কাশীরাম দাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shonpangshu (আলোচনা | অবদান)
Shonpangshu (আলোচনা | অবদান)
৩ নং লাইন:
 
==জীবনী==
কাশীরাম দাস বর্ধমানের ইন্দ্রাণী পরগনার<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', শ্রীমন্ত কুমার জানা, ওরিয়েন্টাল বুক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, পৃ. ১৮৫</ref> (অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বর্ধমান জেলা]]র [[কাটোয়া মহকুমা]]) অন্তর্গত সিঙ্গি (মতান্তরে সিদ্ধি) গ্রামে এক বৈষ্ণব কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> তাঁর পিতার নাম ছিল কমলাকান্ত।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> কবিরা ছিলেন তিন ভাই - তিন ভাইই ছিলেছিলেন কবি। বড় ভাই কৃষ্ণদাস ''শ্রীকৃষ্ণবিজয়'' নামে এক কাব্য লেখেন। ছোট ভাই গদাধর লিখেছিলেন ''জগন্নাথ মঙ্গল'' বা ''জগৎমঙ্গল'' কাব্য। কাশীরাম [[বেদব্যাস]] বিরচিত সংস্কৃত মহাকাব্য ''[[মহাভারত]]'' অবলম্বনে লেখেন ''ভারত-পাঁচালী''।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> কাশীরাম দাস সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> তিনি অধুনা [[পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা]]র আসিগড়ের বা আওসগড়ের জমিদার বাড়ির আশ্রয়ে থেকে শিক্ষকতা করতেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> কথিত আছে, উক্ত জমিদার বাড়িতে কথক ও সংস্কৃত পণ্ডিতদের মুখে মহাভারতের কাহিনী শুনে তিনি বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদে উদ্বুদ্ধ হন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> গবেষকদের অনুমান, ''ভারত-পাঁচালী'' রচনা সমাপ্ত হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। তাঁদের আরও অনুমান, কাশীরাম দাস সম্পূর্ণ মহাভারত অনুবাদ করে যেতে পারেননি। আদি, সভা, বন ও বিরাট - এই চার পর্ব অনুবাদের পর তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর জামাই অবশিষ্টাংশ অনুবাদ করেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, কলকাতা, পৃ. ১২১-২২</ref> অন্যমতে, তাঁর ভাইপো নন্দরাম ও অন্যান্য আত্মীয়রা মিলে অনুবাদকর্ম সমাপ্ত করেন।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, শ্রীধর প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ১২২</ref>
 
==কাশীদাসী মহাভারত==