মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে ঘোষণা করেন-হে নবী (সাঃ) আপনি মুমিনদেরকে বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টিনত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করেন আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদের বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিনত রাখে এবং তাদের গোপন অঙ্গ হেফাজত করে এবং সাধারণত যা প্রকাশমান তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য্য প্রদর্শণ না করে এবং তার যেন তাদের উড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে (সুরা নুরঃ ৩০-৩১)। হাদিস শরীফে হযরত ইবনে মাসউদ রসুলুল্লাহ (সঃ) হতে বর্ণনা করেন নারী হলো ঢেকে রাখার ব্স্তু। সে বের হলে শয়তান তার দিকে তাকিয়ে দেখে (মেশকাত শরীফ হাদিস নং-২৯৭৫, তিরমিযী)
বর্তমানে ইভটিজিং এর মাত্রা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে তা প্রতিহত করতে বা বখাটেদের সামাল দিতে প্রশাসনকে পর্যন্ত বেগ পেতে হচ্ছে। বখাটেররা আজ এত হিংস্র অমানবিক হযে উঠেছে যে, প্রতিবাদকারীকেও নির্যাতন করতে তারা দ্বিধাবোধ করছে না। তাদের হাতে বা হামলায় অনেক শিক্ষিত নারী, পুরুষ, শিক্ষকসহ আহত/নিহত নজীর বিহীন। তাই সমাজের এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ, গোল টেবিল বৈঠক, সেমিনারের কথা পত্র পত্রিকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সরকারীভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্ত এত কিছুর পরো ইভটিজিং এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। যার অন্যতম প্রধান কারণ ইসলামী হুকুমতের প্রতি চরম অবজ্ঞা বা অবহেলা। সমাজের বর্তমান এ পরিস্থিতি থোকে মুক্তি পেতে শুধু এক তরফা আইন’ই যথেষ্ট নয়। সংগে প্রয়োজন ইসলামী অনুশাসনের বাস্তব অনুশীলন তথা নারীদের জন্য পর্দা রক্ষা করে শালীন পোষাকে বাইরে গমন। যেহেতু অশালীন পোষাক পরিধানকারী নারীর সাথে শয়তান সোয়ার হয়ে নারীকে উত্ত্যক্ত করার জন্য পুরুষদের সহযোগীতা করে যা হাদিসের অসংখ্য বাণী দ্বারা স্পষ্ট। তফসিরের কিতাবাদিতে লেখা আছে অশালীন পোষাক পরিহিতা নারীদেরকে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে মুনাফিকরা উত্ত্যক্ত করতো, ফলে আল্লাহ বিধান নাজিল করেন। মহানবী (সঃ) ইসলামী অনুশাসন অনুশীলনের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের অভিভাবক মহলে নারী পুরুষ সবাই একেবারে অসচেতন। অথচ আল্লাহ তায়ালা উত্ত্যক্তকারী (ইভটিজিং) থেকে হেফাজতের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন হে নবী আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রী গণকে বলুন তারা যেন জালবাবের (উড়নার উপর ব্যবহ্রত বিশেষ কাপড়) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং)করা হবেনা (সুরা আল আহাযাব-৫৯)।
রসুলুল্লাহ (সঃ) এর যুগে মুসলমান দাসীরা কাজের জন্য বের হলে দুষ্ঠ মুনাফিকরা তাদের উত্ত্যক্ত করত এমনিক ভদ্র স্বাধীণ মহিলাদেরকেও উত্ত্যক্ত করত তাই মাহান আল্লাহ তাদের জালবার তথা উড়নার উপর বিশেষ কাপড় ব্যবহারের নিদের্শ দেন এবং ইভটিজিং থেকে বাচার উপায় বলে দেন। যার বাস্তাব চিত্র সমাজের পর্দানশীল নারীদের থেকে পাওয়া যায় । তারা যখন রাস্তা দিয়ে হাটে বখাটেরা তাদের উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) করেনা। আল্লাহ সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুক (আমীন)।