ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে প্রাপ্য টাকা বা বিক্রয় মূল্য থেকে নির্দিষ্ট হারে যে পরিমাণ টাকা ছেড়ে দেয়া হয় বা ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে অর্থ কম দেয়া হয় তাকে বাট্টা বলে।[১] ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই বাট্টা দেওয়া ও পাওয়া উভয়ই হয়ে থাকে।[২]

প্রকারভেদ সম্পাদনা

বাট্টা তিন প্রকার । যথাঃ

  1. ব্যবসায়িক বাট্টা
  2. পরিমাণ বাট্টা
  3. নগদ বাট্টা

ব্যবসায়িক বাট্টা সম্পাদনা

বিক্রেতা পণ্যের তালিকা মূল্য থেকে ক্রেতাকে অনেক সময় কিছু ছাড় দিয়ে থাকে। এই ছেড়ে দেয়া টাকার পরিমাণকে ব্যবসায়িক বাট্টা বলে। তালিকা মূল্য থেকে ব্যবসায়িক বাট্টা বাদ দিয়ে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং চালানে দেখানাে হয় ।

পরিমাণ বাট্টা সম্পাদনা

এটিও এক ধরনের ব্যবসায়িক বাট্টা । ব্যবসায়ী বা উৎপাদক এক সঙ্গে অধিক পরিমাণ পণ্য বিক্রয়ের জন্য ক্রেতাদের পরিমাণ বাট্টা দিয়ে থাকে। ক্রয়ের উপর স্বাভাবিক ব্যবসায়িক বাট্টা দেয়ার পর অতিরিক্ত একক ক্রয়ের জন্য যদি অতিরিক্ত ছাড় দেয়া হয় তাকে পরিমাণ বাট্টা বলে।

নগদ বাট্টা সম্পাদনা

বাকীতে বিক্রিত পণ্যের মূল্য বা পাওনা টাকা যথাসময়ে বা তাড়াতাড়ি আদায়ের জন্য ক্রেতা বা দেনাদারকে যে ছাড় দেয়া হয় তাকে নগদ বাট্টা বলে। নগদ লেনদেনের সাথে জড়িত বলে এই বাট্টাকে নগদ বাট্টা বলে। নগদ বাট্টার ক্ষেত্রে বাট্টার হার, বাট্টার সুযােগ গ্রহণের সময়সীমা এবং প্রদেয় অর্থ প্রদানের সর্বশেষ সময়সীমা উল্লেখ থাকে। যেমন - ২/১০ নীট ৩০, অর্থাৎ ১০ দিনের মধ্যে পরিশােধ করলে ২% বাট্টা পাওয়া যাবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পূর্ণ অর্থ পরিশােধ করতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান নগদ বাট্টা প্রদান করতে পারে আবার পেতে পারে। পণ্যের বিক্রয়মূল্য বা প্রাপ্য অর্থ আদায়কালে যে পরিমাণ অর্থ কম নেয়া হয় তাকে প্রদত্ত বাট্টা বলে। আর পণ্যের ক্রয় মূল্য বা প্রদেয় অর্থ পরিশােধকালে যে পরিমাণ অর্থ কম দেয়া হয় তাকে প্রাপ্ত বাট্টা বলে। প্রদত্ত বাট্টা তিনঘরা নগদান বইতে ডেবিট দিকে এবং প্রাপ্ত বাট্টা ক্রেডিট দিকে বাট্টা ঘরে লিখতে হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাট্টা - শব্দের বাংলা অর্থ at english-bangla.com"www.english-bangla.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৯ 
  2. "বাট্টা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৯