বাণিজ্যকুঠি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
খ্রিষ্টাব্দ > খ্রিস্টাব্দ
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=সেপ্টেম্বর ২০১১}}
'''বাণিজ্যকুঠি''' ইউরোপীয়দের বাণিজ্য কেন্দ্র ও পণ্যাগার। এ ধরনের কেন্দ্র থেকে ইউরোপীয় নৌবাণিজ্য কোম্পানিগুলি পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনা করত। এ পণ্যাগারে জাহাজের মালামাল বাজারজাত করার জন্য মজুত রাখা হতো। এখানে রপ্তানির জন্য মালামাল সংগৃহীত ও প্রক্রিয়াজাত করা হতো। কোম্পানির ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের আবাসস্থলও ছিল এ কুঠি। বাণিজ্যকুঠির বিষয়াবলি পরিচালনা করত একটি ‘[[কাউন্সিল অব মার্চেন্টস]]’। এ কাউন্সিল প্রধানকে ফ্যাকটর নামে অভিহিত করা হতো। আমদানি পণ্য গ্রহণ ও বিক্রি এবং রপ্তানি পণ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করা ছিল ফ্যাকটরের দায়িত্ব। ফ্যাকটর স্থানীয় [[বানিয়া]] ও [[গোমস্তা|গোমস্তাদের]] অর্থ আগাম দিত এবং তারা অর্থ জোগান দিত স্থানীয় উৎপাদক ও পাইকারদের। এ প্রক্রিয়াকে বলা হতো বিনিয়োগ। এভাবে ‘ফ্যাকটর’ ও ‘বিনিয়োগ’ এই শব্দ দুটি ভারতে ইউরোপীয় নৌবাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডসংক্রান্ত পারিভাষিক শব্দ হয়ে ওঠে। বর্তমানে শব্দ দুটির যে প্রায়োগিক অর্থ চালু তার সঙ্গে সেকালের অর্থের মিল ছিল না। [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] প্রথম বাণিজ্যকুঠি [[১৬৫১]] খ্রিস্টাব্দে [[উড়িষ্যা|[উড়িষ্যার]] [[বালেশ্বর|বালেশ্বরে]] স্থাপিত হয়। পরে [[হুগলি]], [[পাটনা]], [[ঢাকা]], [[কাসিমবাজার]] ও [[কলকাতা|কলকাতায়ও]] এ ধরনের বাণিজ্যকুঠি গড়ে ওঠে। এসব বাণিজ্যকুঠির অধীনে অসংখ্য মফস্বল কুঠি ছিল। ইংরেজ দের আঞ্চলিক সদর দপ্তর ছিল [[হুগলি]]তে। পরে এটি কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। [[ফরাসি|ফরাসিদের]] সদর দপ্তর ছিল [[চন্দননগর|চন্দননগরে]]। [[ওলন্দাজ]] ও [[দিনেমার]] দের সদর দপ্তর যথাক্রমে [[চুঁচুড়া]] ও [[শ্রীরামপুর|শ্রীরামপুরে]] ছিল। ব্যবসায়-বাণিজ্যের জন্য এগুলি ছিল ইউরোপীয়দের বসতি। নজর, পেশকাস, নিয়মিত শুল্ক ও খাজনা প্রদানের বিনিময়ে মুগল সরকারের কাছ থেকে এরা সনদ লাভ করত। সনদে বসতি স্থাপনের অধিকার সম্পর্কিত শর্তাবলির উল্লেখ থাকত। এসব বসতি কালক্রমে এক একটি কোম্পানির একান্ত সংরক্ষিত এলাকা হয়ে ওঠে।