জেনেভা কনভেনশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NasrinatWiki (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Suvray (আলোচনা | অবদান)
গোছানো
১ নং লাইন:
[[Image:Original Geneva Conventions.jpg|thumb|300px|জেনেভা কনভেনশন: যুদ্ধে মানবিক নীতি প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম জেনেভা কনভেনশনের (১৮৬৪) স্বাক্ষর ও মোহরাঙ্কিত পৃষ্ঠা]]
 
যুদ্ধ-উপদ্রুত ও [[যুদ্ধ|যুদ্ধে]] ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে জনহিতকর আচরণের জন্য যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে '''জেনেভা কনভেনশন''' (জেনেভা কনভেনশনস)। এতে চারটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও তিনটি বাড়তি [[প্রটোকল]] রয়েছে ।রয়েছে। বস্তুত, একবচন শব্দ হিসেবে ''জেনেভা কনভেনশন'' ১৯৪৯ সালের একটি সন্ধিপত্রকে নির্দেশ করে, যেটি সম্পাদিত হয়েছিল [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও এর ফলাফল হিসেবে। এই সন্ধিপত্রেই চতুর্থ চুক্তিটি যোগ করা হয় ও প্রথম তিনটি চুক্তির (১৮৬৪, ১৯০৬, ১৯২৯) হালনাগাদ করা হয়। [[চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন|চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের]] (১৯৪৯) বিভিন্ন অনুচ্ছেদে যুদ্ধকালীন সময়ে বা সামরিক সংঘাতে ধৃত ব্যক্তির মৌলিক অধিকারসমূহ নির্দিষ্টভাবে ও বিশদ ভাষায় নিরূপণ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আহতদের এবং যুদ্ধাঞ্চল ও এর কাছাকাছি এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা। ১৯৪৯ সালের এই চুক্তিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অথবা রিজার্ভেশনসহ (একটি চুক্তির কার্যধারা মুলতুবি রাখার প্রক্রিয়া) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ১৯৪ টি দেশ। <ref>{{cite web|url=http://www.icrc.org/ihl.nsf/WebSign?ReadForm&id=375&ps=P|work=International Humanitarian Law|title=State Parties / Signatories: Geneva Conventions of 12 August 1949|publisher=International Committee of the Red Cross}}</ref>
 
''জেনেভা কনভেনশন'' যেহেতু যুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট মানুষের বিষয়ে, তাই এর অনুচ্ছেদসমূহে যুদ্ধ ও যুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে যথোচিত নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই দুইটি প্রসঙ্গ মূলত [[হেগ কনভেনশন|হেগ কনভেনশনের]] বিষয়বস্তু (প্রথম হেগ কনফারেন্স ১৮৯৯ সালে ও দ্বিতীয় হেগ কনফারেন্স ১৯০৭ সালে সম্পাদিত হয়)। এছাড়াও, '''রাসায়নিক''' ও '''জীবাণু''' যুদ্ধ নিয়ে নির্দেশনা রয়েছে [[জেনেভা প্রটোকল|জেনেভা প্রটোকলে]] (যুদ্ধে শ্বাসরোধকারী, বিষাক্ত ও অন্যান্য গ্যাসের ব্যবহার এবং জীবাণুতাত্ত্বিক যুদ্ধপ্রণালী নিষিদ্ধকরণের জন্য যে প্রটোকল, ১৯২৯)।
১২ নং লাইন:
প্রথম প্রস্তাবটির কারণে প্রতিষ্ঠা পেল [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেডক্রস]]। আর দ্বিতীয়টি জন্ম দিয়েছিল প্রথম ''জেনেভা কনভেনশন''। এই দুইটি অর্জনের জন্য ১৯০১ সালে '''ফ্রেদেরিক পাসি'''র সাথে যৌথভাবে হেনরী ডুনান্ট [[শান্তিতে নোবেল পুরস্কার|নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান]]। <ref>{{cite book | last = Abrams | first = Irwin | title = The Nobel Peace Prize and the Laureates: An Illustrated Biographical History, 1901-2001 | publisher = Science History Publications | location = US | year = 2001 | url = http://books.google.com/books?id=ny77bPwKxaUC}}</ref><ref>[http://www.icrc.org/web/eng/siteeng0.nsf/htmlall/f00993 The story of an idea], film on the creation of the Red Cross, Red Crescent Movement and the Geneva Conventions</ref> যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও অসুস্থ সৈনিকদের সার্বিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে প্রথম জেনেভা কনভেনশনটি সম্পাদিত হয়েছিল।
 
