বিভিন্ন ধর্মে সৃষ্টিকর্তার নাম
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
সৃষ্টিকর্তার বিভিন্ন নাম রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি পরম সত্তার বিভিন্ন গুণাবলী বহন করে। ইংরেজী শব্দ God (এবং অন্যান্য ভাষায় এর সমতুল্য) বিভিন্ন ধর্মের বিশেষ দেবতা বা বিশেষভাবে পরম সত্তাকে উল্লেখ করার জন্য বিশেষ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেমনটি ইংরেজিতে মূলধন এবং অপ্রচলিত পদ God ও god দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।[১] বাইবেলের হিব্রু এলোহিম প্রাচীন জ্ঞানের সমতুল্য, বাইবেলে ঈশ্বরের সবচেয়ে সাধারণ নামগুলির মধ্যে একটি,[২] প্রোটো-সেমিটিক এল, বাইবেলীয় আরামাইক এলাহ ও আরবি ইলাহ।[২] এই ভাষাগুলির মধ্যে অনেকের জন্য ঈশ্বরের ব্যক্তিগত বা সঠিক নাম হয় এই ধরনের গুণাবলী থেকে আলাদা করা যেতে পারে, অথবা সমজাতীয়। উদাহরণস্বরূপ, ইহুদি ধর্মে টেট্রাগ্রামটন কখনও কখনও প্রাচীন হিব্রু এহেহ (আমি হব) এর সাথে সম্পর্কিত।[২] হিব্রু বাইবেলে (যাত্রাপুস্তক ৩:১৪), য়হ্বহ (যহওয়েহ),[২] ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম, সরাসরি মোশির (মুসা) কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন তত্ত্ব এবং "এক ঈশ্বর" নামের ব্যাখ্যার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, যা একেশ্বরবাদী বা চূড়ান্ত পরম সত্তাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা থেকে অন্যান্য সমস্ত ঐশ্বরিক গুণাবলী পাওয়া যায়, এটি পূর্বদেশের মধ্যে বৈষম্যমূলক আলোচনার বিষয় ছিল এবং দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পশ্চিমা পণ্ডিতগণ।[৩] খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বে শব্দটিকে ব্যক্তিগত এবং ঈশ্বরের সঠিক নাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৪] অন্যদিকে, ভিন্ন ঐতিহ্যে ঈশ্বরের নাম কখনও কখনও প্রতীক দ্বারা উল্লেখ করা হয়।[৫] বিভিন্ন ধর্ম দ্বারা ব্যবহৃত ঐশ্বরিক নাম সমান কিনা প্রশ্নটি উত্থাপিত এবং বিশ্লেষণ করা হয়েছে।[৬]
বিভিন্ন ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে পবিত্র নাম বিনিময় সাধারণত সীমিত। ধর্মীয় অনুশীলনের অন্যান্য উপাদানগুলি ভাগ করা যেতে পারে, বিশেষ করে যখন বিভিন্ন ধর্মের সম্প্রদায়গুলি ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করছে (উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ওঁ (ওম) ও কৃষ্ণের ব্যবহার) কিন্তু নামগুলির বেশিরভাগই একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অধীনে থাকে, অথবা অনুশীলন অনুসারে কারো ধর্মীয় বিশ্বাসকে সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন ঈশ্বরের নাম পাঠের ক্ষেত্রে (যেমন জপ)।[৭] গুরু গোবিন্দ সিংহ এর গুরু গ্রন্থ সাহিব, যার মধ্যে ঈশ্বরের ৯৫০ টি নাম রয়েছে।[৮] ঐশ্বরিক নাম, সিউডো-ডিওনিসিয়াসের ক্লাসিক গ্রন্থ, ঈশ্বরের নামের প্রকৃতি ও তাৎপর্য সম্পর্কে হেলেনিক, খ্রিস্টান, ইহুদি ও ইসলামী ধর্মতত্ত্বের মতো পশ্চিমা ঐতিহ্যগুলিতে প্রচলিত বোঝার সুযোগকে সংজ্ঞায়িত করে।[৯] আরও ঐতিহাসিক তালিকা যেমন প্রভুর ৭২ টি নাম ভূমধ্যসাগরীয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাবালাহ, খ্রিস্টধর্ম ও হিব্রু বৃত্তির মধ্যে ঈশ্বরের নামের ইতিহাস এবং ব্যাখ্যার মধ্যে সমান্তরালতা দেখায়।[১০]
