মশিউর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
উইকিফাই |
→রাজনৈতিক জীবন: উইকিফাই |
||
২৮ নং লাইন:
==রাজনৈতিক জীবন==
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সেই সময়ই তিনি বার্মা গমন ও যুদ্ধাহতদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ৪০ দশকের দুর্ভিক্ষের সময় রংপুরের চরাঞ্চলে যখন প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি জনগনের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর সেবার স্বীকৃতি স্বরূপই তাঁর নামানুসারে একটি চরের নাম করন করা হয় ‘যাদুর চর’। <ref>http://bdleadnews.com/news.php?news=2009070720001</ref>[[১৯৪৬]] সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় সহিংসতার বিরুদ্ধে ও হিন্দু-মুসলিম সমপ্রীতির লক্ষ্যে হত্যাযজ্ঞের বিভৎসতার ছবি তুলে যাদু মিয়া একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছিলেন। ৪০-এর শেষের দিকে তিনি ইয়াং ম্যান এসোসিয়েশন অব [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন।
রংপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনারারী সেক্রেটারী ও [[১৯৫৪]]-[[১৯৫৮| ৫৮]] পর্যন্ত রংপুর জেলা কনজুমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটি‘র বৃহত্তর রংপুরের নির্বাচিত সেক্রেটারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫০-দশকের শেষ দিকে রংপুর জেলা বোর্ডের কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পর পর দুইবার প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করেন। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগের উদ্দ্যেগে অনুষ্ঠিত যুব উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ঐ একই সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। [[১৯৬২]] সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলের উপ-নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। একই বছর [[চীন|চীনে]] পাকিস্তানী সরকারী সফরে প্রতিনিধি দলের নেতা মওলানা ভাসানী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনিই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। [[১৯৬৩]] সালে পাকিস্তান সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে। [[১৯৬৬|৬৬]] সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহ্বানে গণআন্দোলনের যে সূচনা হয়েছিল সেখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন। [[১৯৬০|৬০]]-এর দশকের শেষের দিকে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপ-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও [[আইয়ুব খান|আইয়ুব]] বিরোধী [[এগারো দফা কর্মসূচী|১১-দফা]] আন্দোলনে তিনি জাতীয় পরিষদের ভিতরে ও বাইরে সোচ্চার দাবী উপস্থাপন করেন এবং আন্দোলনের পক্ষে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। [[১৯৬৯]] সালে টোবাটেকসিং এ কৃষক সম্মেলনে [[ইয়াহিয়া খান| ইয়াহিয়া খানকে]] গাদ্দার বলার কারনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রহসন মূলক বিচারের মাধ্যমে সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। [[১৯৭১]]-এ তিনি প্রথমে [[ভারত|ভারতে]] যান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ
Rahman. 2nd ed. page: 119 ISBN 0-8108-3187-2 ]</ref>
|