বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী

বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী (ইংরেজি: Binodchandra Chakrabarty) (১৯০৯ — ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। ময়মনসিংহের বিপ্লবী সংস্থা সাধনা সমিতির বিশিষ্ট কর্মী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর ব্রিটিশ রাজের কারাদণ্ড ভোগ করেন এবং জেলে অনশন করেন ২৬ দিন।[১]

বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী
বিনোদচন্দ্র-চক্রবর্তী.jpg
বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী
জন্ম
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

জন্মসম্পাদনা

বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম ময়মনসিংহ জেলায়[২]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ডসম্পাদনা

বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী অল্প বয়সেই বিপ্লবী যুগান্তর দলে যোগ দেন। পরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগে দেশের কাজে অনেকবার কারাবরণ করেন। অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য এবং বহুদিন নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন। দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে তাকে কয়েক বছর বন্দিজীবন কাটাতে হয়েছিল। মুক্তিলাভের পর পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হন। কলকাতা সংগ্রামী বিপ্লবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।[২]

সাধনা সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসম্পাদনা

বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী ছাড়াও সাধনা সমিতির অন্যান্য সদস্য ছিলেন হেমেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরী, সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ, শ্যামানন্দ সেন, সিধু সেন, পৃথ্বীশচন্দ্র বসু, কোহিনুর ঘোষ, মহেন্দ্রচন্দ্র দে, আনন্দকিশোর মজুমদার, ভক্তিভূষণ সেন, ক্ষিতীশচন্দ্র বসু, মনোরঞ্জন ধর, সুধেন্দ্র মজুমদার, মতিলাল পুরকায়স্থ, সঞ্জীবচন্দ্র রায়, মোহিনীশঙ্কর রায়, দ্বিজেন্দ্র চৌধুরী ননী, ও নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী। এঁদের সকলেই বহু বৎসর কারাগারে ও অন্তরীণে আবদ্ধ ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২২১-২২২।
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৭৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