অনেক সংস্কৃতিতে নাম প্রেরণের মনোভাব গোপনীয়তা দ্বারা বেষ্টিত ছিল। ইহুদি ধর্মে, ঈশ্বরের নামের উচ্চারণ সর্বদা অত্যন্ত যত্ন সহকারে পাহারা দেওয়া হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, প্রাচীনকালে, ঋষিরা প্রতি সাত বছরে শুধুমাত্র একবার এটা উচ্চারণ করতেন
;[১১] এই ব্যবস্থাকে সাম্প্রতিক আন্দোলনের দ্বারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
পবিত্র নামের প্রকৃতি ব্যক্তিগত বা গুণগত হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। অনেক সংস্কৃতিতে প্রায়ই ঈশ্বরের ব্যক্তিগত ও গুণগত নামের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন, দুটি বিভাগ অগত্যা একে অপরের মধ্যে ছায়া ফেলে।[১২]
ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ
সম্পাদনাইসলাম ধর্ম
সম্পাদনাইসলাম এ সৃষ্টিকর্তাকে সাধারণত "আল্লাহ" বা "আল্লাহ তায়ালা" নামে সম্মোধন করা হয়, যা একটি আরবি শব্দ। মুসলমানরা মনে করে এটা সৃৃষ্টিকর্তার একক সত্বাগত নাম। এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আল্লাহর আরো ৮১ টি ও পবিত্র হাদিসে বিভিন্ন আরো ১৮ টি নামসহ মোট ৯৯ টি উল্লেখ পাওয়া যায়। এগুলোকে আরবিতে "আসমাউল হুসনা" বা "সুন্দরতম নাম" বলে। এগুলো মূলত সৃষ্টিকর্তার গুণবাচক নাম। যার কয়েকটি হলো- "আর-রহমান" (দয়ালু),"আর-রাজ্জাক" (খাদ্য বণ্টনকারী), "আল-খালিকুন" (স্রষ্টা), "আল-গাফফারুন" (ক্ষমাশীল), "আস-সামাদুন" (অমুখাপেক্ষী), "আল-হাইয়ুন" (চিরঞ্জীব) ইত্যাদি। এদের সবই আরবি ভাষার।
ইসলামে সৃষ্টিকর্তা এক ও অদ্বিতীয় সত্ত্বা। তাই তাকে সাধারণত "ঈশ্বর" বা "God" বলা হয় না; কারণ ঈশ্বরের স্ত্রী লিঙ্গ "ঈশ্বরী" বা "Goddess" রয়েছে। কিন্তু আল্লাহর কোনো স্ত্রী বা সন্তান নেই। [১৩]
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানরা তাদের নিজেদের ভাষায় সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে। আরবের মুসলমানরা সাধারণত সৃষ্টিকর্তাকে "আল্লাহ" নামে ডাকে, যা আরবি শব্দ। আবার ইরান, ভারত ও পাকিস্তানের মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তাকে "খোদা" বলেও ডাকে, যা ফারসি শব্দ। বাংলা, ইংরেজি, মালয়, ইন্দোনেশীয় ইত্যাদি অনেক ভাষায় "আল্লাহ" শব্দটি একই শব্দ বা "loanword" হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
সুফিবাদ
সুফিবাদি ইসলামে অনেক ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তাকে " হুউয়া" (Huwwa) নামে ডাকা হয়। আরবি ভাষাতে যার অর্থ তার বা শুধু তার। হুউয়া শব্দটি এসেছে "হু" (Hu) শব্দ থেকে, যা বাক্যের মাঝামাঝি সময়ে " আল্লাহু" (Allahu) হিসাবে পড়া হয়।[১৪] "হু " শব্দটা কুরআনে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। তবে তারা "আল্লাহ" নামটিকে অস্বীকার করে নি।
খ্রিস্টান ধর্ম
সম্পাদনাইহুদি ধর্ম
সম্পাদনাবাহাই বিশ্বাস
সম্পাদনাভারতীয় ধর্মসমূহ
সম্পাদনাহিন্দু ধর্ম
সম্পাদনাহিন্দু ধর্মের মূল ভাষা সংস্কৃত। বেশির ভাগ হিন্দু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে 'ভগবান'। এছাড়া অন্যান্য নাম-
- কৃষ্ণ/মহাবিষ্ণু: কৃষ্ণকে মনে করা হয় স্বস্থানে সম্পূর্ণ ও সর্বোচ্চ শক্তিধর।
- ভগবান: হিন্দু সমাজে প্রচলিত ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ঈশ্বরবোধক শব্দ।