১৮৬৪ সালের ২২শে আগস্ট মোট বারোটি দেশ প্রথম চুক্তিটির দশটি অনুচ্ছেদ প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করে। <ref>{{cite book | last = Roxburgh | first = Ronald | title = International Law: A Treatise | publisher = Longmans, Green and co. | location = London | year = 1920 | url = http://books.google.com/books?id=G8NAAAAAIAAJ | page = 707}} এই বারোটি দেশ ছিল [[সুইজারল্যান্ড]], [[ব্যাডেন]], [[বেলজিয়াম]], [[ডেনমার্ক]], [[ফ্রান্স]], [[হেস]], [[হল্যান্ড]], [[ইতালি]], [[পর্তুগাল]], [[প্রুশিয়া]], [[স্পেন]], এবং [[উর্টেমবার্গ]].</ref> এ প্রচারিভাযানে মার্কিন রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা ক্লারা বার্টন যথেষ্ট প্রভাব রাখেন । অবশেষে ১৮৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্র এর অনুমোদন দেয়।<ref>{{cite book | last = Burton | first = David | title = Clara Barton: in the service of humanity | publisher = Greenwood Publishing Group | location = London | year = 1995 | url = http://books.google.com/books?id=rJyTkPqIC-sC}}</ref>
 
''সমুদ্রস্থ যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও অসুস্থ সৈনিকদের সার্বিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে'' ১৯০৬ সালের ৬ই জুলাই-এ সম্পাদিত জেনেভা কনভেনশনে দ্বিতীয় চুক্তিটি গৃহীত হয় । এটিই দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন। এই চুক্তিটিতে সুনির্দিষ্টভাবে সমুদ্রপথে যুদ্ধরত সেনাবাহিনিকেসেনাবাহিনীকে নির্দেশ করা হয়েছে। <ref>[http://www.fco.gov.uk/resources/en/pdf/treaties/TS1/1907/15 Text of the 1906 convention (French)]</ref> ১৯২৯ সালের ২৭শে জুলাইএজুলাইয়ে সম্পাদিত ''যুদ্ধবন্দিদের সাথে সু-আচরণ ও তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে'' তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনেও এটি বহাল রাখা হয় এবং কার্যকর হয় ১৯৩১ সালের ১৯শে জুন তারিখে।<ref>Text in ''League of Nations Treaty Series'', vol. 118, pp. 304-341.</ref> [[ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল|ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে]] যে [[যুদ্ধাপরাধ|যুদ্ধাপরাধের]] ঘটনা প্রকাশ পায় তার প্রতি তীব্র ক্ষোভ থেকে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী এক শান্তিকামি ও মানবহিতৈষী স্পৃহা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪৯ সালে একের পর এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে পূর্বের তিনটি জেনেভা কনভেনশনকে হালনাগাদকরণ ও সুনিশ্চিতকরণসহ ''যুদ্ধকালীন সময়ে বেসামরিক জনগণ রক্ষার্থে'' একটি নতুন ও বিশদ ''জেনেভা কনভেনশন'' যোগ করা হয়। এটাই ছিল চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন।
 
এই দলিলসমূহের বহু বিস্তারিত ব্যাপ্তিসত্ত্বেও সময়ের সাথে সাথে এর অসম্পূর্ণতা উপলব্ধি করা গেছে। বস্তুত [[স্নায়ুযুদ্ধ|স্নায়ুযুদ্ধের]] শুরু থেকেই যুদ্ধের ধরণ বদলে গেছে, ফলে অনেকেই মনে করেন যে, ১৯৪৯-এর জেনেভা কনভেনশন প্রকৃতপক্ষে এক অধুনা-লুপ্ত বাস্তবতার জন্য প্রযোজ্য।<ref>{{cite book | last = Kolb| first = Robert| title = Ius in bello| publisher = Helbing Lichtenhahn | location = Basel | year = 2009 | code=[ISBN 978-2-8027-2848-1]}}</ref> একদিকে বেশিরভাগ সামরিক সংঘাত ছিল অভ্যন্তরীণ যা পরিণত হয়েছিল গৃহযুদ্ধে, আবার অপরপক্ষে বেশিরভাগ যুদ্ধ হয়ে উঠছিল ক্রমবর্ধমানভাবে অসম বা অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া সাম্প্রতিক কালেরসাম্প্রতিককালের যুদ্ধ ও সংঘাতগুলোতে বেসামরিক জনগণকে উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে, যার ফলে যুদ্ধকালীন সময়ে বেসামরিক সামগ্রী ও জনগণের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এ প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ১৮৯৯ এবং ১৯০৭-এর হেগ কনভেনশন হালনাগাদ করা হয়েছে এবং এ হালনাগাদকরণ ছিল অতীব প্রয়োজনীয়। এ সমস্ত ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে দুটি প্রটোকল গৃহীত হয় যা কিনা ১৯৪৯ সালের কনভেনশনকে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থাসহ আরও সম্প্রসারিত করেছে। ২০০৫ সালে সংক্ষিপ্ত তৃতীয় প্রটোকলটি যুক্ত হয় যা চিকিৎসা সেবার নিরাপত্তামূলক [[প্রতীক|প্রতীক চিহ্ণের]] জন্য [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেডক্রস]] ও [[আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন|রেডক্রিসেন্ট]]-এর প্রতীকচিহ্ণের বিকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে '''রেডক্রিস্টাল'''। এই প্রতীকটি সেই সব দেশের জন্য প্রযোজ্য যারা রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের প্রতীকচিহ্ণকে আপত্তিকর মনে করে।
 
