বাহাদুর শাহ পার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mak (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
→‎পার্ক: তথ্য শুদ্ধি
৪ নং লাইন:
পার্কটি ডিম্বাকৃতি এবং পার্কটি লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। এর পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে দুটো প্রধান ফটক বা গেট রয়েছে। পার্কটির ভেতরে রেলিং এর পাশ দিয়ে পাকা রাস্তা করা হয়েছে।
 
পার্কটি ঢাকার অন্যতম প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট এলাকায় ঢুকতেই লক্ষ্মীবাজারের ঠিক মাথায় অবস্থিত।<ref name=dhakaDec08></ref> পার্কটি কে ঘিরে ৭টি রাস্তা একত্রিত হয়েছে। এর চারপাশে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সহ বেশ কিছু স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থাকার কারণে এটি পুরনো ঢাকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। পার্কের উত্তর পাশে রয়েছে সেন্ট থমাস চার্চ, উত্তর পাশেই অবস্থিত ঢাকার প্রথম পানি সরবরাহ করার জন্য তৈরি ট্যাংক। উত্তর-পূর্ব কোনে আছে ঢাকার অন্যতম কলেজ [[কবি নজরুল সরকারী কলেজ]] এবং [[ইসলামিয়া হাই স্কুল]], পূর্ব পাশে রয়েছে ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় [[সরকারী মুসলিম স্কুল]], দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে ঢাকা শহরে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]]। পার্কের ঠিক উত্তর পশ্চিম পাশেই রয়েছে ঢাকার জজ কোর্ট। এছাড়া বাংলা বাজার, ইসলামপুর, শাখারী বাজারের মত ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকা থেকে বর্তমান ঢাকার নতুন এলাকায় আসতে এ পার্ক এলাকার রাস্তাটিই প্রধান সড়ক।
 
==নামকরণ==
আঠার শতকের শেষের দিকে এখানে ঢাকার আর্মেনীয়দের বিলিয়ার্ড ক্লাব ছিল।<ref name=dhakaDec08> আন্টাঘর থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক, আবদুল মালেক, ত্রৈমাসিক ঢাকা, বর্ষ ১, সংখ্যা ৪, ডিসেম্বর ২০০৮, পৃষ্ঠা-২১</ref> যাকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছিল '''আন্টাঘর'''। বিলিয়ার্ড বলকে স্থানীয়রা আন্টা নামে অভিহিত করত। সেখান থেকেই এসেছে "আন্টাঘর" কথাটি। ক্লাব ঘরের সাথেই ছিল একটি মাঠ বা ময়দান যা আন্টাঘর ময়দান নামে পরিচিত ছিল। [[১৮৫৮]] সালে [[রানী ভিক্টোরিয়া]] [[ভারত|ভারতবর্ষের]] শাসনভার গ্রহণ করার পর এই ময়দানেই এ সংক্রান্ত একটি ঘোষনা পাঠ করে শোনান [[ঢাকা]] বিভাগের কমিশনার। সেই থেকে এই স্থানের নামকরণ হয় "ভিক্টোরিয়া পার্ক"। [[১৯৫৭]] সালের আগে পর্যন্ত পার্কটি '''ভিক্টোরিয়া পার্ক''' নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর এক প্রহসনমূলক বিচারে ইংরেজ শাসকেরা ফাঁসি দেয় অসংখ্য বিপ্লবী সিপাহিকে। তারপর জনগণকে ভয় দেখাতে সিপাহিদের লাশ এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এই ময়দানের বিভিন্ন গাছের ডালে।<ref>http://www.prothom-alo.com/detail/news/5408</ref> ১৯৫৭ সালে (মতান্তরে ১৯৬১) সিপাহি বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।<ref>http://www.prothom-alo.com/detail/news/5408</ref>। সিপাহী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি ঘটিয়ে মুঘল সম্রাট [[দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ]] এর শাসন পুনরায় আনার জন্য। তাই তাঁর নামানুসারে এর নতুন নামকরণ করা হয় "বাহাদুর শাহ পার্ক"।<ref name=dhakaDec08></ref>