বায়ারফ্রিঞ্জেন্স
বায়ারফ্রিঞ্জেন্স হলো কোনো বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক থাকার একটি আলোকিক বৈশিষ্ট্য যা সমবর্তন এবং আলোর বিস্তারের দিকের ওপর নির্ভর করে।[১] এই আলোকিক ধারণার বস্তুগুলিকে বলা হয় বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট (বা বায়ারফ্র্যাক্টিভ)। বায়ারফ্রিঞ্জেন্সকে প্রায়সই বস্তুর প্রতিসরণাঙ্কের সর্বোচ্চ পার্থক্যের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। প্রায়শই অ-ঘনকাকৃতির স্ফটিকের গঠন গঠন সম্পন্ন স্ফটিকগুলি বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট হয়, যেমন যান্ত্রিক পীড়নের অধীন প্লাস্টিক।


বায়ারফ্রিঞ্জেন্স যুগ্ন প্রতিসরণের কারণ যাদ্দারা, বায়ারফ্রিঞ্জেন্ট বস্তুর আপতিত কোনো আলোক রশ্মি কিছুটা ভিন্ন রাস্তা বেছে নেয় এবং দুইটি রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে যায়। এই ক্রিয়াটি ১৬৬৯ সালে একজন ডেনিস বিজ্ঞানি র্যাসমুস বারটালিন কর্তৃক প্রথম বর্ণিত হয়, যিনি অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী বায়ারফ্রিঞ্জেন্স সম্পন্ন ক্যালসাইট স্ফটিকে ইহা পর্যবেক্ষণ করেন।[২] যদিও, ১৯ শতকের আগে অগাস্টিন-জিন ফ্রিনেল কর্তৃক মেরুকরণের মাধ্যমে, আলোকে অনুপ্রস্থ মেরুকরণ (তরঙ্গ ভেক্টরের দিকের সাথে উল্লম্ব) ক্ষেত্র সম্পন্ন তরঙ্গ হিসেবে উপলব্ধি করা এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
ব্যাখ্যা
সম্পাদনাএকাক্ষ বস্তু
সম্পাদনাসবথেকে সরল বায়ারফ্রিঞ্জেন্সকে একাক্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় যার অর্থ হলো, সেখানে আলোকিক ধারণার নিয়ন্ত্রণের জন্য শুধুমাত্র একটি অভিমূখ বিদ্যমান, যেহেতু এর উলম্ব সকল অভিমূখ (বা একটি নির্দিষ্ট কোনে) আলোকিকভাবে সমান। ফলে এর অক্ষ বরাবর ঘোরালেও এর আলোকিক বৈশিষ্টের পরিবর্তন হয় না। বস্তুটির এই বিশেষ অভিমুখ, আলোক অক্ষ হিসেবে পরিচিত। আলোক অক্ষের সমান্তরালে বিস্তৃত আলোক রশ্মিটি (যার সমবর্তন আলোক অক্ষের সাথে উলম্ব) ইহার বৈশিষ্ট্যসূচক সমবর্তন নির্বিশেষে একটি প্রতিসরণাঙ্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। ভিন্ন দিকে বিস্তৃত রশ্মির ক্ষেত্রে একটি রৈখিক সমবর্তন থাকে যা অক্ষের সাথে উলম্ব হয় এবং এই সমবর্তন সম্পন্ন রশ্মিকে বলা হয় সাধারণ রশ্মি এবং এটিও সেই একই প্রতিসরণাঙ্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।
দ্ব্যক্ষ বস্তু
সম্পাদনাতথাকথিত দ্ব্যক্ষ স্ফটিকের ক্ষেত্রে বিষয়টি যথেষ্ট কঠিন।[৩]
আরো দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Olympus Microscopy Resource Center"। Olympus America Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ See:
- Erasmus Bartholin, Experimenta crystalli islandici disdiaclastici quibus mira & infolita refractio detegitur [Experiments on birefringent Icelandic crystal through which is detected a remarkable and unique refraction] (Copenhagen, Denmark: Daniel Paulli, 1669).
- Erasmus Bartholin (January 1, 1670)"An account of sundry experiments made and communicated by that learn'd mathematician, Dr. Erasmus Bartholin, upon a chrystal-like body, sent to him out of Island," Philosophical Transactions of the Royal Society of London, 5 : 2041-2048.
- ↑ Landau, L. D., and Lifshitz, E. M., Electrodynamics of Continuous Media, Vol. 8 of the Course of Theoretical Physics 1960 (Pergamon Press), §79