ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hindu Patriot (আলোচনা | অবদান)
Hindu Patriot (আলোচনা | অবদান)
৩৭ নং লাইন:
== বৈশিষ্ট্য ==
নির্দেশাত্মক নীতিগুলির উদ্দেশ্য এমন এক আর্থ-সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে নাগরিকেরা সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে। তাছাড়া একটি [[জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র]] গঠনের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাও এই নীতিগুলির উদ্দেশ্য। এই নীতিগুলি সরকারের প্রতি নজরদারির একটি মাধ্যম। তত্ত্বগতভাবে এই নীতিগুলিই সরকারের কাজকর্মে জনগণের নজরদারি ও সরকারের ব্যর্থতায় সরকারকে ভোট না দেওয়ার অধিকারের স্বীকৃতি। নির্দেশাত্মক নীতি আদালতে অগ্রহণযোগ্য নাগরিক অধিকার। ১৯৭১ সালে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ৩১-গ ধারার অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়ে এই নীতিগুলির মর্যাদা বৃদ্ধি ঘটানো হয়।<ref name="26amact">[http://indiacode.nic.in/coiweb/amend/amend26.htm 26th Amendment Act, 1971].</ref> বলা হয়, কোনো আইন যদি মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশাত্মক নীতিকে স্থান দেয়, তাহলে শুধুমাত্র মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে, এই অভিযোগে সেই আইনকে খারিজ করা যাবে না। আবার মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতির মধ্যে সংঘাত বাধলে, নির্দেশাত্মক নীতি যদি সেক্ষেত্রে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের পক্ষে থাকে, তবে আদালতে নির্দেশাত্মক নীতিই গ্রাহ্য হবে।<ref name="art31C">[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part III Article 31C Directive Principles of State Policy]].</ref> তাই নির্দেশাত্মক নীতি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য না হলেও দেশের সরকার পরিচালনার কাজে অপরিহার্য্য। রাষ্ট্রের<ref name=State/> কর্তব্য এই নীতিগুলিকে আইনে পরিণত করা।<ref>[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 37 Directive Principles of State Policy]].</ref> তাছাড়া সব সরকারি সংস্থাই এই নীতিগুলির দ্বারা পরিচালিত। এমনকি বিচারকার্যে বিচারবিভাগকেও এই নীতিগুলি স্মরণে রাখতে হয়।<ref>Tayal, B.B. & Jacob, A. (2005), ''Indian History, World Developments and Civics'', pg. A-39 to A-40</ref><ref>Sinha, Savita, Das, Supta & Rashmi, Neeraja (2005), ''Social Science – Part II'', pg. 29</ref>
 
==নির্দেশসমূহ==
নির্দেশাত্মক নীতি অনুযায়ী, রাষ্ট্র<ref name=State/> সামাজিক, আর্থিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি সমাজব্যবস্থা গঠন করে জনকল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হবে এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আয়-বৈষম্য কমাতে চেষ্টা করবে;<ref>[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 38 Directive Principles of State Policy]].</ref> অর্থনৈতিক সম্পদের সুষম বণ্টন ঘটাবে; শিশু ও মহিলাদের স্বাস্থ্যরক্ষা ও শোষণের হাত থেকে রক্ষা করবে;<ref>[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 39 Directive Principles of State Policy]].</ref> সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র সবাইকে বিনামূল্যে আইনি সাহায্য দেবে এবং খেয়াল রাখবে যাতে আর্থিক দুরবস্থার কারণে কেউ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়;<ref name="art39A">[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 39A Directive Principles of State Policy]].</ref> গ্রাম [[পঞ্চায়েত]] গঠনের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার সুনিশ্চিত করবে;<ref>[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 40 Directive Principles of State Policy]].</ref> কাজ ও শিক্ষার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি আর্থিকভাবে দুর্গতদের বেকার, বৃদ্ধ ও অসুস্থ অবস্থায় রাষ্ট্র সাহায্য করবে।;<ref name="art41">[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 41 Directive Principles of State Policy]].</ref> এবং রাষ্ট্র কাজের শর্তাবলি মানবাধিকার-সম্মত করবে এবং প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।<ref>[[wikisource:Constitution of India/Part IV|Constitution of India-Part IV Article 42 Directive Principles of State Policy]].</ref>
 
==তথ্যসূত্র==