বান কি মুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সাধারণ সম্পাদনা
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সাধারণ সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Bankimoon.jpg|right|thumb|বান কি মুন; জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব]]
'''বান কি মুন''' (জন্ম-জন্মঃ [[জুন ১৩|১৩ জুন]], [[১৯৪৪]]) জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব। তিনিই দ্বিতীয় এশীয় নাগরিক যিনি জাতিসংঘের মহাসচিব হয়েছেন৷ এর আগে [[মায়ানমার|মায়ানমারেরবার্মার]] [[উ থান্ট]] [[নভেম্বর ৩০|৩০ নভেম্বর]] [[১৯৬১]] থেকে [[ডিসেম্বর ৩১|৩১ ডিসেম্বর]] [[১৯৭১]] সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন৷ <ref name="jjd">[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-ID=25001&issue=185&nav id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
== শৈশব ও শিক্ষা ==
বান কি মুন ১৯৪৪ সালের ১৩ জুন [[কোরিয়া|কোরিয়ার]] উত্তর জাংজিয়ং-এর ইয়ামসিয়ংয়ে জন্মগ্রহণ করেন৷ [[১৯৭০]] সালে সিউল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বান কি মুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন৷ তারপর [[হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়|হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের]] জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে [[১৯৮৫]] সালে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ কোরিয়ান ভাষার পাশাপাশি তিনি [[ইংরেজি]] এবং ফরাসি ভাষায় পারঙ্গম৷ স্কুলে পড়ার সময় [[১৯৬০]] সালের প্রথমদিকে আমেরিকান [[রেডক্রস]] আয়োজিত একটি ইংরেজি ভাষা প্রতিযোগিতায় জিতেন বান কি মুন৷ সেই সুবাদে তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি [[জন এফ. কেনেডি|জন এফ কেনেডির]] সঙ্গে তার দেখা হয়৷ এই সাক্ষাতের পরই বান কূটনীতিক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন৷<ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-IDname=25001&issue=185&nav id=11 দৈনিক"jjd" যায়যায়দিন]</ref>
 
== কর্মজীবন ==
[[১৯৭০]] সালে মে মাসে বান পররাষ্ট্র যোগদান করেন৷ বিদেশে তার প্রথম নিয়োগ হয় [[নয়াদিল্লী|নয়াদিল্লীতে]]৷ তারপরই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র দফতরে জাতিসংঘ বিভাগে কাজ করেন৷ পার্ক চুং হি (Park Chung Hee)-এর গুপ্তহত্যার পর বান [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কে]] জাতিসংঘের দক্ষিণ কোরিয়ার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের ফার্স্ট সেক্রেটারি পদে অধিষ্ঠিত হন৷ [[১৯৯১]] সালে [[সেপ্টেম্বর ১৭|১৭ সেপ্টেম্বর]] [[দক্ষিণ কোরিয়া]] জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হয়৷ একই সময়ে বান কি মুন জাতিসংঘ বিভাগের পরিচালক পদে নিয়োগ পান৷ রিপাবলিক অফ কোরিয়ার ওয়াশিংটন ডিসির এমবাসিতে তিনি দু’বার নিয়োগ পান৷ [[১৯৯০]] থেকে [[১৯৯২]] সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্য বিষয়ক মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেন৷ [[১৯৯৫]] সালে বান কি মুন পলিসি প্ল্যানিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের ডেপুটি মিনিস্টার পদে উন্নীত হন৷ তার পরের বছরই তিনি রাষ্ট্রপতির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন৷ <ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-IDname=25001&issue=185&nav"jjd" id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
বান কি মুন দুই কোরিয়ার আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ [[১৯৯২]] সালে তিনি সাউথ-নর্থ জয়েন্ট নিউক্লিয়ার কন্ট্রোল কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। [[২০০৪]] সালের জানুয়ারিতে বান কি মুন সাউথ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন৷ মন্ত্রীত্ব থাকাকালে [[২০০৫]] সালের সেপ্টেম্বরে নর্থ কোরিয়ান নিউক্লিয়ার ইস্যু সমাধানে কূটনীতিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখেন৷ এ সম্পর্কে [[বেইজিং|বেইজিংয়ে]] অনুষ্ঠিত সিক্স-পার্টি আলোচনা অনুষ্ঠানেও বান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন৷ বান কি মুন [[নভেম্বর ১|১ নভেম্বর]] [[২০০৬]] পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন৷ <ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-IDname=25001&issue=185&nav"jjd" id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
বান কি মুন দুই কোরিয়ার আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ [[১৯৯২]] সালে তিনি সাউথ-নর্থ জয়েন্ট নিউক্লিয়ার কন্ট্রোল কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। [[২০০৪]] সালের জানুয়ারিতে বান কি মুন সাউথ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন৷ মন্ত্রীত্ব থাকাকালে [[২০০৫]] সালের সেপ্টেম্বরে নর্থ কোরিয়ান নিউক্লিয়ার ইস্যু সমাধানে কূটনীতিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখেন৷ এ সম্পর্কে [[বেইজিং|বেইজিংয়ে]] অনুষ্ঠিত সিক্স-পার্টি আলোচনা অনুষ্ঠানেও বান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন৷ বান কি মুন [[নভেম্বর ১|১ নভেম্বর]] [[২০০৬]] পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন৷ <ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-ID=25001&issue=185&nav id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
== জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রার্থিতা ==
[[কোফি আন্নান|কোফি আন্নানের]] পর জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বান কি মুন তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন [[২০০৬]] সালের ফেব্রুয়ারিতে৷ জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব নির্বাচনের জন্য ইউএন সেক্রেটারি কাউন্সিলের চারবার ভোটাভুটি হয়৷ ২৪ জুলাই, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিটি ভোটাভুটিতেই বান কি মুন শীর্ষে ছিলেন৷ <ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-IDname=25001&issue=185&nav"jjd" id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
২ অক্টোবরের ভোটাভুটিতে বান কি মুন তার পক্ষে ১৪টি ভোট পান৷ ১৫তম সদস্য দেশ তার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মতামত জানায়নি৷ তার সম্পর্কে একমাত্র জাপানিজ ডেলিগেশনই পুরোপুরি একমত হয়নি৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বানই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন যাকে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটোর মুখোমুখি হতে হয়নি৷ তিনি ছাড়া বাকি পাচজনপাঁচজন প্রার্থীর প্রত্যেকেই কোনোকোন না কোনোকোন কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশের [[ভেটো]] পেয়েছেন৷ [[অক্টোবর ২|২ অক্টোবরের]] ভোটের পর শশি থারুর যিনি ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় হন, প্রার্থিতাপ্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন৷ জাতিসংঘের কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশ চীনের প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বান কি মুনের প্রার্থিতারপ্রার্থীতার ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন৷ ৯ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদ বানকে প্রার্থিপ্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পছন্দ করে৷ তারপর [[অক্টোবর ১৩|১৩ অক্টোবরে]] সাধারণ পরিষদের ১৯২ সদস্যইসদস্য রাষ্ট্রই বান কি মুনের মহাসচিব হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি মেনে নেয়৷ [[ডিসেম্বর ১৪|১৪ ডিসেম্বর]] [[২০০৬]] বান কি মুন জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷ <ref>[http://www.jaijaidin.com/view news.php?News-IDname=25001&issue=185&nav"jjd" id=11 দৈনিক যায়যায়দিন]</ref>
 
== মহাসচিব প্রার্থীদের তালিকা ==
৪৮ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
|}
 
== তথ্যসূত্র ==
 
== সূত্র ==
<references/>