বানৌজা মেঘনা

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) মেঘনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেঘনা-শ্রেণীর ফিসারিজ প্রোটেকশন ভেসেল। জাহাজটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭]

ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা মেঘনা
নির্মাতা: ভিটি গ্রুপ, ত্যানজং রু, সিঙ্গাপুর
অভিষেক: ১৯ জানুয়ারী, ১৯৮৪
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: পি২১১
অবস্থা: অবসরপ্রাপ্ত
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: মেঘনা-শ্রেণীর ফিসারিজ প্রোটেকশন ভেসেল
ওজন:  ৪১০ টন
দৈর্ঘ্য: ৪৬.৫ মিটার (১৫৩ ফু)
প্রস্থ: ৭.৫ মিটার (২৫ ফু)
গভীরতা: ২ মিটার (৬.৬ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ x প্যাক্সম্যান ভ্যালেন্টা ১২সিএম ডিজেল; ৫০০০ অশ্বশক্তি (৩.৭৩ মে.ও.)
  • ২ x শ্যাফট 
গতিবেগ: ৩২ নট (৫৯ কিমি/ঘ; ৩৭ মা/ঘ)
সীমা: ২,০০০ নটিক্যাল মাইল (২,৩০০ মা; ৩,৭০০ কিমি), ১৬ নট (৩০ কিমি/ঘ; ১৮ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৩৯ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান র‍্যাডার: ডেকা ১২২৯; আই-ব্যান্ড
  • ২ × ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান)
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
সেলেনিয়া এনএ ১৮বি অপট্রোনিক সিস্টেম
রণসজ্জা:
  • ১ x ৫৭ মিমি বোফোর্স ডিপি কামান
  • ১ x ৪০ মিমি বোফোর্স বিমান বিধ্বংসী কামান
  • ২ x ৭.৬২ মিমি মেশিনগান

ইতিহাস সম্পাদনা

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার সিঙ্গাপুর থেকে বানৌজা মেঘনা জাহাজটি ক্রয় করে। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৮৪ সালে জাহাজটিকে প্রথম বারের মত পানিতে ভাসানো হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো সম্পাদনা

বানৌজা মেঘনা জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪৬.৫ মিটার (১৫৩ ফু), প্রস্থ ৭.৫ মিটার (২৫ ফু) এবং গভীরতা ২ মিটার (৬ ফু ৭ ইঞ্চি)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি প্যাক্সম্যান ভ্যালেন্টা ১২সিএম ডিজেল; ৫,০০০ অশ্বশক্তি (৩,৭০০ কিওয়াট) (৩.৭৩ মে.ও.) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২০ নট (৩৭ কিমি/ঘ; ২৩ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও ১৬ নট (৩০ কিমি/ঘ; ১৮ মা/ঘ) গতিতে ২,০০০ নটিক্যাল মাইল (২,৩০০ মা; ৩,৭০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা সম্পাদনা

বানৌজা মেঘনা জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি ৫৭ মিমি বোফোর্স ডিপি কামান;
  • ১টি ৪০ মিমি বোফোর্স বিমান বিধ্বংসী কামান;
  • ২টি ৭.৬২ মিমি মেশিনগান।

৫৭ মিমি বোফর্স ডিপি কামানটি প্রতি মিনিটে ২.৪ কেজি ওজনের ২০০টি গোলা ১৭ কিলোমিটার দুরত্বে নিক্ষেপ করতে সক্ষম। ৪০ মিমি বোফোর্স কামানটি প্রতি মিনিটে ৩০০টি ০.৯৬ কেজির গোলা ১২ কিলোমিটার দূরত্বে নিক্ষেপ করতে সক্ষম।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' পরবর্তী দূর্গত এলাকায় জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী"আইএসপিআর। ২০২১-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬ 
  2. "বিজয় দিবসে যু.দ্ধ জাহাজ প্রদর্শনী | Navy Ships | Victory Day | Barishal"। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ 
  3. "Small Battleship Bangladesh, Video capture from mongla port area.🤝"। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৩ 
  4. "নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ #shorts"। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৩ 
  5. "'জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩' এর উদ্বোধন ও নৌ র‌্যালি আয়োজন"আইএসপিআর। ২০২৩-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৩ 
  6. "Barisal war ships show"। ১ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩ 
  7. "সুন্দরবন এর পশুর নদী ধরে গভীর সাগরের দিকে ছুটে চলছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ "বানৌজা মেঘনা""