ইরাক–ইরান যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mehrab (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Mehrab (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪৪ নং লাইন:
 
বছরের শুরুতে বেশ কিছু বিপর্যয় কাটিয়ে ইরানি বাহিনী সে বছর বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করে । মে মাসে সুসানজার্দ এর নিকটবর্তী উচ্চভূমি ইরান পুনর্দখল করতে সমর্থ হয়। ইরানি আক্রমণে সেপ্টেম্বর মাসে ইরাকের [[আবাদান অবরোধ]] এর সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য , ১৯৮০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ইরাক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তেল সমৃদ্ধ এ বন্দরটি অবরোধ করে রেখেছিল।<ref>Karsh, Efraim ''The Iran-Iraq War 1980–1988'', London: Osprey, 2002 page 33</ref> ১৯৮১ সালের শরৎে ইরান অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়ে ইরাক সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঝেই বেশ জোরেশোরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।<ref name="Karsh, Efraim page 34">Karsh, Efraim ''The Iran-Iraq War 1980–1988'', London: Osprey, 2002 page 34</ref> ২৯ নভেম্বর ৩ টি সেনা ব্রিগেড এবং ৭ টি আধা-সামরিক রেভুলুশনারি গার্ড ব্রিগেড নিয়ে শুরু হয়ে ইরানের [[অপারেশন তারিক-আল-কুদস]]। এ অভিযানের ফলে ৭ ডিসেম্বর ইরান [[বোস্তান]] শহরটি পুনরুদ্ধার করে।<ref name="Karsh, Efraim page 34"/> যুদ্ধ প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে ইরাক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকায়, এই অপারেশনে ইরান প্রথমবারের মত তাদের "মানব-ঢেউ" কৌশলের প্রয়োগ ঘটায়। এ কৌশলে আকাশপথে বা ভূমিতে কোন ভারী আর্টিলারীর সাহায্য ছাড়াই রেভুলশনারী গার্ডের বিপুল সংখ্যক সদস্য বারবার ইরাকি অবস্থানে আক্রমণ চালায়।<ref name="Karsh, Efraim page 35">Karsh, Efraim ''The Iran-Iraq War 1980–1988'', London: Osprey, 2002 page 35</ref>বোস্তানের পতনের ফলে ইরাক খুজেস্তান প্রদেশে তাদের সেনাদের রসদ সরবরাহে বড় ধরণের বাধার সম্মুখীন হয়।<ref name="Karsh, Efraim page 35"/>
 
===১৯৮৪: পারস্য উপসাগরে "ট্যাংকার যুদ্ধ"===
[[File:Frigate of Iran in Tanker War.JPG|thumb|250px|An Iranian frigate during the tanker war]]
১৯৮৪ সালের শুরুর দিকে ইরাক পারস্য উপসাগরে ইরানি ট্যাংকার এবং [[খারাগ দ্বীপ।খারাগ দ্বীপে]] তৈল-টার্মিনালে হামলা করলে ট্যাংকার যুদ্ধের সূচনা হয়।<ref name="Karsh, Efraim page 50">Karsh, Efraim ''The Iran-Iraq War 1980–1988'', London: Osprey, 2002 page 50</ref>ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কুয়েত ছেড়ে আসা ইরাকি তেলবাহী ট্যাংকারে আক্রমণ চালাতে শুরু করে।উপসাগরীয় যেসব দেশ যুদ্ধে ইরাককে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছিল , তাদের ট্যাংকারও ইরানের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।দুই দেশ একে অপরের অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে অনেক তৃতীয় পক্ষের বাণিজ্যিক জাহাজেও আক্রমণ করতে শুরু করে।ইরাক ঘোষণা করে পারস্য উপসাগরের উত্তরাংশে ইরানি বন্দর অভিমুখী বা ইরান ছেড়ে আসা যে কোন জাহাজ তাদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হবে।<ref name="Karsh, Efraim page 50"/> ট্যাংকার যুদ্ধ শুরুর পেছনে সাদ্দাম হোসেনের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছিল।ইরাকের আশা ছিল, আক্রান্ত হলে কড়া প্রতিশোধ হিসেবে ইরান [[হরমুজ প্রণালী]] পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে।<ref name="Karsh, Efraim page 50"/> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল , হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে তারা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।<ref name="Karsh, Efraim page 50"/> এ কারণে ইরান প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে দূরে থেকে কেবলমাত্র ইরাকী জাহাজের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত অটল থাকে।<ref name="Karsh, Efraim page 51">Karsh, Efraim ''The Iran-Iraq War 1980–1988'', London: Osprey, 2002 page 51</ref> ইরাকের আক্রমণের মুখে ইরান [[হরমুজ প্রণালী]]তে অবস্থিত [[লারাক দ্বীপ]] এ তাদের বন্দর সরিয়ে নেয়।<ref name="Dugdale2002">{{cite web
| first = TDP | last = Dugdale-Pointon
| date = 27 October 2002
| title = Tanker War 1984–1988, | url = http://www.historyofwar.org/articles/wars_tanker.html
| postscript = <!--None-->}}</ref>
 
==যুদ্ধের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য==