আবদুল জব্বার (ভাষা শহীদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
Suvray (আলোচনা | অবদান)
গোছানো + ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের স্ত্রীর ইন্তেকাল
১ নং লাইন:
{{পুনর্নিদেশনা|জব্বার}}
'''আবদুল জব্বার''' (জন্মঃ ২৬ আশ্বিন ১৩২৬ বাংলা, [[১৯১৯]] খ্রিস্টাব্দ, পাঁচাইর গ্রাম, গফরগাঁও, [[ময়মনসিংহ জেলা]]; মৃত্যুঃ [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১শে ফেব্রুয়ারি]],[[১৯৫২]], [[ঢাকা]]) [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম শহীদ। তাঁর শহীদস্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনাচেতনায় উজ্জ্বীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার বলেই [[১৯৭১]] সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
 
== প্রাথমিক জীবন ও পরিবার ==
আবদুলস্থানীয় জব্বারেরধোপাঘাট পিতারকৃষিবাজার নাম আবদুল কাদের। স্থানীয়প্রাথমিক পাঠশালায়বিদ্যালয়ে কিছুকাল অধ্যয়নের পরে দারিদ্রেরদারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া ত্যাগ করে পিতাকে কৃষিকাজে সাহায্য করেন।করেন আবদুল জব্বার। পনের বছরে নিজ খেয়ালে সবার অজান্তে গৃহত্যাগ করেন। [[নারায়ণগঞ্জ|নারায়ণগঞ্জে]] এসে সেখানে জাহাজ ঘাটে এক ইংরেজ সাহেবের সান্নিধ্যে আসেন। সাহেব তাঁকে একটি চাকরি দিয়ে [[বার্মা|বার্মায়]] (বর্তমানঃ মায়ানমার) পাঠান। সেখানে দশ-বারো বছর অবস্থান করেন। এরপর দেশে ফিরে আসেন এবং আমেনা খাতুন নামে এক যুবতীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আমেনা-জব্বার দম্পতি এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
আবদুল জব্বারের পিতার নাম হাসান আলী এবং মায়ের নাম সাফাতুন নেছা। তাঁর অন্য ভাইদের নাম হচ্ছে - আবদুল কাদের ও এ,এইচ,এম আসাদ (নয়ন)। বার্মা থেকে দেশে ফিরে এসে আমেনা খাতুন নামে এক যুবতীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আমেনা-জব্বার দম্পতির নূরুল ইসলাম বাদল নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীকালে জব্বারের মৃত্যুর পর আমেনা খাতুনকে বিয়ে করেন তার সহোদর আবদুল কাদের। আমেনা-কাদের দম্পতির রফিকুল্লাহ্, আতিকুল্লাহ্ ও রাশেদা খাতুন নামে তিন সন্তান রয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে হৃদরোগজনিত কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যান আমেনা খাতুন।<ref>[http://www.bdreport24.com/2011/09/06/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a7%80%e0%a6%a6-%e0%a6%86%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87/ বিডিরিপোর্ট২৪ ডটকমের প্রতিবেদনঃ ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের স্ত্রীর ইন্তেকাল]</ref>
 
== বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি ==
তারআবদুল জব্বারের পুত্রেরপুত্র জন্ম হওয়ার কিছুকাল পরে তার শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শাশুড়িকে নিয়ে ১৯৫২ সালের [[ফেব্রুয়ারি ২০|২০শে ফেব্রুয়ারী]] ঢাকায় আসেন। হাসপাতালে রুগী ভর্তি করে আবদুল জব্বার মেডিকেলেরঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদের আবাসস্থল (ছাত্র ব্যারাক) গফরগাঁও নিবাসী হুরমত আলীর রুমে (২০/৮) উঠেন। [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১ ফেব্রুয়ারি]] আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে, কি হয়েছে দেখবার জন্য তিনি রুম থেকে বের হয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি শুরু করে এবং জব্বার আহত হন। ছাত্ররা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে যারা হাসপাতালে নিয়ে যান, তাদের মধ্যে ছিলেন ২০/৯ নম্বর কক্ষের সিরাজুল হক। <ref>একুশের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস - আহমদ রফিক; পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==