বিধাননগর রোড রেলওয়ে স্টেশন
'বিধাননগর রোড রেলওয়ে স্টেশন'টি হল শিয়ালদহ-রানাঘাট লাইন, শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইন-এর একটি ব্যস্ত রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটি পুরোনো 'উল্টোডাঙা রেলওয়ে স্টেশন' নামেও পরিচিত। স্টেশনটি শিয়ালদহ ও দমদম রেলওয়ে স্টেশন-এর মাঝে অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। এই রেলওয়ে স্টেশনটি বিধাননগর ও উল্টোডাঙা এলাকার রেল পরিষেবা প্রদান করে। স্টেশনটি ভারতীয় রেল-এর পূর্ব রেল জোনের শিয়ালদহ বিভাগের অধীনস্থ এবং স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেল-এর একটি স্টেশন।
 বিধাননগর রোড | ||||||||||||||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| কলকাতা শহরতলি রেল স্টেশন | ||||||||||||||||||||
 | ||||||||||||||||||||
| অন্যান্য নাম | উল্টোডাঙা স্টেশন | |||||||||||||||||||
| অবস্থান | বিধাননগর,উত্তর চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ ভারত | |||||||||||||||||||
| স্থানাঙ্ক | ২২°৩৫′২৮″ উত্তর ৮৮°২৩′২৭″ পূর্ব / ২২.৫৯১১° উত্তর ৮৮.৩৯০৭° পূর্ব | |||||||||||||||||||
| উচ্চতা | ৮ মিটার (২৬ ফু) | |||||||||||||||||||
| পরিচালিত | পূর্ব রেল | |||||||||||||||||||
| লাইন | শিয়ালদহ-রানাঘাট লাইন,শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইন | |||||||||||||||||||
| প্ল্যাটফর্ম | ৪ | |||||||||||||||||||
| রেলপথ | ৪ | |||||||||||||||||||
| নির্মাণ | ||||||||||||||||||||
| গঠনের ধরন | আদর্শ | |||||||||||||||||||
| পার্কিং | না | |||||||||||||||||||
| সাইকেলের সুবিধা | না | |||||||||||||||||||
| অন্য তথ্য | ||||||||||||||||||||
| অবস্থা | সক্রিয় | |||||||||||||||||||
| স্টেশন কোড | বিএনএক্সআর (BNXR) | |||||||||||||||||||
| ভাড়ার স্থান | পূর্ব রেল | |||||||||||||||||||
| ইতিহাস | ||||||||||||||||||||
| চালু | ১৮৬২ | |||||||||||||||||||
| বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৩-১৯৬৪ | |||||||||||||||||||
| পরিষেবা | ||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||
| অবস্থান | ||||||||||||||||||||
 | ||||||||||||||||||||
ইতিহাস
সম্পাদনা
১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে এই রেলওয়ে স্টেশনটি নির্মাণ করে 'ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে'।[১] সেই সময় স্টেশনটি কলকাতা-কুষ্ঠিয়া রেলপথের অংশ ছিল।
বৈদ্যুতিকরণ
সম্পাদনা১৯৬৩-১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে এই স্টেশনটির বৈদ্যুতিকরণ করা হয়।
'বিধাননগর রোড' রেলওয়ে স্টেশনের নামকরণ
সম্পাদনাপশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে গঙ্গার লবণাক্ত জল সমেত পলিমাটি পাম্প করে করে নিচু জায়গা ভরাট করে যে শহর গড়ে ওঠে তার নাম হয় 'লবণহ্রদ' বা 'সল্টলক'। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে এই লবণহ্রদেই অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশন। আর সারা ভারত থেকে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ভারতীয় রেলের উল্টোডাঙা স্টেশনের ওপর দিয়েই আসতে থাকেন। ঘটনাচক্রে ওই সময়ই, অর্থাৎ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে 'লবণহ্রদ' শহরের নাম পরিবর্তন করে 'বিধাননগর' রাখা হয় এবং 'উল্টোডাঙা' রেলওয়ে স্টেশনের নাম বদল করে নতুন নাম দেওয়া হয় 'বিধাননগর রোড' রেলওয়ে স্টেশন।
যাত্রী পরিবহন
সম্পাদনাপ্রতিদিন এই স্টেশন দিয়ে গড়ে ৯,৭৫,০০০ জন যাত্রী চলাচল করে। এই স্টেশনে উভয় দিকে দিনে ৩২৫টি ট্রেন চলাচল করে।[২] এই স্টেশনে আপ এবং ডাউন সর্বমোট চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Eastern_Bengal_Railway"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১০-০৯-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=(সাহায্য) - ↑ "Bidhannaga Road"। Railenquiry.in। সংগ্রহের তারিখ ১০-০৯-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=(সাহায্য)