সেলিনা হায়াৎ আইভী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Yahia.barie (আলোচনা | অবদান) অ সংযোজিত বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি; হটক্যাটের মাধ্যমে |
Yahia.barie (আলোচনা | অবদান) Infobox, উইকিফাই করা হয়েছে |
||
১ নং লাইন:
{{unref|date=নভেম্বর ২০১১
'''সেলিনা হায়াৎ আইভী''', [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন|নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের]] মেয়র এবং নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার।▼
{{Infobox officeholder
|name = সেলিনা হায়াৎ আইভী
|image =
|caption = সেলিনা হায়াৎ আইভী
|order = নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র
|term_start =
|term_end =
|predecessor =
|successor =
|birth_name =
|birth_date = {{birth date and age|mf=yes|1966|06|06}}
|birth_place = [[নারায়ণগঞ্জ]], [[বাংলাদেশ]]
|occupation = ডাক্তার, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
|party = [[আওয়ামী লীগ]]
|partner =
|residence = [[নারায়ণগঞ্জ]], বাংলাদেশ
|alma_mater =
|religion = [[ইসলাম|ইসলাম ধর্ম]]
|blank1 = |data1 =
|signature =
|website =
}}
▲'''সেলিনা হায়াৎ আইভী''', [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন|নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের]] মেয়র এবং নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার।
তিনি দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। অতঃপর তিনি মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষাগ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সাথে Doctor of Medicine (MD) ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। ডা. আইভী তাঁর সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।▼
== জীবনী ==
ডা. আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী নিবাসী কাজী আহসান হায়াৎ-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে কর্মরত আছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত (জন্ম ৫ মে ১৯৯৮) ও কাজী সারদিল হায়াত অনন্ত (জন্ম ২০ জুন ২০০২)।▼
▲ডাক্তার আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ই জুন [[নারায়ণগঞ্জ|নারায়ণগঞ্জের]] একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা "মমতাজ বেগম" ও পিতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান "আলী আহাম্মদ চুনকা"। চুনকা পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ডা. আইভী হলেন প্রথম সন্তান। তিনি [[দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়]] হতে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি [[নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুল|নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে]] ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ
== পারিবারিক জীবন ==
তিনি ১৯৯৫ সাল হতে নিউজিল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সে অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি দেশের মানুষ ও সর্বোপরি নিজের সেই পরিচিত শহর ও শহরবাসীর জন্য এক প্রগাঢ় হৃদয়ের আকর্ষণ অনুভব করেন। তিনি অধ্যয়নকালীন সময়ে ও প্রবাস জীবনের ফাঁকে ফাঁকে ছুটে এসেছেন জন্মভূমিতে। এছাড়া তিনি গরীব ও দুঃখী লোকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করেন। তাঁর এই কর্মকান্ডে পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকার দানশীলতা, মানবপ্রেম ও একই সাথে মানব সেবার প্রতিফলন ঘটে।▼
▲ডা. আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর [[রাজবাড়ী]] নিবাসী "কাজী আহসান হায়াৎ"-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে [[নিউজিল্যান্ড|নিউজিল্যান্ডে]] কর্মরত আছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। ''কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত'' (
▲তিনি ১৯৯৫ সাল হতে নিউজিল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ডের [[অকল্যান্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্স|অকল্যান্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সে]] অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি দেশের মানুষ ও সর্বোপরি নিজের সেই পরিচিত শহর ও শহরবাসীর জন্য এক প্রগাঢ় হৃদয়ের আকর্ষণ অনুভব করেন। তিনি অধ্যয়নকালীন সময়ে ও প্রবাস জীবনের ফাঁকে ফাঁকে ছুটে এসেছেন জন্মভূমিতে। এছাড়া তিনি গরীব ও দুঃখী লোকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করেন। তাঁর এই কর্মকান্ডে পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকার দানশীলতা, মানবপ্রেম ও একই সাথে মানব সেবার প্রতিফলন ঘটে।
== কর্ম জীবন ==
তিনি স্কুল ও কলেজ জীবন হতে বাবার সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি ১৬ জানুয়ারি ২০০৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২৭.০৬.২০১১ পর্যন্ত তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর [[আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগের]] সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন।
তিনি [[নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন|নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের]] প্রথম মেয়র এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা যিনি কোনো [[সিটি কর্পোরেশন|সিটি কর্পোরেশনের]] মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।▼
▲তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা যিনি কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬৬-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
|