মহাকাব্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Suvray (আলোচনা | অবদান)
৩১ নং লাইন:
মহাকাব্যের ইতিহাস অনুসন্ধান করলে দেখা যায় যে, অনেক সময় কোন কোন মহাকাব্যের রচয়িতা সম্বন্ধে নিশ্চিত করে জানা যায় না। কারণ তাঁরা 'একলা কবির কথা' নহে। যুগে যুগে বিভিন্ন অজ্ঞাতনামা লেখকের হাতে পড়ে কাব্যের মূল বিষয়টি বর্দ্ধিতায়ন হয়ে উঠেছে। অথবা, বিভিন্ন চরিত্র অবলম্বনে বিভিন্ন লোকের লেখা একত্র সংগ্রথিত হয়ে মহাকাব্য বৃহৎ সম্প্রদায়ের কথা হয়ে উঠেছে। সর্বদেশের হৃদপদ্ম-সম্ভব এই শ্রেণীর কাব্য যেন 'বৃহৎ বনস্পতির মতো দেশের ভুতল-জঠর হতে উদ্ভূত হয়ে সেই দেশকেই আশ্রয়চ্ছায়া দান করিয়াছে'। এই শ্রেণীর মহাকাব্যকে ''এপিক অব গ্রোথ'' বা ''অথেনটিক এপিক'' নামে অভিহিত করা হয়। [[রামায়ণ]], [[মহাভারত]], [[ইলিয়াড|দি ইলিয়াড]], [[ওডিসি]], বিওয়াল্ফ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বলাবাহুল্য যে, বিভিন্ন লোকের রচিত মহাকাব্যের মধ্যেও সহস্র বৎসরের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনুভূত হয়।
 
কিন্তু একজন গ্রন্থকারের লিখিত যে-মহাকাব্যে কোন জাতির সর্বলোকের সাধনা, আরাধনা ও সঙ্কল্প কোন পরম গুণান্বিত নায়কের মধ্যে মুর্ত হয়ে ওঠে এবং জাতি-হৃদয়ের দর্পণরূপে আমাদের সম্মুখে উপস্থাপিত হয়, তাকেই আমরা ''সত্যিকারের মহাকাব্য'' বা ''লিটারেরী এপিক'' বা ''ইমিটেটিভ এপিক'' বলে গ্রহণ করি। এই শ্রেণীর মহাকাব্য পূর্বোক্ত শ্রেণীর মতো স্ফীতকায়, অসংহত ও অসামঞ্জস্য কলেবর-মাহাত্ম্যে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে না; এর আখ্যানবস্তু, চরিত্র-সৃষ্টি, ভাষা প্রভৃতি মিলে একটি অখণ্ড মহিমাময় রস-মূর্তি সৃষ্ট হয় এবং এর শিল্প-চাতুর্য্য লেখকের দূরারোহী কল্পনা ও অনন্য সাধারণ মননশক্তি গুণে আমাদের নিকট চিরন্তন হয়ে থাকে।<ref name = "L">"সাহিত্য-সন্দর্শন", শ্রীশচন্দ্র দাশ, বর্ণ বিচিত্রা, ঢাকা, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৯৯৫, পৃষ্ঠাঃ ৬৯-৭০</ref>
 
এই জাতীয় কাব্যাদর্শ সম্বন্ধে [[রবীন্দ্রনাথ|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] বলেন -
{{cquote|কালে কালে একটি সমগ্র জাতি যে কাব্যকে একজন কবির কবিত্বশক্তি আশ্রয় করিয়া রচনা করিয়া তুলিয়াছে, তাহাকেই যথার্থ মহাকাব্য বলা যায়।}}
 
==উল্লেখযোগ্য মহাকাব্য==