==জেনেভা কনভেনশন ও এর চুক্তিসমূহ==
জেনেভা কনভেনশনে যে সব বিধি যুক্ত হয়েছে তা যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাতের সময়ে প্রয়োগযোগ্য এবং এই আইন বা বিধিসমূহ সেই ব্যক্তিবর্গকে রক্ষার চেষ্টা করে যারা সংঘাত বা বৈরিতায় লিপ্ত নয় অথবা যারা সংঘাত ও বৈরিতায় আর অংশগ্রহনঅংশগ্রহণ করছে না, যেমনঃ
* আহত বা অসুস্থ যোদ্ধা
* যুদ্ধবন্দী
৪১ নং লাইন:
 
==প্রয়োগ==
যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাতের সময়ে সেইসব রাষ্ট্রের জন্যই জেনেভা কনভেনশন প্রযোজ্য যারা এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ২ এবং ৩ নং অনুচ্ছেদে জেনেভা কনভেনশনের প্রয়োগযোগ্যতা স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যদিও এই প্রয়োগযোগ্যতার বিষয়টি কিছু বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। যে সময়ে জেনেভা কনভেনশনের প্রয়োগ হবে, সে সময়টিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার লক্ষ্যে সরকারকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত রষ্ট্রের [[সার্বভৌমত্ব|সার্বভৌম ক্ষমতা]] অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। এই আইন কোনো দেশের [[সংবিধান]] বা তার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে পুরোপুরি সুসংগত না-ও হতে পারে। ফলে জেনেভা কনভেনশনের চুক্তিগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে জনগণের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক চাপের কারণে কোনো কোনো সরকার এর দায়দায়িত্বদায়-দায়িত্ব গ্রহণে অনীহা প্রদর্শন করতে পারে।
 
===আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতের সাথে সম্পর্কিত ২ নং ধারা===
৫৯ নং লাইন:
আন্তর্জাতিক নয় এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পুরো জেনেভা কনভেনশনের সবকয়টি ধারা বা বিধান প্রয়োগযোগ্য নয়। শুধুমাত্র ৩ নং ধারা<ref name=pictet/> এবং [[প্রটোকল ২]] এ অন্তর্ভূক্ত সীমিত কিছু শর্তই এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রয়োগযোগ্য। অন্যথায় কনভেশনের অনেক অনুচ্ছেদ বা শর্তই একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক হবে, চুক্তির ধারা প্রয়োগ সীমিতকরণের যৌক্তিক ভিত্তি ছিল এটাই। এ ধারাটির শর্তসমূহ প্রযোজ্য হবে এই বিবেচনায় নিচের প্রস্তাবগুলো পাওয়া যায়ঃ
* যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে না, এর ভেতরে সেই সামরিক ব্যক্তিগণও অন্তর্ভূক্ত হবে যারা অসুস্থতা, জখম বা বন্দীত্বের কারণে যুদ্ধে সক্রিয় নয়, তাদের সাথে সদয় আচরণ করতে হবে।
* আহত ও অসুস্থদের যত্ন নিতে হবে, তাদের চিন্তা এবং আবেগকে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।
 
==কনভেনশন কার্যকরীকরণ==
৬৮ নং লাইন:
===প্রটেক্টিং পাওয়ারস===
 
কনভেনশনে উল্লেখিত ''প্রটেক্টিং পাওয়ার'' শব্দদ্বয়ের একটি সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে। প্রটেক্টিং পাওয়ার বা নিরাপত্তাবিধানকারী শক্তি হলো এমন একটি রাষ্ট্র যেটি একটি নির্দিষ্ট সামরিক সংঘাতে অংশগ্রহণ করছেনাকরছে না, কিন্তু সংঘাতের সাথে সম্পৃক্ত একটি পক্ষের স্বার্থের দিকে খেয়াল রাখতে সম্মত হয়েছে। এই প্রটেক্টিং পাওয়ার, যে কিনা একটি মধ্যস্থতাকারী, সংঘাতে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। যুদ্ধাঞ্চল পরিদর্শন ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ করে কনভেনশনের প্রয়োগ হচ্ছে কিনা এই ব্যাপারটি পরীক্ষা করাও এর একটি কাজের মধ্যে পড়ে। শুধু তাই নয়, বন্দী, আহত ও বেসামরিক জনগণের পক্ষে প্রটেক্টিং পাওয়ারকে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে।
 
=== কনভেনশনের লঙ্ঘন ===
৭৫ নং লাইন:
 
* ইচ্ছাকৃত হত্যা, অত্যাচার অথবা মানব শরীরে জীববৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ
* ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাস্থ্যের বা শরীরে গুরুতর জখম বা ক্ষতি করা
* কাউকে বলপূর্বক শত্রুশিবিরে কাজ করতে বাধ্য করা
* যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত কাউকে পক্ষপাতহীন বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।