বিজয়নগর উপজেলা
বিজয়নগর উপজেলা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
বিজয়নগর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বিজয়নগর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১′১″ উত্তর ৯১°১৬′৪০″ পূর্ব / ২৪.০১৬৯৪° উত্তর ৯১.২৭৭৭৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২২১.১৭ বর্গকিমি (৮৫.৩৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৫৭,২৪৭ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪২.১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১২ ০৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাবিজয়নগর উপজেলার আয়তন ২২১.১৭ বর্গ কিলোমিটার (৫৪,৬৫৩ একর)।[১] বিজয়নগর উপজেলার উত্তরে সরাইল উপজেলা ও মাধবপুর উপজেলা,দক্ষিণে আখাউড়া উপজেলা, পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা।
নামকরণ
সম্পাদনাজানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে এ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ এতদঞ্চলে স্থল যোগাযোগ সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। উল্লেখ্য যে, সিংগারবিলের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের যোগাযোগের প্রায় ১৫০ বছরের পুরাতন প্রধান সড়কটি এখনও ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। লালমাটি সমৃদ্ধ মুকুন্দপুর, বিষ্ণুপুর ও সিংগারবিল ইউনিয়নে রয়েছে প্রাকৃতিক কাঁঠাল, লিচু ও পেয়ারাসহ ভিন্ন ধর্মী নানা বৃক্ষর অপরূপ সমাহার। মননশীল মানুষকে এর সৌন্দর্য আকর্ষণ করবেই। তা ছাড়া কালাছড়া চা বাগানে নাম না জানা অজানা শহীদদের গণ কবর ও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসংগঠিত হয়েছিল । মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯ নভেম্বর এ উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকাটি মুক্ত হয়েছিল। যা মুকুন্দপুর দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা এ ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। ২০১০ সালে বিজয়দিবস উদযাপনকালে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় বিজয়নগর।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাবিজয়নগর উপজেলায় বর্তমানে ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বিজয়নগর থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বিজয়নগর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৫৭,২৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,২৫,৫৯৫ জন এবং মহিলা ১,৩১,৬৫২ জন। মোট পরিবার ৪৮,৬১৭টি।[১] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,১৬৩ জন।[২]
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনা২০১৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বিজয়নগর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৯৮%।[১] উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- রুমিন ফারহানা, রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী
- সানাউল হক, কবি
- অলি আহাদ , ভাষা সৈনিক এবং রাজনীতিবিদ
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৩] | সংসদ সদস্য[৪][৫][৬][৭][৮] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলা | সংসদ বিলুপ্ত | সংসদ বিলুপ্ত |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য উপাত্ত" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ১৩ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- {{বাংলাপিডিয়া}} টেমপ্লেটে আইডি অনুপস্থিত ও উইকিউপাত্তেও তা উপস্থিত নেই।