- ব্রহ্ম: পৃথিবীর মধ্যে ও তার বাইরে অপরিবর্তিত বাস্তবতা, যাকে ঠিক সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
- ঈশ্বর: প্রভু শব্দের একটি তাত্ত্বিক রূপ হলো ঈশ্বর। শক্তিশালী ও মহাক্ষমতার অধিকারী।
- ব্রহ্মা: সৃষ্টির হিন্দু দেবতা এবং ত্রিমূর্তির অন্যতম।
- ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর: যদি বেদের আলোকে বিচার করি, তাহলে এই কথাটি ভুল হবে। বেদের আলোকে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর তিনে মিলে একঈশ্বর হবে না বরং হবে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এক ঈশ্বরের তিনটি গুণবাচক নাম। বিশেষ করে বর্তমানে প্রচলিত পুরাণের অনুসারি, পৌরাণিক বন্ধুরা মনে করে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর তিনটি আলাদা আলাদা সত্তা, কিন্তু বেদের আলোকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর আলাদা আলাদা কোন সত্তা নয়; বরং এক ঈশ্বরের তিনটি গুণবাচক নাম।
- মহা বিষ্ণু/আদি নারায়ণ: বৈষ্ণব ধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর। বৈষ্ণবরা হলো প্যারা-ব্রাহ্মণ এবং হিন্দু ধর্মের তিনটি প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি।
- শিব: শৈব ধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর, হিন্দু ধর্মের তিনটি প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি
- শক্তি: শক্তি গতিশীল শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে যা হিন্দু ধর্মে পুরো মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্ম
সম্পাদনাজৈন ধর্ম
সম্পাদনাজৈন ধর্ম এর বিশ্বাস অনুসারে, ঈশ্বরত্ব প্রত্যেক আত্মার (বা প্রত্যেক জীবিত সত্ত্বার) একটি অন্তর্নিহিত গুণ। এই গুণের বৈশিষ্ট্য হল অনন্ত আনন্দ, অনন্ত শক্তি, অনন্ত শুদ্ধ জ্ঞান (‘কেবল জ্ঞান’) অনন্ত অন্তর্দৃষ্টি এবং গণনাযোগ্য অন্যান্য অনন্ত গুণাবলির যথাযথ অভিপ্রকাশ। এই বিষয়টি দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়।
প্রথমত, আত্মাকে দেখা যায় আত্মারই দৃষ্টিকোণ থেকে। সময়সার, নিয়মসার ও প্রবচনসূত্র নামক গূঢ় ও গুপ্ত গ্রন্থগুলিতে এই দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মার গুণাবলি, যথাযথ গঠনভঙ্গিমা, উপাদান ও প্রকৃতি এবং আত্মা ও আত্মার সূত্র গুণাবলি থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন অবস্থার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আত্মাকে আত্মার থেকে ভিন্ন বস্তু এবং সেগুলির সঙ্গে আত্মার সম্পর্কের দৃষ্টিকোন থেকে দেখা। এই মত অনুসারে, আত্মার গুণাবলি কর্মের কারণে প্রচ্ছন্ন থাকে। জৈনধর্মে কর্ম হল প্রকৃতির মৌলিক উপাদান। যিনি সঠিক বিশ্বাস, সঠিক জ্ঞান ও সঠিক আচরণের মাধ্যমে কর্মের বন্ধন ছিন্ন করতে পারেন, তাকেই একজন ‘ঈশ্বর’ বলা চলে। আত্মার এই যথার্থতাকে বলা হয় ‘কেবলী’। একজন ঈশ্বর কেবলী ভাব অর্জন করে মুক্ত আত্মায় পরিণত হন। দুঃখ, জন্ম ও মৃত্যুর ধারাবাহিক চক্র, জগত, কর্ম এবং দেহের থেকে মুক্তি লাভ করেন। এটিকে বলা হয় ‘নির্বাণ’ বা মোক্ষ।
জৈনধর্ম জ্ঞান লাভের জন্য কোনও সর্বোচ্চ সত্ত্বার উপর নির্ভরশীলতার শিক্ষা দেয় না। তীর্থঙ্করেরা হলেন পথপ্রদর্শক ও শিক্ষক। তারা জ্ঞানলাভের মার্গদর্শন করান। তবে জ্ঞানলাভের জন্য ব্যক্তিকে নিজেকে সংগ্রাম করতে হয়। নৈতিক পুরস্কার ও যন্ত্রণাগুলি কোনও দিব্য সত্ত্বার কাজ নয়। এগুলি বিশ্বের একটি অন্তর্নিহিত নৈতিক শৃঙ্খলার ফল। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রস্বরূপ। তাই ব্যক্তি কর্মের মাধ্যমে নিজ কর্মের ফল ভোগ করেন।
জৈনরা বিশ্বাস করেন, জ্ঞান ও সকল কর্মের বন্ধন থেকে সর্বোচ্চ মুক্তি লাভ করার জন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই নৈতিক আদর্শগুলি পালন করতে হবে। শুধুমাত্র চিন্তার ক্ষেত্রে নয়, বাক্য ও কার্যের ক্ষেত্রেও এই আদর্শগুলি পালন করা আবশ্যিক। জীবনব্যাপী কাজের মাধ্যমে এই অনুশীলনকে বলা হয় ‘মহাব্রত’ পালন।
ঈশ্বরদের দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা: সাকার ঈশ্বর, যাঁরা ‘অরিহন্ত’ নামে পরিচিত এবং নিরাকার ঈশ্বর, যাঁরা ‘সিদ্ধ’ নামে পরিচিত। জৈনধর্মে ‘দেবী’ ও ‘দেব’দের স্বর্গবাসী আত্মা মনে করা হয়। তাঁর পূর্ব জন্মে সৎ কর্মের আচরণের ফলে স্বর্গবাসী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এই আত্মাদের স্বর্গবাসের কাল নির্দিষ্ট। এই সময়কাল উত্তীর্ণ হলে তাঁদেরও মোক্ষ লাভ করার জন্য আবার মানুষ রূপে পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয়।
এই জন্য জৈনধর্মে ঈশ্বরের সংখ্যা অনন্ত। সকলেই গুণাবলির অভিপ্রকাশের ক্ষেত্রে সমান, মুক্ত ও অনন্ত। আত্মা ও কর্ম জৈনধর্মে পৃথক। আত্মা সজীব এবং কর্ম নির্জীব। যাঁরা জ্ঞান লাভের অবস্থায় থাকেন এবং পরে জ্ঞান লাভ করেন, জৈনধর্মে তাঁদেরই ‘ঈশ্বর’ বলা হয়। তাই যে সত্ত্বারা (‘অরিহন্ত’) সর্বোচ্চ জ্ঞান (‘কেবল জ্ঞান’) অর্জন করেছেন, তাদের ‘ঈশ্বর’ বলে পূজা করা হয়। ঈশ্বরত্বের গুণ সকলের ক্ষেত্রে এক ও সমান। জৈনধর্মকে কখনও কখনও একটি ঈশ্বর-নিরপেক্ষ ধর্ম মনে করা হয়।
শিখ ধর্ম
সম্পাদনাশিখ ধর্মে ঈশ্বরের একাধিক নাম রয়েছে। শিখ ধর্মে ঈশ্বরের জনপ্রিয় কয়েকটি নাম:
- Akal Purakh: যার অর্থ হলো অনাদি অনন্ত চিরন্তন সত্তা।
- Ik Onkar: এক স্রষ্টা, শিখ মুল মন্ত্রের শুরুতে পাওয়া গেছে।
- নিরাকার: আকার-আকৃতি বিহীন
- সত্যনাম: আভিধানিক অর্থ হলো সত্যি নাম, কেউ কেউ মনে করেন যে এটিই ঈশ্বরের নিজস্ব নাম, অন্যরা বিশ্বাস করেন যে এটি "গুরমন্ত্র", বাহেগুরু বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত একটি বিশেষণ
- বাহেগুরু: আলোক এনে আঁধার দূরকারী বিস্ময়কর শিক্ষক, এই নামটি শিখদের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়, এবং এটি গুরুগান, গুরু শব্দ নামে পরিচিত। বাহেগুরু শিখদের মধ্যে ঈশ্বরের সাথে সাক্ষাত করার একমাত্র উপায়।
- দাতা: যিনি দান করেন
- কর্তা: যিনি সমস্ত কাজ করেন
- দয়াল: দয়াশীল
- Kirpāl:হিতৈষী, কল্যাণময়
সাধারণত শিখ গ্রন্থে, হিন্দু ও মুসলিম উভয় নামই ব্যবহার করে ঐশ্বরিক নামের বিভিন্ন দিক প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, রাম (pervading), হরি (উজ্জ্বল), পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ),পালনকর্তা, এবং জগদীশ (বিশ্ব প্রভু) হিন্দু পরিভাষা। আবার আল্লাহ (ঈশ্বরের আরবি), খুদা (ঈশ্বরের ফারসি), রহিম (করুণাময়), করিম (উদার) এবং সাহেব (প্রভু) এর মতো নামগুলি মুসলিম পরিভাষা।[১৫]
