন করায় এই দুই বিপরীতধর্মী মৌল শ্রেণীর মধ্যে সেতুবন্ধ রচিত হয়েছে এবং অসামঞ্জস্যতা ঘুচে সমন্বয় ঘটেছে।<br />
(২) পারমাণবিক গঠনেঃ একমাত্র হিলিয়াম ব্যতীত সব নিষ্ক্রিয় গ্যাস পরমাণুর শেষ কক্ষে ৮টি (৮টি) করে ইলেকট্রন আছে। হিলিয়ামের ক্ষেত্রে এই ইলেকট্রন সংখ্যা ২টি। এতে বোর ও বেরী (Bury) এই পরিকল্পনা প্রকাশে সক্ষম হন যে পরমাণুর সর্ববহিরিস্থ স্তর ৮টির অধিক ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে না।<br />
(৩) যোজ্যতার ইলেকট্রিনীয় তত্ত্বেঃ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস দৃষ্টে লুই (Lewis ) ও কোজেল (Kossel) পরমাণুতে ইলেকট্রনের স্থায়ী মতে বিন্যাস ধারণা stable configuration concept) প্রস্তাব করেন। তাদের প্রত্যেক মৌলই তার পরমাণুর সর্ববহিস্থ স্তরে ইলেকট্রন স্থানান্তর (আয়নিক বন্ধন) বা শেয়ার (সমযোজী) করে তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন-বিন্যাস অর্জন করে।
অতত্রব একটি মৌল তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস মৌলের ইলেকট্রনীয় গঠন অর্জন কল্পে যত সংখ্যক ইলেকট্রন দান, গ্রহণ বা শেয়ার করে থাকে তাকে মৌলটির যোজ্যতা বলে। <br />
(৪) তেজস্ক্রিয়তায়ঃ তেজস্ক্রিয় মৌল হতে a- কণা বিচ্ছুরিত হয়। এটা ধনাত্মক দ্বি-আধান যুক্ত হিলিয়াম পরমাণু। এই তথ্য তেজস্ক্রিয় বিভাজন তত্ত্ব ও শ্রেণী অপসারণ সূত্র (group displacement law সংবচনায় সাহায্য করে। <br />
(৫) আইসোটোপ আবিষ্কারঃ অতেজস্ক্রিয় মৌলসমূহের মধ্যে নিয়নের আইসোটোপ সর্বপ্রথম পৃথক করা হয়। এতে অপরাপর অতেজস্ক্রিয় মৌলের আইসোটোপ পৃথকীকরণের প্রচেষ্টা চলে। <br />
 
==তথ্যসূত্র ও পাদটীকা ==