বার্টি ক্লার্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

ড. কার্লোস বার্টাম বার্টি ক্লার্ক, ওবিই (ইংরেজি: Bertie Clarke; জন্ম: ৭ এপ্রিল, ১৯১৮ - মৃত্যু: ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৩) বার্বাডোসের লেকস ফলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বার্টি ক্লার্ক
১৯৪৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বার্টি ক্লার্ক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকার্লোস বার্টাম ক্লার্ক
জন্ম(১৯১৮-০৪-০৭)৭ এপ্রিল ১৯১৮
লেকস ফলি, বার্বাডোস
মৃত্যু১৪ অক্টোবর ১৯৯৩(1993-10-14) (বয়স ৭৫)
পুটনি, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক, গুগলি
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৬)
২৪ জুন ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩৭ - ১৯৩৯বার্বাডোস
১৯৪৯নর্দাম্পটনশায়ার
১৯৫৯ - ১৯৬০এসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৯৭
রানের সংখ্যা ১,২৯২
ব্যাটিং গড় ১.০০ ১২.৩০
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৮৬
বল করেছে ৪৫৬ ১৬১২৩
উইকেট ৩৩৩
বোলিং গড় ৪৩.৫০ ২৬.৩৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ২০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৫৯ ৭/৭৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ৪২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও নর্দাম্পটনশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক গুগলি বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন বার্টি ক্লার্ক

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত বার্টি ক্লার্কের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ইংল্যান্ড সফরকালে তিনি গাইজ হাসপাতালে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেন। লন্ডনের পিমলিকোতে জিপি হন। যুদ্ধকালীন ব্রিটিশ এম্পায়ার একাদশের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলেন। যুদ্ধকালীন সেনাবাহিনীতে অবস্থান করে তিনদিনব্যাপী ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করা বেশ দুরূহ বিষয় ছিল। এ সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য একাদশের পক্ষে খেলে শীর্ষস্থানীয় বোলারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন তিনি। এ পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একদিনের খেলায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৪১ সালে ১১.৪৮ গড়ে ৯৮ উইকেট পেয়েছিলেন।[১] ১৯৪২ সালে আরও অধিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১০.১৭ গড়ে ১২৯ উইকেট পান তিনি।[২]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের পর খেলায় অংশ নিলেও নিয়মিতভাবে খেলতেন না। ১৯৪৬ ও ১৯৪৭ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে ৪৯ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, ফ্রেডি ব্রাউনের আবির্ভাবে স্থানচ্যূত হন। এরপর ১৯৫৯ ও ১৯৬০ এসেক্সের পক্ষে ১৮ খেলায় অংশ নেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৬.৩৭ গড়ে ৩৩৩টি উইকেট পেয়েছিলেন। চমৎকার লেগ স্পিনার ছিলেন। এক সময়ে কুইন দলের পক্ষে অতিথি খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বার্টি ক্লার্ক। ২৪ জুন, ১৯৩৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৯ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরেই অংশগ্রহণকৃত তিন টেস্ট খেলেছিলেন। সফরে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশ ভালো খেলেন। দ্রুতগতিসম্পন্ন লেগ ব্রেকে ৮৭ উইকেট পান। তবে, তিন টেস্টে তিনি মাত্র ছয়টি উইকেট পেয়েছিলেন।

অবসর সম্পাদনা

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিবিসিতে কাজ করেন। ক্যারিবিয়ান সার্ভিসের শুরুরদিকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন সময়েও বিবিসি সানডে খেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রেলগাড়ীর দিকে ছুটে চলতেন। ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত দলটির পক্ষে খেলেন। আনুমানিক তিন হাজার উইকেট লাভ করেছিলেন। এমনকি নিজস্ব শেষ মৌসুমেও প্রথম একাদশ বোলিং কাপ জয় করেছিলেন। লন্ডনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৩ সালে ওবিই পদবীতে ভূষিত হন।

১৪ অক্টোবর, ১৯৯৩ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের পুটনি এলাকায় বার্টি ক্লার্কের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Whitaker, Haddon ed. (1942) Wisden Cricketers' Almanack, Seventy-Eighth Edition, p. 142
  2. Whitaker, Haddon ed. (1943) Wisden Cricketers' Almanack, Seventy-Ninth Edition. p. 156

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা