বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল
বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Bermuda national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বারমুডার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম বারমুডার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বারমুডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৭ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৩] ১৯৬৪ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে, বারমুডা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; আইসল্যান্ডের রেইকিয়াভিকের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে বারমুডা আইসল্যান্ডের কাছে ৪–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
![]() | |||
ডাকনাম | গোম্বি যোদ্ধা | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | বারমুডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | কাইল লাইটবোর্ন | ||
অধিনায়ক | দান্তে লেভেরক | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | দামোন মিং (৪২) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | শন গোটার (২০) | ||
মাঠ | বারমুডা জাতীয় স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | BER | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৬৭ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ৫৮ (ডিসেম্বর ১৯৯২) | ||
সর্বনিম্ন | ১৮৯ (সেপ্টেম্বর ২০১১) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৪৮ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ৯২ (ডিসেম্বর ১৯৯২) | ||
সর্বনিম্ন | ১৭৭ (মার্চ ২০০৮) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (রেইকিয়াভিক, আইসল্যান্ড; ১০ আগস্ট ১৯৬৪) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (হ্যামিল্টন, বারমুডা; ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (আলপর, ডেনমার্ক; ১ জুলাই ১৯৬৯) ![]() ![]() (কানাডা; ৮ মে ১৯৮৩) ![]() ![]() (মেক্সিকো; ১৭ মে ১৯৮৭) | |||
কনকাকাফ গোল্ড কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০১৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০১৯) |
৮,৫০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বারমুডা জাতীয় স্টেডিয়ামে গোম্বি যোদ্ধা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাজ্যের ডেভনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন কাইল লাইটবোর্ন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রবিন হুডের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় দান্তে লেভেরক।
বারমুডা এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপে বারমুডা এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
কাইল লাইটবোর্ন, দামোন মিং, রেগি লাম্বে, শন গোটার এবং জন বেরি নুসুমের মতো খেলোয়াড়গণ বারমুডার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিংসম্পাদনা
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বারমুডা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৫৮তম) অর্জন করে এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে বারমুডার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৯২তম (যা তারা ১৯৯২ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৭৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৬৫ | ৩ | ফিজি | ৯৯৩.৩৭ |
১৬৬ | ২ | ভানুয়াতু | ৯৯০.৫৫ |
১৬৭ | ১ | বারমুডা | ৯৮২.৪৩ |
১৬৮ | ১ | নেপাল | ৯৭৮.৮৬ |
১৬৯ | ৫ | মাল্টা | ৯৭১.৫৬ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৪৮ | ১১ | বারমুডা | ১২৪৮ |
১৪৮ | ৪ | ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ | ১২৪৮ |
১৫০ | ৪ | নাইজার | ১২৪১ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্যসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ০ | ১ | ৩ | ২ | ১২ | ||||||||
১৯৭৪ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | |||||||||||||||
১৯৯৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৪ | ২ | ৪ | ১৪ | ১৫ | ||||||||
১৯৯৮ | প্রত্যাহার | প্রত্যাহার | |||||||||||||
২০০২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ২ | ২ | ০ | ১৫ | ২ | ||||||||
২০০৬ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ২৩ | ৪ | |||||||||
২০১০ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ৫ | |||||||||
২০১৪ | ৬ | ৩ | ১ | ২ | ৮ | ৭ | |||||||||
২০১৮ | ৪ | ২ | ১ | ০ | ৮ | ১ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ৩৬ | ১৫ | ৯ | ১১ | ৭৬ | ৪৬ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "This Week in CONCACAF History: March 1-5"। CONCACAF.com (2011)। মার্চ ৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ মে ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- কনকাকাফ-এ বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে (ইংরেজি)