তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
Aashaa-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nhasive-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
৩৫ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
 
 
 
৪৩ ⟶ ৪৫ নং লাইন:
* [http://rajnoitik.com/2011/06/01/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC/ রাজনীতি]
 
<!--
'''তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া''' [[দৈনিক ইত্তেফাক]] পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
 
৬০ ⟶ ৬৩ নং লাইন:
১৯৬৬ সালের ১৬ জুন সংবাদপত্র জগতের নির্ভীক সৈনিক পূর্ব বাংলার ৬ দফার সোচ্চার কণ্ঠ দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক রাজনৈতিক মঞ্চের লেখক মোসাফিরকে আইয়ুব খান মোনায়েম খানের নির্দেশে পুলিশ পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৩২(১) খ ধারা অনুসারে তাকে ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ১৬ জুন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান পাকিস্তান দেশ রক্ষা আইনের ৫২ নম্বর উপধারায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রেস ১ নম্বর রামকৃষ্ণ মিশন রোডস্থ নিউ নেশান প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। ফলে দৈনিক ইত্তেফাক ও তার অপর দুটো পত্রিকা ঢাকা টাইমস এবং পূর্বাণী বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বিরোধী দল পূর্ব পাকিস্তানে আইন পরিষদে মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। ইত্তেফাকের সাংবাদিক ও কর্মচারীরা ভীষণ অর্থকষ্টে দিন যাপন করে।
১৯৬৬ সালের ৯ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধি ৩২ দফা অনুসারে শেখ মুুজিবুর রহমান ও তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট তাদের আটক আইনসঙ্গত বলে আবেদন নাকচ করে দেন। একই দিনে বিচারপতি বিএ সিদ্দিকির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনের ৫২(২) যা ধারায় দৈনিক ইত্তেফাকের মুদ্রণালয় নিউ নেশন বাজেয়াপ্তকরণকে অবৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু ১৭ নভেম্বর মোনায়েম খান প্রতিরক্ষার ৩২ নম্বর বিধির ২ নম্বর উপধারা অনুযায়ী উক্ত প্রেস পুনরায় বাজেয়াপ্ত করেন। জেলের অভ্যন্তরে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এম এ রউফের কোর্টে মানিক মিয়ার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ দু’বছর দৈনিক ইত্তেফাক বন্ধ থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ করুণভাবে দিন জীবনযাপন করে। তারা না খেয়ে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যায়। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে মুক্তি দেয়ার জন্য আইয়ুব খান সরকার তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। অবশেষে সরকার ১৯৬৭ সালে তাকে মুক্তি দেয়। ১৯৬৮ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন করেন। ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানা নিউ নেশন প্রেসের বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর ১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পুনরায় দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশিত হলো। ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন চলছে। অবশেষে আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে। শেখ মুুজিবুর রহমানসহ সকলই মুক্তি পায়। আন্দোলন চলছে। পিণ্ডির গোলটেবিল আলোচনা ব্যর্থ হয়। ১৯৬৯ সালের ২৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বাঙালি জাতির বিজয় মুহূর্তে তফাজ্জল হোসেন পশ্চিম পাকিস্তানের রাজধানী রাওয়ালপিণ্ডি গমন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৩১ মে রাত ১২-৪০ মিনিটে রাওয়ালপিণ্ডির এক হোটেলে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১ জুন তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মানিক মিয়ার মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু বলেছেন- মরহুম মানিক মিয়া শুধু একজন দেশপ্রেমিক ও সাংবাদিক ছিলেন না। ‘মানিক ভাই ছিলেন আমার পথপ্রদর্শক। তাহার আকস্মিক ইন্তেকালে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হইল।’ দৈনিক ইত্তেফাকে ১ জুন তার মৃত্যুর খবর যেভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তা ছিল “মানিক মিয়া আর নাই, ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং পূর্ব বাংলার সংগ্রামী বীর তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া আর নাই।” তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। তাকে আজিমপুরে দাফন করা হয়। মানিক মিয়া ১৯১১ সালে বরিশালের ভাণ্ডারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন এবং দুই কন্যা ও স্ত্রী মাজেদা বেগমকে রেখে যান।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ৬ দফা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। ৬ দফার পথ ধরে ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার নাম ইতিহাসে চিরদিন জ্বলজ্বল করবে। -->
 
 
{{অসম্পূর্ণ}}