বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়

বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়, বা ইংরাজীতে সংক্ষেপে বিজিএইচএস, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি প্রাচীন বিদ্যালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কেবলমাত্র ছাত্রদের বিদ্যালয় এটি। বাংলা ও ইংরাজী দুটি ভাষাতেই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আছে কলকাতার অন্যতম সেরা এই বিদ্যালয়টিতে এবং শিক্ষাদানের মান বেশ উন্নত। শিক্ষাঙ্গনে বেশ বড়ো খেলার মাঠ আছে। বিভিন্ন শিক্ষাক্রম বহির্ভূত বিষয়ে শিক্ষাদানের  ব্যবস্থা করে থাকে বিদ্যালয়টি। বহু স্বনামধন্য  শিক্ষাবিদ, চলচ্চিত্র এবং নাট্যব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সঙ্গীতশিল্পী এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছিলেন। বর্তমানে বারোশোর বেশি ছাত্র আছে বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টি কলকাতার আঞ্চলিক পরিবহন কার্যালয় (আরটিও/বালিগঞ্জ থানা এবং কলকাতা মোটরযান বিভাগের সন্নিহিত এলাকায় অবস্থিত।

বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়, কলকাতা (ভারত)
অবস্থান
মানচিত্র
৩৮/২, নরেশ মিত্র সরণি
কলকাতা – ৭০০ ০২০
ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩১′৪৮″ উত্তর ৮৮°২১′১৪″ পূর্ব / ২২.৫৩০১° উত্তর ৮৮.৩৫৩৯° পূর্ব / 22.5301; 88.3539
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯২৭
কর্তৃপক্ষপশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রধান শিক্ষকরণজিৎ গরাং (ভারপ্রাপ্ত)
ভাষাবাংলা ও ইংরাজি
ডাকনামBallygungian
বর্ষপুস্তকবাগবিতান
অন্তর্ভুক্তিপশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

শ্রেণি

সম্পাদনা

বিদ্যালয়ের প্রাতঃবিভাগে প্রথম শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণির এবং দিবা বিভাগে ষষ্ঠ শ্রেণি হতে একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আছে।

প্রতি বছর কিছু সময়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পার্শ্ববর্তী  ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের    শিক্ষানবিশি  শিক্ষকেরা ক্লাশ নেন।  শিক্ষানবিশি শিক্ষকদের  সুবিধার্থে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ের কপি বই অনুসারে  মডেল স্কুল স্থাপনার উদ্দেশ্যেই ঘটনাক্রমে কর্তৃপক্ষ  টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ঠিক পিছনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। ফলত ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ব্যাচের ছাত্ররা  স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দেয়।

ঘটনাবলি

সম্পাদনা

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন দশম শ্রেণির ছাত্রদের লেখা কবিতা, ছোটগল্প, নিবন্ধ এবং ক্যারেকটার নিয়ে দেওয়াল পত্রিকা 'সপ্তর্ষি' মূল তোরণটির কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।

  • নিবন্ধ, কবিতা এবং ছোট গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয় 'ইহা'
  • বার্ষিক মুদ্রিত পত্রিকা 'বাগবিতান' প্রকাশিত হয় ছাত্র ও শিক্ষকদের লেখা কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প এবং স্কেচ নিয়ে।
  • সরস্বতী পুজোর সময় বার্ষিক তিন দিনের আর্ট মেলা বসে । এসময়ে  শিক্ষার্থীরা কারুশিল্প, অঙ্কন , বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় মডেল ইত্যাদির সর্বজনীন প্রদর্শনের ব্যবস্থা  করে।
  • বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন  খেলাধুলার ইভেন্ট প্রদর্শিত হয়।
  • ১৫ আগস্ট  স্বাধীনতা দিবসে  প্রতি বছর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।হয়
  • প্রতি বছর ৩ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পালিত হয়।
  • সরস্বতী পূজা বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান উৎসব হিসাবে অনুষ্ঠিত হয়।
  • নাটক , গান, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক এবং আবৃত্তি ইত্যাদি অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র

সম্পাদনা
 
সত্যজিৎ রায় এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা