মাইক্রোওয়েভ ওভেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নিবন্ধ তৈরী |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৬:১২, ২০ অক্টোবর ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা সংক্ষেপে মাইক্রোওয়েভ, কখনো কখনো শুধু ওভেন রান্নাবান্নার কাজে সহায়তাকারী একটি বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এই যন্ত্রে মাইক্রোওয়েভ বা অতি ক্ষুদ্র কম্পাঙ্কের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে খাদ্যবস্ত্তকে উত্তপ্ত করা হয়। এটি মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ব্যবহার করে খাদ্যবস্ত্তর অভ্যন্তরীণ পোলারাইজড (polarized) অণুগুলোকে উত্তপ্ত করে, ফলে সম্পূর্ণ খাদ্যবস্ত্তটি গরম বা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়ায় ঘন বা বেশী জলীয় উপাদান বিশিষ্ট খাদ্যের বাইরের দিকের ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি (২৫ মিমি থেক ৩৮ মিমি) পর্যন্ত অংশ সুষমভাবে গরম হয়। শুকনো খাদ্যে গরম হয় আরো বেশী অংশ। মাইক্রোওয়েভ এভাবে খাদ্যের ভেতরে পর্যন্ত ভেদ করে যায় বলে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে অন্যান্য রান্না পদ্ধতির, বিশেষ করে তাপ পরিবহনের মাধ্যমে রান্না করার পদ্ধতির, থেকে অনেক ভালোভাবে খাদ্যের সকল অংশকে সমানভাবে উত্তপ্ত করা যায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাদ্যকে দ্রুত এবং সুষম ভাবে গরম করা যায় বলে পূর্বের রান্না করা খাবার পুনরায় গরম করতে, সবজি রান্না করতে এবং স্টু বা ঘন সুরুয়া বা ঝোল জাতীয় খাবার রান্না করতে বহুল ব্যবহৃত হয়। কিন্ত্ত মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাদ্যকে ভাজা, পোড়ানো কিংবা বেক করা যায় না বলে পেশাদার রান্নার জগতে এর ব্যবহার সীমিত[১]।
ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে রাডার প্রযুক্তির যে উন্নতি হয় তাকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের পরে মার্কিন রেথিয়ন কোম্পানী প্রথম বাণিজ্যিক মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরী করে। এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের নাম ছিল 'রাডারেঞ্জ' (Radarange) যা ১৯৮৭ সালে প্রথম বিক্রিত হয়। রেথিয়ন পরে আবাসিক ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেনের স্বত্ত্ব নিবন্ধন করে এবং ট্যাপ্পান(Tappan) নাম দিয়ে ১৯৫৫ সালে বাজার আনে। কিন্তু এই যন্ত্রগুলো সর্বসাধারণ্যে ব্যবহারের জন্য বেশী বড় আকারের ছিল এবং মূল্যও অনেক বেশী ছিল। অবশেষে ১৯৬৭ সালে আমানা কর্পোরেশন প্রথম কাউন্টার বা টেবিলের উপরে রেখে ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেন বাজারজাত করে। পরে ১৯৬৫ সালে রেথিয়ন একে কিনে নেয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ Hervé This, Révélations gastronomiques, Éditions Belin. ISBN 2-7011-1756-9