বালি-দেওয়ানগঞ্জ

পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার গোঘাট ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

বালি-দেওয়ানগঞ্জ (ক্ষেত্রবিশেষে শুধু বালি নামেও অভিহিত) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত গোঘাট ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম তথা গ্রাম পঞ্চায়েত

বালি-দেওয়ানগঞ্জ
গ্রাম
বালি-দেওয়ানগঞ্জ পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
বালি-দেওয়ানগঞ্জ
বালি-দেওয়ানগঞ্জ
বালি-দেওয়ানগঞ্জ ভারত-এ অবস্থিত
বালি-দেওয়ানগঞ্জ
বালি-দেওয়ানগঞ্জ
পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের মানচিত্রে বালি-দেওয়ানগঞ্জ গ্রামের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৮′৪৪″ উত্তর ৮৭°৪৬′০৬″ পূর্ব / ২২.৮১২২৪° উত্তর ৮৭.৭৬৮৩৬° পূর্ব / 22.81224; 87.76836
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাহুগলি
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৪,০৬৩
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৭১২৬১৬
দূরভাষ/এসটিডি কোড০৩২১১
লোকসভা কেন্দ্রআরামবাগ
বিধানসভা কেন্দ্রগোঘাট
ওয়েবসাইটhooghly.gov.in

ভূগোল সম্পাদনা

বালি-দেওয়ানগঞ্জ গ্রামটির স্থানাঙ্ক ২২°৪৮′৪৪″ উত্তর ৮৭°৪৬′০৬″ পূর্ব / ২২.৮১২২৪° উত্তর ৮৭.৭৬৮৩৬° পূর্ব / 22.81224; 87.76836। গ্রামটি আরামবাগ-ঘাটাল সড়কের ধারে আরামবাগ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

জনপরিসংখ্যান সম্পাদনা

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, বালি-দেওয়ানগঞ্জ গ্রামের মোট জনসংখ্যা ৪,০৬৩। এর মধ্যে ২,০৯৩ জন (৫২ শতাংশ) পুরুষ এবং ১,৯৭০ জন (৪৮ শতাংশ) মহিলা। অনূর্ধ্ব ছয় বছর বয়সীদের মোট সংখ্যা ৩৭৬। বালি-দেওয়ানগঞ্জের মোট শিক্ষিত জনসংখ্যা ২,৯২২ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী জনসংখ্যার ৭৯.২৫ শতাংশ)।[১]

সংস্কৃতি সম্পাদনা

বালি-দেওয়ানগঞ্জ গ্রামটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম মন্দিরক্ষেত্র। এই গ্রামের শুধু রাউতপাড়া এলাকাতেই পাঁচটি মন্দির রয়েছে। তবে এগুলির মধ্যে তিনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ। কথিত আছে, এই গ্রামের মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরটি ছিল একটি ত্রয়োদশরত্ন মন্দির। কিন্তু এখন এই মন্দিরের তেরোটি শিখরই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। অপর দু’টি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের একটি করে শিখর এখনও দেখা যায়। এই গ্রামের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি হল একটি ২০০ বছরের পুরনো দুর্গামন্দির। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। মন্দিরটির নিম্নাংশ জোড়-বাংলা শৈলীতে নির্মিত হলেও তার উপরে নবরত্ন শৈলীর শিখর দেখা যায়, যা এই মন্দিরটির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। গ্রামের অন্যত্র একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত শিবকুটির দেখা যায়। এছাড়া এই গ্রামের রাসমঞ্চের গায়ে পোড়ামাটির মৃৎফলকে কিছু অলংকরণ লক্ষিত হয়।[২]

ডেভিড জে. ম্যাককাশন বালি-দেওয়ানগঞ্জের নিম্নলিখিত মন্দিরগুলির কথা তাঁর বইতে উল্লেখ করেছেন:[৩]

  • দুর্গামন্দির, নবরত্ন-শিখরযুক্ত জোড়-বাংলা মন্দির, পরিমাপ ২১’ ১০’’ বর্গ, সম্মুখভাগে টেরাকোটার অলংকরণ, নির্মাণকাল সম্ভবত ঊনবিংশ শতাব্দী।
  • ঘোষ পরিবারের দামোদর মন্দির, মেদিনীপুর শৈলীর আটচালা মন্দির, পরিমাপ ২২’ x ১৯’ ৬’’, ১৮২২ সালে নির্মিত।
  • রাউতপাড়ার দামোদর মন্দির, বাঁকানো কার্নিসযুক্ত পঞ্চরত্ন মন্দির, টেরাকোটার অল্প অলংকরণ যুক্ত, পরিমাপ ২২’ ৬’’ বর্গ।
  • মঙ্গলচণ্ডী মন্দির, টেরাকোটার অলংকরণ সমৃদ্ধ হলেও ধ্বংসপ্রাপ্ত, কথিত আছে এটি ছিল ত্রয়োদশরত্ন মন্দির।

বালি-দেওয়ানগঞ্জ চিত্রকক্ষ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৮ 
  2. Datta, Rangan। "Next weekend you can be at Bali Dewanganj"। The Telegraph, 4 April 2010। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. McCutchion, David J., Late Mediaeval Temples of Bengal, first published 1972, reprinted 2017, pages 29, 36, 47, 55. The Asiatic Society, Kolkata, আইএসবিএন  ৯৭৮-৯৩-৮১৫৭৪-৬৫-২

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা