সৈয়দ শাহনুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mdyusufmiah (আলোচনা | অবদান)
Mdyusufmiah (আলোচনা | অবদান)
৫ নং লাইন:
 
==পারিবারিক জীবন==
সৈয়দ শাহনূর দুটি বিয়ে করেন বলে ঐতিহাসিক ও গবেষকরা লিখেন। তিনি প্রথম বিয়ে করেন রাজনগর উপজেলার কদমহাটা গ্রামের মুহাম্মদ দরছ মিয়া চৌধুরীর কন্যা হামিদা খাতুনকে। পরে তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে বসবাস করেন এবং সেখানে বিয়ে করেন সামিনা খাতুনকে।বানুকে। সৈয়দপুরে কয়েক বছর বসবাসের পর শাহনূর আবার কদমহাটায় স্ত্রীসহ চলে আসেন এবং কদম হাটার নিকটে বিনেছিরিতে বসবাস করেন। <ref>[http://m.somewhereinblog.net/blog/Positive_Sylhet/29018965]</ref><ref name="সিলেট বিভাগ" />বিনেছিরি উল্লেখ্য সৈয়দ শাহনূরশাহ তিনটিনুরের বিয়েরচিত করেনএকটি গানে পাওয়া যায়ঃ<center>"কদম হাটা বিনিছিরি -- শাহনুরে বানাইল বাড়ী<br /> শাহনুর থাকইন ছাড়ার পাড়াল মাঝে"</center>উল্লেখিত বিনিছিরি মৌভীবাজার জেলার কদমহাটা গ্রামে নিকট অবস্থিত এবং ছাড়াল পাড়া মুলত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের ছোট একটি পাড়া বলে ঐতিহাসিকঐতিহাসি মুমিনুলআসদ্দর হকআলী সহ গবেষকরাঅনেকের ধারনা। সৈয়দ শাহনুরের মাজার হবীগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলাধীন জালালসাপ গ্রামে অবস্থিত। সৈয়দ শাহনুরের দুই ছেলে মঞ্জুর আলী ও তবারক আলী থেকে তাঁর বংশবৃদ্ধি হয়ে জালাসাপ, বিনিছিরি ও সৈয়দপুরে বসবাস করছেন । লিখেন।<ref>সিলেটের name="সিলেটমরমী বিভাগ"মানস সৈয়দ মোস্তফা কামাল, প্রকাশনায়- মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষনা পরিষদ, প্রকাশ কাল ২০০৯</ref>
==পীরের সিল সিলা==
সৈয়দ শাহনুরের পীর (মুর্শীদ) সৈয়দ অজি উল্লাহ, তাঁর পীর কেরামত আলী জৈপুরী, তাঁর পীর সাইয়্যেদ আহমদ বেরেলী, তাঁর পীর মাওলানা শায়েখ আব্দুল আযিয, তাঁর পীর ভারত বিখ্যাত সুফী মাওলানা অলীউল্লাহ দেহলভী।
 
==সৈয়দ পুরের ছাড়াল পাড়ার অলৌকিক ঘটনা==
[[জগন্নাথপুর উপজেলা]]র খ্যাতনামা গ্রাম সৈয়দুপুর। এ গ্রামটিতে সৈয়দ শাহনুর বসবাস করেছেন অনেক দিন। এছাড়া এখানে তিনি বিয়ে করেছেন সামিনা বানুকে। এ গ্রামে ছিল তাঁর মুর্শীদ পীর সুফী শাহ সৈয়দ অজি উল্লাহ'র বাসস্থান। সর্বদিক বিশ্লেষনে পাওয়া যায়, সৈয়দপুর গ্রামের সাথে সৈয়দ শাহনুরের সম্পর্ক ছিল গভির। এতদ্ব সত্যে সৈয়দ পুরের ছাড়াল পাড়া সাথে সৈয়দ শাহনুরের আধ্যাত্মিক ভাবে একটি সম্পর্কের উল্লেখ এ অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত । আজ থেকে প্রায় তিন শত বত্সর পূর্বে সৈয়দ শাহনুরকে নিয়ে এই গ্রামে ঘটিত এক অলৌকিক কাহিনী যা আজও সিলেট বিভাগে বহুল প্রচার হচ্ছে। সে কাহিনী উল্লেখিত ছাড়াল পাড়ার হিন্দু দুপার বাড়ী নিয়ে । সৈয়দ পুরের থাকা কালে এক শুক্রবার দিবসে গ্রামবাসী মুসল্লীদের ছাপে পরে সৈয়দ শাহনুরকে নামাজ আদায়ে মসজিদে যেতে হয়। ইসলামিক রেওয়াজ মতে ইমামের পিছনে মুসল্লীরা যখন এক কাতারে (সারিতে) জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ শুরু করেন। সৈয়দ শাহনুরও অন্য মুসল্লীদের মতই সারিতে জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করছেন ঠিক কিছুক্ষন পরেই সৈয়দ শাহনুর উত্তর দহ্মিণ পুর্ব প্রশ্চিম চার দিকে চার সজিদাহ দিয়ে ইমাম সহ অন্য সবার নামাজ শেষ করার পুর্বেই তাঁর নামাজ শেষ করে তিনি মসজিদ থেকে বাহির হলেন । যা ছিল ইসলামের আঈন পরিপন্থি একটি অপরাদ জনিত কাজ। নামজ শেষে মসদিরে মুসল্লীরা গ্রামের মাতেব্বরদের একত্রিত করে সৈয়দ শাহনুরের ইসলাম পরিপন্থি এ ধরণের কাজ করার জন্য তাঁকে দণ্ডিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। গ্রাম মাতেব্বরা সৈয়দ শাহনুরকে ডেকে এনে এ ধরণের কর্মে জন্য তাঁর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে, সৈয়দ শাহনুর বলেন, মসজিদের ইমাম শহরে গিয়ে ফেরত আসার সময় নিজ ছাতা হারান। যা নিয়ে তিনি নামজের মধ্যে সজিদাহ আদায় কালে দুরচিন্তায় ভুগছেন। যে নামাজ আল্লাহ'র ধ্যায়ান ব্যতিত সাংসারিক বিষয়ের চিন্তা নিয়ে আদায় করা হয়, সে নামাজ আমার কোন কাজের ? মাতব্বরা ইমামকে ডেকে বিষয়টি জেনে বুঝতে পারলেন সৈয়দ শাহনুর আধ্যাত্মিক ভাবে প্রবল । তাঁর কাছে গোপন বিষয়ও প্রকাশিত । এরপরেও মাতব্বরগণের বাড়াবাড়ির আর শেষ ছিল না। অবশেষে শুকনা মাঠ দিয়ে নৌকা চালিয়ে সৈয়দ শাহনুরকে সৈয়দপুর ত্যাগ করে আসতে হয় । সৈয়দ শাহনুরের উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন কবি বাউলদের ছন্দে আজও সিলেট বিভাগের জেলায় জেলায় ধ্বনিত হচ্ছে এ ভাবে; <center>"ইশারাতে কাঠের তরী শুকনায় চলে মাঠে <br /> বক্ত যারা, পার হতে চায় সে তরীতে উঠে "<ref>সিলেটের মরমী মানস সৈয়দ মোস্তফা কামাল, প্রকাশনায়- মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষনা পরিষদ, প্রকাশ কাল ২০০৯</ref></center>
 
==তথ্য সুত্র==