God, according to Guru Nanak, is beyond full comprehension by humans; has endless number of virtues; takes on innumerable forms, but is formless; and can be called by an infinite number of names thus "Your Names are so many, and Your Forms are endless. No one can tell how many Glorious Virtues You have."[১৬] ( গুরু নানকের মতে, ঈশ্বর মানুষের দ্বারা সম্পূর্ণ বোঝার বাইরে; অসীম গুণাবলী আছে; অসংখ্য রূপ ধারণ করে, কিন্তু নিরাকার; এবং অসীম সংখ্যক নামে ডাকা যেতে পারে এইভাবে " তার নাম অনেক, এবং রূপ অন্তহীন। কেউ বলতে পারে না তার কত মহিমান্বিত গুণাবলী আছে।")
শেখ ফরিদের মতে গুরুগ্রন্থে আল্লাহ শব্দটি ১২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। গুরু নানক দেব, গুরু অর্জন দেব এবং ভগত কবীর ১৮ বার ব্যবহার করেছেন।
ইরানীয় ধর্মসমূহ
সম্পাদনাজরথুস্ট্রবাদ
সম্পাদনামানি ধর্ম
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Velde, Rudi van de (২০০৬)। Aquinas on God: the 'divine science' of the Summa theologiae। Aldershot, Hants, England: Ashgate। পৃষ্ঠা 45–46। আইএসবিএন 0-7546-0755-0।
- ↑ ক খ গ ঘ Eisenstein, Judah D.; McLaughlin, John F. (১৯০৬)। "Names of God"। Jewish Encyclopedia। Kopelman Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Jordan, Mark D. (1983), The Names of God and the Being of Names, in The Existence and Nature of God, edited by Alfred J. Freddoso, pp. 161–190. University of Notre Dame Press. আইএসবিএন ০-২৬৮-০০৯১১-২
- ↑ (PDF) Sacraments of the Incarnate Word: The Christological Form of the Summa theologiae ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে C Wells, Etd.nd.edu
- ↑ Aiyadurai Jesudasen Appasamy, G. S. S. Sreenivasa Rao, Inter-faith dialogue and world community. Christian Literature Society for India (1991) "All these names of God are, of course, symbols. ... All names of the one God or the Absolute are symbols." p. 9
- ↑ Peter C. Phan Being religious interreligiously: Asian perspectives on interfaith dialogue. 2004 p.102
- ↑ Jerald D. Gort On sharing religious experience: possibilities of interfaith mutuality p.146 Encounter of Religions Research Group Rodopi, 1992 আইএসবিএন ০-৮০২৮-০৫০৫-১
- ↑ Singh, Prithi Pal (২০০৬)। The History of Sikh Gurus। Lotus Press। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 9788183820752।
- ↑ Paul Rorem, Pseudo-Dionysius: a commentary on the texts and an introduction to their influence. Oxford University Press, 1993, p.163 আইএসবিএন ০-১৯-৫০৭৬৬৪-৮
- ↑ Valentina Izmirlieva, All the names of the Lord: lists, mysticism, and magic, University of Chicago Press, 2008 আইএসবিএন ০-২২৬-৩৮৮৭০-০
- ↑ James Orr The International Standard Bible encyclopaedia Edition: —Item notes: v. 1—1959 1915 p. 1267
- ↑ John S. Mbiti. Concepts of God in Africa. p.217, 1970
- ↑ [কুরআন ১১২:১–৪]
- ↑ টেমপ্লেট:"La ilaha illa hu"
- ↑ Pashaura Singh (2014), in The Oxford Handbook of Sikh Studies (Editors: Pashaura Singh, Louis E. Fenech), Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৬৯৯৩০৮, page 228
- ↑ Guru Granth Sahib p. 358